সেরা ফিল্ডারের পুরস্কারের আশায় ছিলেন শামীম

নিউজ ডেস্ক »

অনুর্ধ-১৯ বিশ্বকাপ জয়ী দলের খেলোয়াড় শামীম হোসেন চলতি বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে আবারো সকলের নজর কেড়েছেন। পুরো টুর্নামেন্ট জুড়েই পাখির মত উড়ে উড়ে বল ধরেছেন শামীম। সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে শামীম খেলেছেন জেমকন খুলনার হয়ে। আসরে চ্যাম্পিয়ন ও হয়েছে তার দল।

টুর্নামেন্ট শেষে শিরোপা জিতেও মনে আক্ষেপ রয়ে গেছে শামীমের। মূলত টুর্নামেন্টে সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার না পাওয়ায় আক্ষেপ থেকে শামীমের। ২০ বছর বয়সী এই তরুণ খেলোয়াড় সেরা ফিল্ডারের পুরস্কার পাওয়ার দাবিদার ছিলেন। উল্লেখ্য ২ লাখ টাকা বরাদ্ধ ছিল সেরা ব্যাটসম্যান ও সেরা বোলারের জন্য। তবে সেরা ফিল্ডারের জন্য কোনো পুরস্কার রাখা হয়নি।

সব বাস্তবতা মেনে নিলেও শামীমের কণ্ঠে থেকে গেছে আক্ষেপের উপস্থিতি। ক্রিকেট ভিত্তিক জনপ্রিয় একটি পোর্টালকে তিনি বলেন,’‘ফিল্ডিংয়ের অ্যাওয়ার্ড পেলে তো অবশ্যই খুব ভালো লাগত। যেহেতু অ্যাওয়ার্ড নেই, কিছু করার নেই। তাও আমি আমার নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। অ্যাওয়ার্ড পেলে আরেকটু ভালো লাগত। আশায় ছিলাম, যেহেতু সবচেয়ে ভালো ফিল্ডিং করেছি আমার পাওয়ার কথা ছিল। আশায় ছিলাম, পাইনি। কিন্তু কিছু করার নেই। সমস্যা নেই।’’

শামীমের এই দুর্দান্ত ফিল্ডিংয়ের রহস্য কী জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন,”চেষ্টা আর একাগ্রতায়ই এই প্রশংসনীয় ফিল্ডিং। আমরা মানুষরা যদি চাই, যেকোনো জিনিসই করতে পারি। এনিথিং কেন হ্যাপেন। বাড়তি কিছু নিয়ে কাজ করিনি, এটা আমার স্বভাবজাত। ফিল্ডিং করার সময় লক্ষ্য থাকে প্রত্যেক বল আমার কাছে আসুক। প্রত্যেক বলে প্রস্তুত থাকি। অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে বিশ্বকাপের সময় ডিকেন্স স্যারের সাথে কাজ করেছি। মুক্তার স্যারের সাথেও কাজ করেছি ফিল্ডিং নিয়ে। কভার, এক্সট্রা কভার এসব নিয়ে আরেকটু কাজ করতে চাই।’’

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »