ইমতিয়াজ চৌধুরী »
‘অনার্স বোর্ড শুধু সেঞ্চুরিয়ানদের জন্য রিজার্ভ কেন? ফিফটির জন্যও একটা রাখা উচিৎ।’ ২০১০ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে লর্ডস টেস্টের প্রথম ইনিংস ৫৫ রান করে রান আউট হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে ফিরে এমনটাই বলেছিলেন তামিম ইকবাল। তামিমের উত্তরে ড্রেসিংরুমের একজন, ‘এখানে নাম তুলতে তোমার একটা সেঞ্চুরি প্রয়োজন।’ তামিমের জেদ মাখা পরের বাক্যটি এমন, ‘ওকে, একটি সেঞ্চুরি না করে আমি এখান থেকে যাচ্ছি না।’
২১ বছর বয়সী তামিমের প্রথম ইংল্যান্ড সফর। যেই কথা সেই কাজ! ম্যাচের দ্বিতীয় ইনিংসেই হাঁকালেন কাঙ্ক্ষিত শতক। ৮৭ রান নিয়ে ক্রিজে তামিম, বোলিং প্রান্তে টম বেনটন। চার, চার, দুই, চার! চার চার করে পরের চার বল থেকেই পৌঁছে গেলেন তিন অংকের ম্যাজিক ফিগারে। অতঃপর শূন্যে ভেসে উঠা, বাঁহাতে হেলমেট আর ডানহাতে ব্যাট, উড়ন্ত সেলিব্রেশন!
ঐতিহাসিক লর্ডসে সেদিন ১৫টি চার আর দুই ছয়ে ১০৩ রানের অবস্মরনীয় ইনিংসটি খেলেছিলেন বাংলাদেশের সেরা ওপেনার। তামিমের ব্যাটে ৯৪ বল থেকে আসা শতকটি বাংলাদেশীদের হয়ে প্রথম। সেই সময় ১৯৯০ সালে পাকিস্তানের আজহার মাহমুদের ৮৮ বলে করা সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় দ্রুততম ছিলেন তামিম।
মর্যাদাপূর্ণ অনার্স বোর্ডে তামিমের নাম উঠেছিলো। পরের বছর ২০১১ সালে ‘আইসিসি উইসডেন ক্রিকেটার অব দ্যা ইয়ার’ নির্বাচিত হয়েছিলেন তামিম ইকবাল। তবে সেই ম্যাচ ব্যাটসম্যান তামিমের দুহাত ভরিয়ে দিলেও হেরেছিলো বাংলাদেশ। ২৭ থেকে ৩১ মে অনুষ্ঠেয় ম্যাচে স্বাগতিক ইংল্যান্ড জয় পেয়েছিলো ৮ উইকেটে।