কোচিং আমার প্যাশন এরপরই প্রোফেশন: নাজমুল আবেদিন ফাহিম

মারুফ ইসলাম ইফতি »

নাজমুল আবেদিন ফাহিম! ক্রিকেটারদের হাজারো স্বপ্নের নীরব কারিগর তিনি। ক্রিকেটারদের কাছে প্রিয় ফাহিম স্যার।টাইগার ক্রিকেটারদের অভিভাবকও বলা হয় তাকে

বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের সাথে এই ভদ্রলোকটির যেন এক নাড়িরটান। যার কারনে নিজের ব্যক্তিগত জীবনে অনেক কিছু সেক্রিফাইজ করে নিজেকে জড়িয়ে রেখেছেন বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে। দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ ক্রিকেট ও ক্রিকেটারদের সাথে কাজ করছেন আর বাংলাদেশ ক্রিকেটকে দিয়েছেন দুহাত ভরে।

নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোরের নিয়মিত লাইভ আড্ডায় অতিথি হিসেবে এসে ক্রিকেটারদের প্রিয় “ফাহিম স্যার” শুনিয়েছেন নিজের বর্ণাঢ্য কোচিং জীবনের গল্প।

ক্রিকেট কোচিংয়ের ব্যাপারে জানতে চাইলে নিউজ ক্রিকেট টুয়েন্টিফোরকে “নাজমুল আবেদিন ফাহিম” জানানঃ কোচিং আমার প্যাশন, এরপরই আমার প্রোফেশন।ক্রিকেট কোচিংকে আমি কখনো আমার অর্থ উপার্জনের একমাত্র মাধ্যম হিসেবে নিইনি।আমি শুরু থেকেই ক্রিকেটের প্রতি আমার দুর্বলতা থেকে এটিকে প্যাশন হিসেবে নিয়েছি, যেটি পরবর্তীতে আমার প্রোফেশনও হয়ে গিয়েছে।আমার কাছে কোচিং এর জন্য নির্দিষ্ট কোন সময়ের বাধ্যকতা নেই। আমি সাপ্তাহে সাত দিন এবং দিনের ২৪ ঘন্টাই সবসময় প্রস্তুত থাকি আমার ছাত্রদের জন্য।এটি আমার জীবনের সাথে এতটা গভীরভাবে জড়িয়ে আছে যে আমি যখন একা একা সময় কাটাই তখনও আমার মাথায় এই ক্রিকেট,কোচিং, পরিকল্পনা এসব ঘুরপাক খায় সবসময়।

ক্রিকেটারদের প্রিয় নাজমুল আবেদীন স্যারকে ক্রিকেটাররা এখনো শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে।যত বড় তারকা ক্রিকেটার বণে যাননা কেন! খুঁটিনাটি সমস্যা অনুধাবন করা মাত্রই গুরুর কাছে ছুটে যান ক্রিকেটাররা।এটাই হয়তো তাদের সবচেয়ে বড় পাওয়া, তাদের একজন ফাহিম স্যার আছেন।

জাতীয় দলে এখন যারা খেলছেন বা আগে যারা খেলেছেন তাদের সবাই কোনো না কোনো ভাবে এই ভদ্রলোকটির ছাত্র।সাকিব,তামিম,মুশফিক,নাসির,মমিনুল,সৌম্য,লিটনরা এখনো ব্যাটিং নিয়ে কোনো সমস্যায় পড়লে ছুটে যান তাঁর কাছে, টেকনিক্যাল যেকোনো বিষয়ে সবার জন্য তাঁর দুয়ার সবসময় খোলা।

কোচিংয়ের ব্যাপারে তিনি নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোরকে আরো বলেনঃ আমি সবসময় চাই আমার ছেলেদের ভাল কিছু শেখাতে।আমি কোচিং ক্যারিয়ার শুরু করার আগে দেশের বাইরে একাধিক কোর্স করেছিলাম।ওইসময়ে অন্য ছাত্রদের তূলনায় আমি কিছুটা ব্যতিক্রম ছিলাম।আমি সবসময় সিরিয়াস ছিলাম শেখার ব্যাপারে।কারন আমি চিন্তা করেছি আমি যত বেশি শিখবো, তত বেশি শেখাতে পারবো। এই চিন্তাধারা নিয়ে আমি সবসময় নতুন কিছু শেখার ক্ষুদায় ছিলাম।দেশের বাইরে যখন যেতাম তখন সঙ্গে করে এমন কিছু নিয়ে আসার চেষ্টা করতাম কিংবা এখনো করি, যে শিক্ষাটা আমি আমার ছাত্রদেরও দিতে পারি।

বিকেএসপি থেকে ভবিষ্যৎয়ে সাকিব,তামিম,মুশফিকদের মতো প্রতিভাবান ক্রিকেটার আমরা পাচ্ছি কিনা? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি আরো জানানঃ
অবশ্যই বিশ্বমানের ক্রিকেটার সামনেও আসবে।প্রতিভা শুধু বিকেএসপিতে সীমাবদ্ধ নয়, আমি বিশ্বাস করি বাংলাদেশের আনাচেকানাচে অনেক প্রতিভাবান ক্রিকেটার ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে।আমাদের কোচদের দায়িত্ব ওসব প্রতিভা গুলোকে খুঁজে বের করে সঠিক পরিচর্যার মাধ্যমে একটা প্লাটফর্ম তৈরি করে দেওয়া।আমি আশা করছি আমরা সঠিকভাবে প্রতিভা গুলোকে কাজে লাগাতে পারলে সাকিব-তামিমদের ছাড়িয়ে যাওয়ার মতো ক্রিকেটারও সামনে আসবে।

নিউজক্রিকেট টুয়েন্টিফোর/ মারুফ ইসলাম ইফতি

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »