আবু সুফিয়ান »
ব্যাটারদের ব্যর্থতায় বাংলাদেশ আগে ব্যাট করে লড়াইয়ের পুঁজি পায়নি। বৃষ্টির কারণে ম্যাচের দৈর্ঘ্য নেমে এসেছিল ৪৩ ওভারে। বাংলাদেশের সংগ্রহ কেবল ৯ উইকেটে ১৬৯। ডাকওয়ার্থ-লুইস-স্টার্ন পদ্ধতিতে আফগানিস্তানের সামনে লক্ষ্য ছিল আরও ছোটো।
যদিও তৃতীয় দফা বৃষ্টিতে ২১.৪ ওভারে ২ উইকেটে ৮৩ রান করেই ১৭ রানের জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। স্বাভাবিকভাবেই এমন হারের পর বাংলাদেশের ব্যাটারদের ওপর আঙুল যাবে সমালোচকদের। অবশ্য এদিন হাফ সেঞ্চুরি করে বাংলাদেশের লড়াকু সংগ্রহ এনে দেয়া তাওহীদ হৃদয়ের বিশ্বাস এই অবস্থা থেকেও ঘুরে দাঁড়িয়ে সিরিজ জেতা সম্ভব।
আশার পালে হাওয়া দিয়ে হৃদয় বলেছেন, ‘অবশ্যই আমরা এখান থেকে খুব ভালোভাবে ফিরে আসব। আমি মনে করি, আমরা যে ছোটখাটো ভুলগুলো করেছি, সেগুলো কমাতে পারলে এখান থেকে ঘুরে দাঁড়িয়েও সিরিজ জেতা সম্ভব। আজকে আমাদের সেরাটা দিতে পারিনি। দু-তিনজন অবদান রাখলেই এখান থেকে ফিরে আসব।’
দিনের শুরুতে টস ভাগ্য বাংলাদেশের পক্ষে যায়নি। তবুও দলের প্রত্যাশা ছিল কেউ একজন বড় ইনিংস খেলে দলকে সম্মানজনক সংগ্রহ এনে দেবেন। গত বেশ কয়েকটি সিরিজেও বিপর্যয় থেকে ঘুরে দাঁড়িয়ে জেতার বেশ কয়েকটি দারুণ স্মৃতিও আছে বাংলাদেশের। তবে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে টপ ও মিডল অর্ডারের ব্যর্থতায় সেটা সম্ভব হয়নি।
এ প্রসঙ্গে হৃদয় বলেন, ‘এর আগেও তো ওদের বোলিংয়ের বিপক্ষে খেলেছি। তখন কেউ না কেউ খেলে দিয়েছিল। শেষ সিরিজে যেমন মিরাজ ভাই এবং আফিফ খেলেছিল। আমাদের আজও মনে হচ্ছিল কেউ না কেউ খেলে দেবে। লোয়ার অর্ডার থেকে একটা ভালো জুটি হবে। সেটা আজ হয়নি।’
এই ম্যাচে তামিম ইকবাল, সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিম তিন অভিজ্ঞ ব্যাটারই বড় রান করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তবুও হৃদয় মনে করেন এই অভিজ্ঞদের ওপরই আস্থা রাখা যায়। দ্রুত ভুল সুধরে তারা পারফর্ম করতে পারলেই ভিন্ন চিত্র হবে বলে বিশ্বাস হৃদয়ের।
তিনি বলেন, ‘এখানে সবাই পরিণত। জাতীয় দলে অনেকেই অনেক দিন ধরে সার্ভিস দিচ্ছে। সবাই অনেক অভিজ্ঞ। সবাইকে ব্যক্তিগতভাবে এখান থেকে বেরিয়ে আসবে। আমরা ড্রেসিংরুমে কথা বলি, সবাই সবাইকে সমর্থন দিই। আমাদের বিশ্বাস, এই জায়গা থেকে ফিরে আসব।’
দফায় দফায় বৃষ্টিতে উইকেটের আচরণ বদলেছে নিয়মিত। হৃদয় জানিয়েছেন অসম বাউন্সের কারণে সমস্যায় পড়তে হয়েছে তাদের। ‘উইকেট কঠিন ছিল না। কিন্তু শুরুর দিকে বল নিচু হয়ে আসায় সমস্যা হচ্ছিল। বাউন্স দুই রকম ছিল। আমরা যদি আরও ভালো করতাম, তাহলে খেলার চিত্রটা ভিন্ন হতে পারত। সব মিলিয়ে আমাদের ব্যাটিং ভালো হয়নি।’
এই ম্যাচ দিয়েই প্রথমবারের মতো রশিদ খানকে মোকাবেলা করেছেন হৃদয়। যদিও মুজিব উর রহমানকে অনূর্ধ্ব-১৯ দল থেকেই চেনা। এমনকি মোহাম্মদ নবির বিপক্ষে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) খেলেছেন হৃদয়। এই ম্যাচের আগে সাকিবের সঙ্গে আফগান স্পিন নিয়ে কথা হয়েছিল হৃদয়ের।
আফগানদের স্পিন মোকাবেলার অভিজ্ঞতা জানিয়ে হৃদয় বলেন, ‘রশিদকে আজকেই প্রথম খেলেছি। মুজিবের সঙ্গে অনূর্ধ্ব-১৯ থেকে খেলেছি। বিপিএলে একই দলে ছিলাম। নবী ভাইকে বিপিএলে খেলেছি। তারা বিশ্বের সেরা বোলিং দল। ওদের বিপক্ষে যদি ভালো করা যায়, তাহলে অন্য স্পিনারদের খেলা অনেক সহজ হবে। সাকিব ভাইয়ের সঙ্গেও এ নিয়ে কথা হচ্ছিল।’