নিদাহাস ট্রফির ফাইনালের শেষ ওভারে কি চলছিল সৌম্যের মনে?

নিউজ ডেস্ক »

সৌম্য সরকার, একজন পুরোদস্তুর ব্যাটসম্যান, ব্যাটিংয়ে সেই ২০১৫ বিশ্বকাপেই নিজের জাত চিনিয়েছেন। বোলিংয়ে কখনোই সিদ্ধহস্ত নন তিনি। কালেভদ্রে বোলিং করলেও ভরসা করার মত বোলার নন তিনি। তবুও ২০১৮ সালে ভারতের বিপক্ষে নিদাহাস ট্রফির ফাইনালে সৌম্যের উপর ভরসা রেখেছিলেন তৎকালীন অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। বোলিংয়ে আনকোরা সৌম্যের মনে কি চলছিল, কিভাবে মনোসংযোগ ধরে রেখেছিলেন, এটা নিয়ে মজার এক কাহিনী তুলে ধরেছেন সৌম্য সরকার। গতকাল বর্তমান ওডিয়াই অধিনায়ক তামিম ইকবালের সাথে ফেসবুক লাইভ আড্ডায় এসব কথা বলেন সৌম্য।

সেদিন বাংলাদেশ ১৬৬ রানের পুজি নিয়ে দারুণ বোলিংয়ের চেপে ধরেছিল ভারতকে। ভারতের জয়ের জন্য শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রানের। ঐ শেষ ওভারে সৌম্যের হাতে বল তুলে দিয়েছিলেন সাকিব। সৌম্যও এতকিছু না ভেবে, নিজের পরিকল্পনায়, একজন বোলার হিসেবে ভাল বল করতে হবে এই চিন্তা মাথায় রেখে বল করে যাচ্ছিলেন। প্রথম তিনটি বল করেছিলেনও দারুণ। ভিতরে কোন চাপ ছিল যে শেষ ওভার, কতরান লাগে এসব কিছুই মাথায় ছিল না তার।
তবে সৌম্যের ঐ মনোসংযোগ কিছুটা নস্ট হয় যখন ওভারের চতুর্থ বলের আগে বাইরে থেকে কেউ একজন এসে বলে ‘তুই পারবি’। মজার ছলেই এই কথাটি বলেন সৌম্য।

সৌম্য বলেন, ‘আমি কিছুই ভাবছিলাম না, শুধু ভাল করতে হবে এটাই মাথায় কাজ করছিল। যখন মাঠের বাইরে থেকে দ্বাদশ ব্যক্তি পানি নিয়ে এসে আমাকে বলে ‘তুই পারবি’, তখন আমার মনে চিন্তা আসে কি হতে যাচ্ছে, আমাকে কি পারতে হবে?’

তবুও এর পরের ২ টি বলও দারুণ করেছিলেন সৌম্য, ৫ম বলে ভারতীয় ব্যাটসম্যান বিজিয় শংকরকে আউট করেছিলেন। শেষ বলে ভারতের জয়ের জন্য দরকার ছিল ৫ রান। ঐ মুহুর্তে কোথায় বল করতে হবে ভাবছিলেন সৌম্য। তখন শুনেন মুশফিক তাকে বলছে ওয়াইড ইয়র্কার।

এ ব্যাপারে সৌম্য জানান, ‘ শেষ বলে যখন পাঁচ রান দরকার তখন মুশফিক ভাই বলেন, ‘ওয়াইড ইয়র্কার কর’। আমিও ভাবছিলাম এটাই ভাল হবে, চার হলেও হতে পারে কিন্তু ছক্কা হওয়ার সুযোগ নেই।’

সৌম্য করেছিলেন সেই ওয়াইড ইয়র্কার। কিন্তু অবিশ্বাস্যভাবে ভারতীয় ব্যাটসম্যান দিনেশ কার্তিক সেই বলটিকে ছক্কায় পরিণত করে বাংলাদেশের জয় ছিনিয়ে নিয়েছিলেন। তবে সেই পরিস্থিতি থেকে এরকম কঠিন মুহুর্তে বল করার দীক্ষাও পেয়েছেন বলে জানিয়েছেন সৌম্য।

বাংলাদেশ সময়: ১১:৫৫ এএম

নিউজক্রিকেট/এমএস

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »