নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা বাংলাদেশ ক্রিকেটের আইকন এবং সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিকেটার ও ব্যক্তিও বটে। মাশরাফীকে প্রকাশ করার জন্য খাতা কলমে লিখে হাজার হাজার পৃষ্ঠা শেষ করলেও একজন মাশরাফী নামকে প্রকাশ করা যাবে না। মাশরাফী নামটা একটা ব্র্যান্ড যাকে বর্ণনা করার কিছু নেই। একজন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা ১৮ কোটি বাঙ্গালীর হৃদয়ের স্পন্দন, হাজারও মানুষের আবেগ, ভালোবাসা আর অনুপ্রেরণার নাম। সাহারা মরুভূমির মত চোরাবালিতে পড়ে থাকা একটি বাংলাদেশের পথপ্রদর্শক। ৩০ লক্ষ শহীদের তরতাজা রক্তের বিনিময়ে অর্জিত লাল সবুজের পতাকার বাহক তিনি একজন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। এত এত ইনজুরি নিয়ে খেলা যাওয়া পৃথিবীর এক মাত্র ক্রিকেটার যার কাছে ইনজুরি মনে হত কয়েক দিনের জন্য রেস্টে থাকা। এত বার ছুঁড়ি কাঁচির নিয়ে গিয়েও ফিরেছেন বাইশগজে। ক্রিকেটের প্রতি অকৃত্রিম ভালোবাসা তাকে দমিয়ে রাখতে পারেনি বাইশগজের বাহিরে। বাইশগজের এই ১৪০+ গতির বল গুলো এখন দেখা না গেলেও তিনি এখন ও বাংলার ক্রিকেটে অনন্য একজন ফাস্ট বোলার।
একটা সময় ছিল সারা বছরে একটি ম্যাচ জয় লাভ করলে দেশের ক্রিকেট প্রিয় মানুষ গুলো খুশিতে আত্মাহারা হয়ে যেত। বছরে একটি দুইটি ম্যাচ জয় লাভ করা দেশটাকে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াবার পথ দেখিয়েছেন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বাংলার ঘনঘটা আকাশে জমে থাকা মেঘে রোদের আলোকঝুঁটিতে ছড়িয়েছেন কাপ্তান মাশরাফী। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা এদেশের ক্রিকেট সেরা পেস বোলার ও সেরা অধিনায়ক ও বটে। এদেশে আরও অধিনায়ক আসবে হয়তো ১৪০+ কিংবা ১৪৫+ গতির পেস বোলার আসবে তবে একজন পেসার মাশরাফী কিংবা একজন ক্যাপ্টেন বাংলাদেশ পরবর্তীতে আসবে কি না তা আজও অজানা। এর পর আর কেউ আসুক আর না আসুক কিন্তু একজন মাশরাফীকে ভোলা সত্যিই সন্দিহান হোক সেটা একজন খেলোয়াড় মাশরাফী হিসেবে হোক সেটা একজন অধিনায়ক হিসেবে কিংবা একজন মানুষ মাশরাফী হিসেবে । একজন ক্রিকেটার মাশরাফী যতটা না জনপ্রিয় তার থেকে তিনি মানুষ মাশরাফী হিসেবে বেশি জনপ্রিয়।
৩৬ পেরিয়ে ৩৭ এ পা দিলেন বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। মাশরাফীর জন্মদিনে আমাদের নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডট কমের পক্ষ থেকে জানাই জন্মদিনের ফুলেল শুভেচ্ছা। ৩৬ পেরিয়ে ৩৭ এ পা দেয়া মাশরাফীর জন্মদিনে জানবো একজন কৌশিক থেকে মাশরাফী হওয়ার পিছনের গল্প। সেই সাথে তার ভালো মন্দ, অর্জন ও আজকের মাশরাফীর নেপথ্যের গল্প।
একজন কৌশিকের জন্ম ও বেড়ে উঠা:
১৯৮৩ সালের ৫ ই অক্টোবর বাবা গোলাম মোর্ত্তজা ও মা হামিদা মোর্ত্তজার কোলকে আলোকিত করে নড়াইলের বুকে জন্ম হয় আজকের এই মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার। মাশরাফীকে নড়াইলের বেশিরভাগ মানুষ কৌশিক নামে চিনতো কারন তার ডাকনাম ছিলো কৌশিক। পরিবারে দুই ভাইয়ের মাঝে তিনি বড় তার ছোট ভাই মুরসালিন বিন মোর্ত্তজা। ছোট কাল থেকেই ছিলেন খেলার প্রতি পাগলপাড়া। তবে শুরু দিকে ক্রিকেটের থেকে ফুটবল ও ব্যাটমিন্টনটাই একটু বেশি খেলা হতো কারন তার বাসার পাশের যে মাঠটি ছিলো তাতে এলাকার বড় ভাইয়েরা ফুটবলটাই বেশি খেলতো। এছাড়াও তিনি চিত্রার পাড়ে প্রচুর সময় কাটাতেন আর চিত্রা নদীতে বন্ধুদের সাথপ সাতার কাটতেন। তবে আস্তে আস্তে একটা সময় এসে ক্রিকেটের প্রতি মায়াটা বেড়ে যায় সেখান থেকেই ক্রিকেটের পথচলা শুরু। ছোটকালে বাবা মার থেকে নানু বাড়িতেই বেশি থাকতেন। তার ছোট থেকে বড় হওয়ার পথে তার খালা ছিলো বেশ বড় নিয়ামক। বলা চলে ছোট বেলাটা তার খালার কাছেই কেটেছে। মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার জনপ্রিয়তা নড়াইলে মানুষের কাছে ব্যাপক তাই তাকে বলা ‘প্রিন্স অব হার্ট’।
ক্রিকেটের পথচলা:
ছোটবেলাতে ফুটবল ব্যাটমিন্টন খেললেও ক্রিকেটটাও বেশ ভালোই খেলতেন তিনি। আজকের মাশরাফী একজন দেশসেরা পেস বোলার হলেও শুরুর দিকে তার ব্যাটিংয়ের ধারটা ছিলো বড় বেশি। অনুর্ধ্ব ১৯ দলে খেলা অবস্থায় তার দুর্দান্ত বোলিংয়ের জন্য জায়গা পান
বাংলাদেশ এ দলে । এ দলের জায়গা হওয়ার পিছনে কৃতিত্বটা অনেকাংশে সেই সময়কার বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব ১৯ দলের অস্থায়ী বোলিং কোচ সাবেক উইন্ডিজ পেসার অ্যান্ডি রবার্টসের। অনুর্ধ্ব ১৯ দলে খেলা অবস্থায় রবার্টসের নজরে পড়েন মাশরাফী। তারপর রবার্টসের কথাতেই জায়গা পান বাংলাদেশ এ দলে। বাংলাদেশ এ দলের হয়ে বেশি খেলার সুযোগ হয়নি তার মাত্র একটি ম্যাচ খেলে জায়গা পান জেক াতীয় ক্রিকেট দলে। ২০০১ সালে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টেস্ট দিয়ে অভিষেক হয় মাশরাফীর। নিজের জাত চেনাতে ভুল করেন নি নড়াইল এক্সপ্রেস। অভিষেকেই ঘটান লঙ্কাকান্ড মাত্র ১০৬ রান দিয়ে ৪ টি উইকেট নেন তিনি। সেই সময়ের জিম্বাবুয়ের সেরা ব্যাটসম্যান কিংবদন্তি গ্র্যান্ট ফ্লাওয়ারের উইকেটটি ছিলো তার প্রথম উইকেট। জাতীয় দলে খেলার আগে খেলা হয়নি তার প্রথম শ্রেণীর কোন ম্যাচ তাই বলা হয় জাতীয় দলের হয়ে খেলা ম্যাচটিই তার প্রথম ফার্স্ট ক্লাস ম্যাচ যা কিনা ১৮৯৯ সালের পর তৃতীয় ও বিশ্বের ৩১ তম ক্রিকেটার হিসেবে এই রেকর্ড গড়েন। ঐ মাসেই রঙ্গিন পোষাকে অভিষেক হয় মাশরাফীর। তারপর থেকে হাজারও বাধা বিপত্তি পেরিয়ে খেলে চলেছেন প্রিয় বাইশগজে।
সাদা পোষাকে মাশরাফী:
ক্রিকেটের সবথেকে অভিজাত ফরম্যাট বলা হয় সাদা পোষাকের টেস্ট ক্রিকেটকে। প্রতিটি ক্রিকেটারেরই স্বপ্ন থাকে জাতীয় দলের হয়ে সাদা পোষাকে খেলার মাশরাফী ও তার ব্যতিক্রম নয়। ২০০১ সালের ৮ ই নভেম্বর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সাদা পোষাকে অভিষেক হয়। অভিষেকেই নিজের জাত চেনাতে ভুল করেন নি মাশরাফী তুলে নেয় নিয়েছিলেন ১০৬ রানে ৪ উইকেট। তবে সাদা পোষাকে বেশিদিন খেলতে পারেননি তিনি। ইনজুরি তাকে মরণ কামড় বসিয়ে দিলে সাদা পোষাক থেকে তাকে গুটিয়ে নিয়ে ফেলেন। ১৮ বছরের ক্যারিয়ারে মাত্র ৩৬ টি টেস্ট খেলেন যেখানে ব্যাট হাতে ৭৯৭ রান করেন। ক্যারিয়ারে কোন সেঞ্চুরির দেখা না পেলেও ফিফটি পেয়েছেন তিনটি যেখানে সেরা ইনিংস ৭৯ রানের। বল হাতে বরাবরই ছিলেন দুর্দান্ত তবে ইনজুরি থাকে সুস্থভাবে খেলতে দেননি। ৩৬ ম্যাচে ৫৯৯০ টি বল করে নিয়েছেন ৭৮ টি উইকেট। ক্যারিয়ারে ৫ উইকেট কিংবা ১০ উইকেট নেই সর্বোচ্চ বোলিং ফিগার ৬০ রানে ৪ উইকেট। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলেন সর্বশেষ টেস্ট।
রঙ্গিন পোষাকে মাশরাফী:
সাদা পোষাকে অভিষেক হওয়ার পর পরই রঙ্গিন পোষাকে অভিষেক হয় মাশরাফীর যার প্রধান নিয়ামক হিসেবে কাজ করে অভিষেক টেস্টে তার বাজিমাত করা। টেস্ট অভিষেকের মাসেই ২৩ শে নভেম্বর সেই জিম্বাবুয়ের সাথেই অভিষেক হয় তার। অভিষেকে এখানেও দুর্দান্ত বল করেন তিনি মাত্র ৮.২ ওভার বল করে ২৬ রান খরচায় তুলে নেন ২ টি উইকেট। রঙ্গিন পোষাকে দেশের হয়ে ২১৭ টি ওয়ানডেতে ১৫৬ ইনিংসে ২০৩৭ টি বল মোকাবেলা করে ১৩.৮৪ গড়ে ১৭৮৬ রান করেন। ক্যারিয়ারে মাত্র একটি ফিফটি করেন ছিলেন ৫১ রানে অপরাজিত যা তার ক্যারিয়ার সেরা ব্যাটিং। ক্যারিয়ারে চার মারেন ১৫০ টি আর ছক্কা মারেন ৬২ টি ।
বল হাতে ২১৭ ম্যাচে ২১৭ ইনিংসে ১০৭৮৯ টি বল করে ৮৭৫৯ রান দিয়ে ৪.৮৭ ইকনোমিতে ২৬৬ টি উইকেট নেন । ক্যারিয়ারে ৫ উইকেট নেন ১ বার ও ৪ উইকেট নেন ৭ বার। ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার ২০০৬ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ২৬ রানে ৬ উইকেট নেন।
দেশের হয়ে ব্যাট হাতে ৫৪ টি ম্যাচে ৩৯ ইনিংসে ২৭৭ টি বল খেলে ১৩৬.১ স্ট্রাইকরেটে ৩৭৭ রান করেন। ৩৬ রান তার ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস। ক্যারিয়ারে ২৮ টি চার ও ২৩ টি ছক্কা মারেন।
বল হাতে দেশের হয়ে ৫৪ ম্যাচে ৫৩ ইনিংসে ১১৩৯ টি বল করে ৮.০৪ ইকনোমিতে ১৫২৭ রান দিয়ে ৪২ টি উইকেট নেন। ক্যারিয়ারে ১৯ রানে ৪ উইকেট যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার।
মাশরাফী ও ইনজুরি:
মাশরাফী আর ইনজুরি শব্দটা যেন একে অপরের পরিপূরক। মানুষের প্রাত্যহিক খাবার রুটিনের মত মাশরাফীর ইনজুরি গল্প। বার বার ইনজুরিতে পড়েছেন তবে কখনো দমে যাননি। ঠিকই ঘাড়ের রগটা বাঁকা করে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়ে ফিরে এসেছেন বাইশ গজে দাপিয়ে বেড়িয়েছেন লাল সবুজের পতাকা হাতে। ক্যারিয়ারের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ক্যারিয়ারটা ইনজুরি নামক শব্দ দিয়ে পড়তে পড়তে গাঁথা। ক্যারিয়ারের শুরুতেই দুরন্ত মাশরাফীর গায়ে ইনজুরির আঘাত। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট খেলতে নেমেই ইনজুরির কালো ছায়ায় আপতিত আজকের কিংবদন্তি মাশরাফী। হাঁটুতে আঘাত পেয়ে শুরু হয় তাঁর ইনজুরির গল্প। ১৮ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ১৩ বার ইনজুরি নামক কালো ছায়ার ছায়াতলে পড়েন সাতবার তো সরাসরি নিজেকে বিলিয়ে দিতে হয়েছে ছুঁড়ি কাচির নিয়ে। ডাক্তার অবশ্য বলেছিলো এভাবে মাশরাফী খেলতে থাকলে একটা সময় এসে পঙ্গু হয়ে যাবে তবুও তিনি দমে যাননি। তিনি কখনো হারতে শিখেন নি শুধু জয়ের জন্য ছুটে চলতেন। ক্যারিয়ারের সবচেয়ে কষ্টকর ইনজুরি ২০১১ সালে বিশ্বকাপের আগের ইনজুরি। সেই ইনজুরি বাংলাদেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত বিশ্বকাপে খেলা থেকে দুরে ঠেলে দেয়। তবুও থমকে যাননি আবারও লড়াই করে ফিরেছেন ক্রিকেটের বাইশগজে। সেই ইনজুরি নিয়ে এখনো খেলে যাচ্ছেন।
অধিনায়ক হিসেবে মাশরাফী:
বাংলাদেশ ক্রিকেটের সর্বকালের সেরা অধিনায়কদের একজন মাশরাফী বিন মোর্ত্তজা। বাংলাদেশের সেরা অধিনায়ক হাবিবুল বাশার নিজেও মনে করেন মাশরাফীই বাংলাদেশের সেরা ক্যাপ্টেন। তাঁর অধিনায়কত্বেই বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি সাফল্য এসেছে এবং বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি ম্যাচে জয় লাভ করেন। অধিনায়ক হিসেবে শুরু জয় দিয়ে হলেও স্বপ্নটা সেখানেই থমকে যায়। ২০০৯ সালে আশরাফুলকপ সরিয়ে প্রথম বারের মত অধিনায়কের দায়িত্ব তুলে দেয়া হয় মাশরাফীর কাঁধে তবে ইনজুরির তাকে অধিনায়কত্ব করতে দেয়নি। প্রথম টেস্ট খেলার সময়ই ইনজুরিতে পড়ে ঐ ম্যাচ ও সফর থেকে ছিটকে যান মাশরাফী। এরপর দ্বিতীয় বারের মত ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে জিম্বাবুয়ে সিরিজকে সামনে রেখে আবারও অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় তাকে। তারপর থেকে এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। এখন পর্যন্ত ওয়ানডেতে ৮৫ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ৪৫ টি ম্যাচে জয় লাভ করে বিপরীতে ৩৬ টি ম্যাচে পরাজয় বরণ করেন। এছাড়া বাকি চারটি ম্যাচ অমীমাংসিত। টি-২০ ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছেন ২০১৭ সালেই তবে তখন পর্যন্ত ২৮ ম্যাচে অধিনায়কত্ব করে ১০ টি ম্যাচ জয় পায় তার দল আর হেরেছে ১৭ টি ম্যাচে বাকি একটি ম্যাচ অমীমাংসিত। আর তিনি একটি মাত্র টেস্টই খেলেন যেখানে বাংলাদেশ জয় লাভ করে। মাশরাফী তার অধিনায়কত্বের জন্য বাংলার ক্রিকেটের কিংবদন্তি।
মাশরাফীর যত অর্জন:
★ ৩১ তম ক্রিকেটার হিসেবে কোন ফার্স্টক্লাস ম্যাচ না খেলে জাতীয় দলে খেলেন।
★২০০৬ সালে এক বছরে সবচেয়ে বেশি উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন ( ৪৯ টি)
★২০১৭ সালে কলকাতাতে সেরা বাঙ্গালীর পুরষ্কার পান
★ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি উইকেটের মালিক ( ২৬৬ টি)
★বাংলাদেশের হয়ে ওয়ানডে অধিনায়ক হিসেবে সবচেয়ে বেশি ম্যাচে জয় লাভ করেন। ( ৪৫ টি)
★বাংলাদেশের হয়ে প্রথম ২০০ ও ২৫০ উইকেট নেয়ার কীর্তি গড়েন।
★অধিনায়ক হিসেবে চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে দলকে সেমিফাইনালে তুলেন ও ২০১৫ বিশ্বকাপে কোয়ার্টার ফাইনালে তুলেন।
★প্রথম ক্রিকেটার হিসেবে অধিনায়ক থাকা অবস্থায় অবসর নেন।
★অধিনায়ক হিসেবে বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশি ম্যাচ খেলেন ( ২১ ম্যাচ)
মাশরাফী নামটাই একটা অনুপ্রেরণার ভান্ডার মাশরাফী মানেই বাংলাদেশ আর বাংলাদেশ মানেই মাশরাফী। সেই নড়াইলের ছোট্ট কৌশিক থেকে আজকের মাশরাফী হওয়ার পিছনে অনেক চড়াই-উতরাই পার করতে হয়েছে। ক্রিকেটের প্রতিটি ধাপে যুদ্ধ করতে হয়েছে ইনজুরি নামক কাল সাপের সাথে। কিন্তু কখনো ইনজুরির কাছে মাথা নত করেন নি তিনি শিখিয়েছেন কিভাবে ইনজুরিকে জয় করে বিশ্ব জয় করা যায়। আজকের বাংলাদেশকে জিতে শেখানো মানুষটা মাশরাফী। মাশরাফী নামটাকে কোন বিশেষণো বিশেষায়িত করার সুযোগ নেই কারন আপনি শেষ করতে পারবেন না। ক্যারিয়ারের ইনজুরির সাথে এতটা যুদ্ধ করতে না হলে তিনি আজ আরও অনেক দুর এগিয়ে যেতেন। মাশরাফীরা প্রতিদিন আসে না তারা যুগ যুগ পর আসে। একজন মাশরাফীকে আপনি পরিসংখ্যান দিয়ে কখনোই বিচার বিশ্লেষণ করতে পারবেন না।
দুই পায়ের ইনজুরিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কলারটা উঁচু করে দৌড়ে যাচ্ছেন দেশের হয়ে এভাবেই দৌড়াতে থাকুন ক্যাপ্টেন। বাংলার মেঘযুক্ত আকাশের রঙ্গিন স্বপ্ন বোনা মানুষটা হয়তো ক্রিকেট ছেড়ে দিবেন তবে এ দেশ, এ দেশের মানুষের হৃদয়ে তার বিচরণ থাকবে যুগ থেকে যুগান্তরে। ভালো থাকুক মাশরাফী ভালো থাকুক ক্যাপ্টেন। শুভ জন্মদিন ক্যাপ্টেন বাংলাদেশ