শোয়েব আক্তার »
লিটন দাসের অপরাজিত ৬০ মোহাম্মদ নাঈমের ৩৩ ও সৌম্য সরকারের অপরাজিত ২০ রানের উপর ভর করে সফররত জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দ্বিতীয় ও শেষ টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ উইকেটের বড় জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে টেস্ট, ওয়ানডে’র পর টি-টোয়েন্টিও হোয়াইট ওয়াশ হলো জিম্বাবুয়ে। এর মধ্য দিয়ে প্রথমবারের মতো কোন দল কে ‘ক্লিন সুইপ’ করলো বাংলাদেশ।
১২০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে উদ্ভোধনী জুটিতে ৭৭ রানের পার্টনারশিপ গড়েন তামিম ইকবাল কে বিশ্রামে রেখে খেলতে নামা নতুন উদ্ভোধনী জুটি মোহাম্মদ নাঈম ও লিটন দাস। এম্পোফু’র করা ১১ তম ওভারের চতুর্থ বলে ব্যক্তিগত ৩৩(৩৪) রানে নাঈম শেখ আউট হয়ে যান।
জয় থেকে ৪৩ রান দূরে থাকাকালীন ওয়ান ডাউনে খেলতে নামেম আগের ম্যাচের নায়ক সৌম্য সরকার। নাঈমের আউটের পর আর কোন অঘটন ঘটে নি। লিটন ৪৫ বল থেকে ৬০ ও সৌম্য ১৬ বল থেকে ২০ রানে অপরাজিত থেকে দলকে জয়ের বন্দরে পৌছে দেন। লিটনের ইনিংসটি ৮ চার ও সৌম্যের ইনিংসটি ২ ছয়ে সাজানো ছিল। জিম্বাবুয়ের পক্ষে এম্পোফু ৩.৫ ওভার বল করে ২৭ রানের বিনিময়ে নাঈমের উইকেট টি শিকার করেন।
এর আগে হোম অব ক্রিকেট মিরপুর শের-ই বাংলা স্টেডিয়ামে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে একমাত্র ব্রেন্ডন টেইলরের ৪৮ বলে ৫৯ রানের উপর ভর করে বাংলাদেশের সামনে ১২০ রানের মামুলি লক্ষ্য দাঁড় করায় জিম্বাবুয়ে। টেইলর ছাড়া দলীয় অধিনায়ক ক্রেক অরভিন ৩৩ বল থেকে ২৯ রান করেন। বাংলাদেশের বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং ও দলের বাদ বাকি ব্যাটসম্যানদের আসা যাওয়ার মিছিলে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১১৯ রান সংগ্রহ করে জিম্বাবুয়ে।
দীর্ঘ দিন পর চার পেসার নিয়ে খেলতে নামা বাংলাদেশ দলের পেসাররা বাজিমাত করেছেন। জিম্বাবুয়ের সাত উইকেটের পাঁচটি-ই নিয়েছেন দলের পেসার’রা। চার ওভার বল করে ২২ রানে ২টি উইকেট নিয়ে আজকের ম্যাচে দলের সেরা বোলার আল-আমিন হোসেন। এছাড়া মোস্তাফিজুর রহমান ৪ ওভারে ২৫ রানে ২টি উইকেট লাভ করেন।
পেস বোলিং অলরাউন্ডার মোহাম্মদ সাইফুদ্দিন ও নিজের বোলিং কোটা পূর্ণ করে ১টি উইকেট শিকার করেছেন। এছাড়া ডান হাতি অফ স্পিনার মেহেদি হাসান ৩ ওভার হাত ঘুরিয়ে ১৪ রানে ১ টি ও আফিফ হোসেন ১ ওভার বোলিং করে ২ রানে ১ টি উইকেট দখল করেছেন। কোন উইকেট না পেলেও অভিষিক্ত পেসার হাসান মাহমুদ ৪ ওভারে ২৫ রান দিয়েছেন। বিপিএলের মতো আজ ও নিজের গতি দিয়ে প্রসংশা কুড়িয়েছেন তিনি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
জিম্বাবুয়ে:১১৯/৭(২০)
ব্রেন্ডন টেইলর-৫৯(৪৮), ক্রেক অরভিন-২৯(৩৩)
আল-আমিন হোসেন-২/২২(৪), মুস্তাফিজুর রহমান-২/২৫(৪)
বাংলাদেশ: ১২০/১(১৫.৫)
লিটন দাস-৬০(৪৫), মোহাম্মদ নাঈম-৩৩(৩৪)
এম্পোফু-১/২৭(৩.৫)
ফলাফল: বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয়ী।
সিরিজের ফলাফল: বাংলাদেশ ২-০ তে জয়ী।