অল্পের জন্য পারল না আফগানরা, সুপার ফোরে শ্রীলঙ্কা

নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »

শ্রীলঙ্কার কাছে হেরে এশিয়কাপের গ্রুপপর্ব থেকে ছিটকে গেছে আফগানিস্তান। সুপার ফোরে যেতে হরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে শুধু জয়ই নয় আফগানদের মেলাতে হতো রানরেটের সমীকরণও। সেই সমীকরণ মেলাতে খুব কাছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত ম্যাচ জিততে পারেনি আফগানিস্তান। শ্রীলঙ্কার কাছে ২ রানে হেরেছে আফগানরা। আর সুপার ফোরে উঠেছে আফগানিস্তান।

লাহোরের গাদ্দাফি স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করতে নেমে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৯১ রান স্কোর বোর্ডে জমা করে শ্রীলঙ্কা। শ্রীলঙ্কাকে রানরেটে পিছনে ফেলে সুপার ফোরে জেতে হলে আফগানদের এই টার্গেট টপকাতে হতো ৩৭.১ ওভারের মধ্যে। শেষ পর্যন্ত ৩৭.৪ ওভারে ২৮৯ রানে অলআউট হয় আফগানিস্তান।

২৯২ রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে ৫০ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে আফগানিস্তান। রহমত শাহ্ ও হাসমতউল্লাহ শাহিদি চতুর্থ উইকেট জুটিতে ৭১ রানে যোগ করেন। রহমত শাহ ৪৫ রান তরে দলীয় ১২১ রানে আউট হন।

এরপর মোহাম্মদ নবী ও শাহিদি পঞ্চম উইকেট জুটিতে ঝড়ো গতিতে রান তুলতে থাকেন। নবী বেশি আক্রমণাত্মক ছিলেন। ২৪ বলে ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি তুলে নেন। অন্যপ্রান্ত নবীকে সঙ্গ দিয়ে শাহিদিও ওয়ানডে ক্যারিয়ারের ১৭তম ফিফটি তুলে নেন। নবঅ ৩২ বলে রান করে দলীয় ২০১ রানে আউট হন। ভাঙ্গেন ৮০ রানের জুটি।

এরপর শাহিদি ৫৯ রান করে বিদায় নেন দলীয় ২৩৪ রানে। করিম জানাত, নাজিবুল্লাহ জাদরান চেষ্টা চালান জয়ের জন্য।  জানাত ১৩ বলে ২২ ও জাদরান ১৫ বলে ২২৩ রান করে আউট হন। রশিদ খানের  জড়ো গতির ব্যাটিংয়ে লক্ষ্যে খুব কাছে পৌছে যায় আফগানরা। ৩৬ ওভারে আফগানদের স্কোর দাড়ায় ৮ উইকেটে ২৮৯ রান। হাতে ১৪ ওভার থাকলেও সমীকরণ অনুযায়ী আফগানদেন জয়ের জন্য দরকার ১ বলে ৩ রান। কিন্তু  শেষ পর্যন্ত ৩৭তম ওভারের প্রথম বলে  মুজি আউট হলে আপগানদের সুপার ফোরে যাওয়া আশা শেষ হয়ে যায়। শেষ পর্যন্ত ৩৭.৪ ওভারে ২৮৯ রনে অলআউট হয় আপগানিস্তান।

এর আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসের শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুনারত্নে। আফগানিস্তানের তিন বোলার মুজিব উর রহমান, ফজল হক ফারুকি ও গুলবাদিন নাইব কাউকেই ছাড় দেননি তারা। পাওয়ারপ্লের ১০ ওভারের মধ্যে স্কোরবোর্ডে ৬২ রান তোলেন দুজন।

এরপরই ঘটে ছন্দপতন। করুনারত্নে একাদশ ওভারের দ্বিতীয় বলে ৩৫ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৩২ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। দ্রুত ফিরে যান আরেক ওপেনার নিশাঙ্কাও। তার আগে ৪০ বলে ৬ বাউন্ডারিতে ৪১ রান করেন তিনি। ইনিংস বড় করতে পারেননি সাদিরা সামারাভিক্রমাও।

উইকেটে এসে আক্রমনাত্মক ব্যাটিং করেন মেন্ডিস। চারিথ আসালাঙ্কাকে সাথে নিয়ে ৯৯ বলে গড়েন ১০২ রানের জুটি। তবে সেঞ্চুরি মিসের হতাশা নিয়ে ফিরেছেন তিনি। রান আউট হয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে করেন ৮৮ বলে ৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৯২ রান। আসালাঙ্কার করেন ৪৩ বলে ২ বাউন্ডারি ও ১ ছক্কায় ৩৬ রান।

ইনিংস বড় করতে পারেননি অধিনায়ক দাসুন শানাকা। ৮ বলে ১ বাউন্ডারিতে মাত্র ৫ রান করে প্যাভিলিয়নে ফেরেন তিনি। এরপর দুনিথ ওয়েলালাগে ও মাহিশ থিকশানা মিলে গড়েন ৬৪ রানের জুটি। আর তাতেই ২৯১ রানে থামে তাদের ইনিংস।

আফগানিস্তানের হয়ে ১০ ওভারে ৬০ রান দিয়ে ৪ উইকেট শিকার করেছেন গুলবাদিন নাইব। দুটি উইকেট শিকার করতে রশিদ খান খরচ করেছেন ৬৩ রান। এছাড়াও মুজিবউর রহমান নিয়েছেন একটি উইকেট।

 

আরএ/নিউজক্রিকেট২৪

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »