নিউজ ডেস্ক »
আগে দেখা যেতো ভারতীয় পেসাররা ম্যাচে তেমন দাপটীয় ভূমিকা রাখতে পারতেন না। তবে পরিসংখ্যান ঘাটলে দেখা যায় যে শেষ কয়েক বছরে বিশ্ব ক্রিকেটে দাপট দেখিয়ে বেড়াচ্ছেন ভারতীয় পেসাররা। অনেকে মনে করেন একটা সময় ভারতীয় দল ব্যাটিং নির্ভর হলেও বর্তমান সময়ে বোলিং-ব্যাটিং দুই বিভাগই নির্ভরতার প্রতীক হয়ে দাঁড়িয়েছে। গতবছর ভারতে পিং বলে দিবা-রাত্রির টেস্ট ম্যাচ খেলেছিল বাংলাদেশ দল। সেই গোলাপি বলের টেস্টে ভারতের পেস অ্যাটাক সামলানো কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক মুমিনুল হক।
প্রথমবারের মতো গোলাপি বলের টেস্ট খেলতে নেমে ভারতীয় পেসারদের গতি সুইংয়ের সাথে পেরে উঠতে হিমশিম খেয়েছিল বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। প্রথম ইনিংসে মাত্র ১০৬ রানে অলআউট হওয়ার পর দ্বিতীয় ইনিংসে হয়েছিল মাত্র ১৯৫ রান।
সেই টেস্টের দুই ইনিংস মিলিয়ে কোন রানই করতে পারেননি মুমিনুল। মুমিনুল রান না পেলেও রান পেয়েছিলেন মুশফিকুর রহমান। ভারতীয় জনপ্রিয় এক খবরের কাগজের সাথে আলাপকালে বাংলাদেশের এই টেস্ট অধিনায়ক জানিয়েছেন, রাতের বেলা ব্যাট করা খুবই কঠিন। সেই সঙ্গে বিপক্ষ দলে যদি উমেশ-শামিদের মতো বোলার থাকে তাহলে তো অস্বাভাবিক হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন,”গোলাপি বলে রাতে ব্যাট করা প্রচণ্ড কঠিন। বিপক্ষে যদি উমেশ, শামির মতো বোলার থাকে তা হলে অস্বাভাবিক হয়ে যায়। ইডেনে আমি বেশিক্ষণ টিকতে পারিনি। সুইং ও গতিতে খেই হারিয়ে ফেলি। তবে মুশফিক ভাই (মুশফিকুর রহিম) রান পেয়েছিল। ওর অভিজ্ঞতা জানতে চাওয়ায় সে বলেছিল, শুরুর দিকে বল সুইং করে ঠিকই। ৩৫ ওভারের পর থেকে সাদা বলের মতোই আচরণ করে। সেই সময়টা প্রচুর রান ওঠে ।’’
গোলাপি বলে দিনের বেলা ব্যাট করা সহজ হলেও রাতের বেলা ব্যাট করা কঠিন বলে জানিয়েছেন বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যান। যারা রাতে ব্যাট করে তাদেরকে একটু সমস্যার মুখে পড়তে হয়। গোধুলি বেলার বল দেখতেও সমস্যা। যে কারণে স্লিপে ফিল্ডিং করাটা কঠিন হয়ে যায় স্লিপে দাঁড়িয়ে থাকা ফিল্ডারদের জন্য।
এ প্রসঙ্গে মুমিনুল বলেন,”রাতে যদি কোনও দল ব্যাট করে, তাদের সমস্যায় পড়ার সম্ভাবনা বেশি। গোধূলি হওয়ার সময় বল ঠিক মতো দেখা যায় না। স্লিপে ফিল্ডিং করাও কঠিন হয়ে যায়।”