নিউজ ডেস্ক »
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে লম্বা বিরতি কাটিয়ে আগামীকাল (৮ জুলাই) থেকে শুরু হতে যাচ্ছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট। বাংলাদেশ সময় বিকাল ৪ টায় শুরু হবে ম্যাচটি। ১১৭ দিনের দীর্ঘ বিরতির পর ক্রিকেট প্রেমীরা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ পেতে যাচ্ছে ইংল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার টেস্ট সিরিজ দিয়ে। আগামীকাল সাউদাম্পটনে সিরিজের প্রথম টেস্ট খেলতে মাঠে নামবে এই দুই দল।
তবে করোনাকালে পৃথিবীর অনেক কিছু আর আগের মত নেই। ক্রিকেটেও পড়বে এর প্রভাব স্বাভাবিক। খেলাটির সাথে সম্পৃক্ত সকলের স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি কিছু নতুন নিয়মনীতি তৈরি করলেও ক্রিকেট চলবে তার মৌলিক ধারায়।
আসুন দেখে নেই করোনা পরবর্তী ক্রিকেট কিভাবে আয়োজিত হচ্ছে প্রথমেই যে বিষয়টি মাথায় রাখতেই হচ্ছে তা হল খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য সুরক্ষা। আর সে লক্ষেই মাঠের প্রতিটি কোণায় থাকবে হাত জীবাণুমুক্ত করার স্যানিটাইজার।
বল পলিশের জন্য ব্যবহার করা যাবেন মুখের লালা। যা করোনা পূর্ববর্তী ক্রিকেটে নিত্যনৈমিত্তিক ব্যাপার ছিল। বলে সুইং পেতে এই কাজ করা হত। লালা ব্যবহার নিষিদ্ধের ব্যাপারটি বেশ বেকায়দায় ফেলবে পেসারদের।
ম্যাচ পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন স্বাগতিক দেশের আম্পায়ার। কারণ অন্যদেশ থেকে আম্পায়ার এনে কোনরকম স্বাস্থঝুকিতে ফেলতে চায় না আইসিসি। আগামীকাল মাঠে আম্পায়ার হিসেবে থাকবেন ইংল্যান্ডের মাইকেল গফ এবং রিচার্ড কেটেলবরো। স্বাগতিক আম্পায়ার সকলেই তেমন অভিজ্ঞ না হওয়ায় প্রতি দল ৩টি করে ডিআরএস ব্যবহারের সুযোগ পাবে যা আগে ছিল দুটি।
ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়ামের লাগোয়া হোটেলে থাকবে ক্রিকেটাররা। নিয়মিত হবে করোনা টেস্ট। টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন কোন ক্রিকেটার যদি কোভিড-১৯ পজিটিভ হয়, তবে তার বিকল্প হিসেবে থাকছে প্রায় একই ধরনের ক্রিকেটার মাঠে নামানোর সুযোগ যাকে আইসিসি নাম দিয়েছে ‘লাইক ফর লাইফ’।
বলা হয় ক্রিকেটের প্রাণ হল এর দর্শকরা। তবে করোনাকালীন ক্রিকেটে ক্রিকেট প্রেমীদের খেলা উপভোগ করতে হবে ঘরে বসে টিভিতে। সকলের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে খেলা হবে দর্শকবিহীন মাঠে। এত কিছুর পর ক্রিকেটের মাঠে ফেরা ক্রিকেট সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য যেমন স্বস্তিদায়ক বলে বিশ্বাস করছেন অনেকেই।
নিউজক্রিকেট/এমএস