শোয়েব আক্তার »
নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার আইসিসি বিশ্বকাপ লিগ-২ ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রকে মাত্র ৩৫ রানে গুড়িয়ে দিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েছে নেপাল। ১০০ ওভারের ওই ম্যাচে দুই দল মিলে খেলেছে মাত্র ১৭.২ ওভার। নেপালের বোলাদের বিধ্বংসী বোলিং এ দাঁড়াতেই পারেনি যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাটসম্যান’রা। মাত্র ১২ ওভার কোন রকমে খেলতে পেরেছে যুক্তরাষ্ট্র। ৩৬ রানের মামুলি লক্ষ্য দুই উইকেট হারিয়ে মাত্র ৫.২ ওভারে তুলে ফেলেছে নেপাল।
যুক্তরাষ্ট্রকে মাত্র ৩৫ রানে অল আউট করার পেছনে সবচেয়ে বড় অবদান নেপালের লেগ স্পিনার সান্দিপ লামিচানের। বিশ্বের সব ফ্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টি-২০ ক্রিকেট লিগ গুলোর পরিচিত মুখ লামিচানে মাত্র ১৬ রানে ৬ টি উইকেট দখল করেন। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে প্রথমবারের মতো বোলিং করতে আসেন লামিচানে। ওই ওভারের শেষ বলে নিজের প্রথম উইকেট নেন তিনি। এরপর অষ্টম ওভারে দুটি, দশম ওভারে একটি ও দ্বাদশ ওভারে আরও দুটি উইকেট লাভ করেন এ লেগ স্পিনার। লামিচানের এমন বিধ্বংসী বোলিং ফিগার নেপালের ইতিহাসে সেরা বোলিং ফিগার। এছাড়া সুশান বারি ৫ রানে ৪ উইকেট শিকার করেছেন।
বলার বাহুল্য যুক্তরাষ্ট্রকে ৩৫ রানে অলআউট করার মাধ্যমে বিশ্ব রেকর্ডে গড়েছে নেপাল। আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতে যৌথ ভাবে এটিই সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড। তবে এর চেয়ে কম ওভারে ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রতিপক্ষকে অলআউট করার কৃর্তি আর অন্য কোন দলের নেই।
তবে এ রেকর্ডে আবার নেপালের পাশেই রয়েছে শ্রীলঙ্কা। তারাও জিম্বাবুয়েকে অলআউট করেছিল ৩৫ রানে। এর আগে ২০০৪ সালে নিজেদের ঘরের মাঠে শ্রীলঙ্কার কাছে ৩৫ রানে অল আউট হওয়ার লজ্জা পেয়েছিল জিম্বাবুয়ে। তবে, ওই ম্যাচে জিম্বাবুয়ে খেলেছিল ১৮ ওভার। প্রায় ১৬ বছর পর এ রেকর্ডে নতুন করে নাম উঠলো নেপাল ও যুক্তরাষ্ট্রের।
মাত্র ৩৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে পরশ খাগড়া ১২ বলে ২০ ও দীপেন্দ্র আইরি ১১ বলে ১৫ রান করে দলকে জয় বন্দরে পৌছে দেন।
ওয়ানডে ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ
১. যুক্তরাষ্ট্র – ৩৫, প্রতিপক্ষ-নেপাল(২০২০)
২. জিম্বাবুয়ে – ৩৫, প্রতিপক্ষ-শ্রীলঙ্কা(২০০৪)
৩. কানাডা – ৩৬, প্রতিপক্ষ- শ্রীলঙ্কা(২০০৩)
৪. জিম্বাবুয়ে – ৩৮, প্রতিপক্ষ- শ্রীলঙ্কা(২০০১)
৫. শ্রীলঙ্কা – ৪৩, প্রতিপক্ষ- দক্ষিণ আফ্রিকা(২০১২)