নিউজ ডেস্ক »
জাতীয় দলের বাইরে আছেন অনেক বছর হলো, জাতীয় দলের ক্যাম্পেও ডাক আসেনা এখন আর। তবে জাতীয় দলের বাইরের ক্রিকেটাররাও অনুশীলনে বিসিবির সরঞ্জামাদি ব্যবহার করতে পারে। তবে সেজন্য অপেক্ষা করতে হয় অনেক সময় , থাকতে হয় লম্বা লাইনে। কারণ সেখানে জাতীয় দলের ক্রিকেটারদের অগ্রাধিকার বেশি। এই বিড়ম্বনা আর পোহাতে চান না বলেই নিজের টাকায় বোলিং মেশিনই কিনে ফেলেছিলেন বাংলাদেশের প্রথম টি-টোয়েন্টি অধিনায়ক শাহরিয়ার নাফীস। উত্তরা ফ্রেন্ডস ক্লাবের মাঠে ওই বোলিং মেশিনে অনুশীলনও করতেন তিনি।
লাখ তিনেক টাকা ব্যয়ে কেনা বড্ড প্রয়োজনীয় সেই বোলিং মেশিনটিই কিনা এখন নাফীসের কাছে নেই। নাহ, ওটা হারায়নি বা চুরি হয়নি। এই বাঁহাতি ওপেনার বোলিং মেশিনটি একটি একাডেমিতে দান করে দিয়েছেন নাফিস।
ওই একাডেমির খুঁদে ক্রিকেটাররা এখন ওই বোলিং মেশিনেই জোরে বল খেলার অভ্যাস রপ্ত করছে। নিজের কাছে না রেখে নাফীস ওটা দিয়েছেন একটি ক্লাব দলের একাডেমিতে, ‘আমি মাঝখানে এক মৌসুম অগ্রণী ব্যাংকে খেলেছিলাম।ওই দলেরই একটি একাডেমি আছে রাজধানীর শাহবাগে। খুব ছোট জায়গার মধ্যে বেশ কিছু নেট টানানো আছে। বাচ্চা বাচ্চা ছেলেরা ওখানেই আমার বোলিং মেশিনটি ব্যবহার করছে।’
বোলিং মেশিন দান করার কারণ বলতে গিয়ে নাফিস বলেন, :শুধু থাকলেই হয় না, এটা রক্ষণাবেক্ষণের পেছনেও অনেক সময় দিতে হয়। আমার পক্ষে তা মুশকিলই ছিল। তাই ভাবলাম একাডেমিতে থাকলে এটা ব্যবহারও হবে, ঠিকঠাক হবে রক্ষণাবেক্ষণও।’
বোলিং মেশিনের থেকেও অনুশীলনের ভালো উপায় খুঁজে পেলেন নাফীসস। এতে বোলিং মেশিনের থেকেও বেশি জোরে বল খেলার প্রাকটিস করা যায়। এ বিষয়ে নাফিসের ভাষ্য: ‘প্লাস্টিকের হাতা দিয়ে বল ছুঁড়ে অনুশীলন করানো হয় এখন। আমার কাছে মনে হয়েছে এতে করে জোরে বল খেলার প্রস্তুতিটা বোলিং মেশিনের চেয়েও ভালো হয়।’
নিউজক্রিকেট/ সুফিয়ান