নিউজ ডেস্ক »
ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) ১৩তম আসর নিয়ে দেখা দিয়েছিলো শঙ্কার। কিন্তু তবুও
এ বছরই হতে পারে আইপিএল। ২৫ সেপ্টেম্বর থেকে এক নভেম্বর এই সময়ের মধ্যে আইপিএল আয়োজনের সুযোগ খুঁজছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই)। তবে এখনো ঠিক করে কিছু বলা যাচ্ছে না। সবকিছুই নির্ভর করবে ভারতের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির ওপর।
এর আগে করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে ২৯ মার্চের বদলে ১৫ এপ্রিল পর্যন্ত পিছিয়ে নেয়া হয়েছিল ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ (আইপিএল)। এরপর দেশটির সরকার ৩ মে পর্যন্ত লকডাউনের সময়সীমে বাড়িয়ে দিলে অনির্দিষ্ট কালের জন্য স্থগিত হয় আইপিএল। তবে বিসিসিআই চেষ্টা করছে যে করেই হোক এ বছর আইপিএল আয়োজন করার।
এদিকে বিসিসিআই যে সময়টাতে আইপিএল আয়োজন করার চিন্তা ভাবনা করছে সে সময় রয়েছে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপও। মরণব্যাধি এই ভাইরাসের কারণে বিশ্বকাপ যদি পেছায় তবেই আয়োজন করা যাবে আইপিএল। আর এজন্য ভারতীয় বোর্ডকে অপেক্ষা করতে হবে ২৮ মে’র আইসিসির সভা পর্যন্ত।
এ ব্যাপারে বিসিসিআইয়ের একটি সূত্র জানায়, ‘এখনও কিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে সেপ্টেম্বরের ২৫ থেকে নভেম্বরের এক তারিখ পর্যন্ত উইন্ডো একটা খোলা আছে। যদি দেশের করোনাভাইরাস পরিস্থিতির উন্নতি হয় আর একইসাথে সরকার যদি অনুমতি দেয় তবে আমরা চেষ্টা করব সে সময়ে আইপিএল আয়োজন করার। তবে এটার জন্য অবশ্যই অনেক কিছু মাথায় রাখতে হবে।’
‘আমাদেরকে এই উইন্ডোর ব্যাপারে অবগত করা হয়েছে। যদিও ভেন্যুর ব্যাপারে কোনো আলাপ হয়নি এখনো। আইপিএলের জন্য আমাদেরকে অনেক কিছুই বুঝতে হবে। কারণ আইপিএলে বিদেশি খেলোয়াড়রাও আসবেন। সময়ের সাথে অনেক ব্যাপারই পরিষ্কার হয়ে যাবে। যদি সেপ্টেম্বরে হয় তাহলে আমরা আগস্টেই প্রস্তুতি শুরু করবো’ – যোগ করে বিসিসিআইয়ের এই সূত্র।
বিসিসিআইয়ের পক্ষে সেপ্টেম্বর-নভেম্বর আইপিএল করা মোটেও সহজ কাজ হবে না কারণ এ বছরের পূর্ব নির্ধারিত সূচী অনুযায়ী জুলাইতে ভারতের শ্রীলঙ্কা সফরের কথা রয়েছে। এর পরের মাসেই কোহলিদের জিম্বাবুয়ে সফরে যাওয়ার কথা।