নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ১০৪ রানের বিশাল ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ছুড়ে দেওয়া ২০৬ রানের পাহাড়সম লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে, পুরো বাংলাদেশ দল মিলে তুলতে পারেনি রাইলি রুশোর রানও! যেখানে প্রোটিয়াদের হয়ে ব্যাট হাতে রুশো তুলেছে ১০৯ রান, সেখানে পুরো বাংলাদেশ দলের যৌথ সংগ্রহ ১০১ রান।
৮ ছক্কা ও ৭ চারে ১৯৪.৬৪ স্ট্রাইক রেটে মাত্র ৫৬ বলে ১০৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রুশো।
এর আগে, সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে দিনের প্রথম ম্যাচে টসে জিতে আগে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেয় দক্ষিণ আফ্রিকা।ইনিংসের প্রথম ওভারে বামুমার উইকেট তুলে নেন তাসকিন।পুরো ম্যাচে বাংলাদেশের সাফল্য বলতে গেলে প্রথম ওভারে বামুমার উইকেট। এর পরের গল্পটা শুধুমাত্র রুশো-ককের। তৃতীয় উইকেট জুটিতে কুইন্টন ডি কককে সাথে নিয়ে ১৬৮ রানের জুটি গড়েন রুশো।
চার ছক্কার ফুলঝুরিতে রুশো তুলে নেন আসরের প্রথম শতক।লিটনের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরার আগে ১০৯ রান যোগ করে যান দলীয় রানের খাতায়। ঝড়ো ব্যাটিংয়ে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি কক। ৭ চার ও ৩ ছক্কায় ককের ব্যাট চড়ে আসে ৬৩ রান।
এই দুই ব্যাটারের ব্যাটে চড়ে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ২০৫ রানের পাহাড়সম সংগ্রহ দাঁড় করায় প্রোটিয়ারা।
২০৬ রানের বিশাল লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে দক্ষিণ আফ্রিকার বোলারদের বিধ্বংসী বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেনি কোন বাংলাদেশী ব্যাটার।মাত্র ১৬.৩ ওভারে ১০১ রান তুলতেই গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৩৪ রানের ইনিংস খেলেন লিটন দাশ।
আর এমন লজ্জার রেকর্ড হারের পর কী বলছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক?
ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীর মঞ্চে সঞ্চালক অ্যাডাম গিলক্রিস্টের প্রশ্নের উত্তরে সাকিব বলেন, ‘পরিকল্পনা মাঠে বাস্তবায়ন করতে পারিনি আমরা। বিশেষ করে ইনিংসের শুরুতে, প্রথম ছয় ওভারে। আমাদের উইকেট নিতে হতো। এখানে উইকেট না নিতে পারলে আমরা সব সময় পিছিয়ে থাকব। ওদের হাতে উইকেট ছিল। আর ওরা দুজন যেভাবে খেলেছে, তাতেই ম্যাচটা হাত থেকে ফসকে গেছে।’
টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বড় পরাজয় বাংলাদেশের।টি-টোয়েন্টিতে সবচেয়ে বড় হার ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে, ২০০৮ সালে হেরেছিল ১০২ রানে।