নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
অনুর্ধ্ব-১৯ যুব বিশ্বকাপ চালাকালীন সময়ে সাকিবের মতো জুয়াড়িদের নিশানায় পড়েছিলেন জাতীয় দলের তরুন অলরাউন্ডার আফিফ হাসান ধ্রুব।তবে সাকিবের মতো গোপন রেখে ভুল করেননি এই তরুন।
যুব বিশ্বকাপ চালাকালীন সময়ে নিজের ব্যক্তিগত ইমেইলে অপরিচিত একটি ইমেইল হতে একটি বার্তা পান আফিফ, প্রেরকের বার্তা সন্দেহজনক হওয়ায় কোন বিলম্ব না করে বিষয়টি টিম ম্যানেজমেন্ট ও বিসিবিকে জানায় আফিফ।বিষয়টি গুরুত্বসহকারে নিয়ে বিসিবি আইসিসিকে জানায় সাথে সাথে।
এর কিছুদিন পর জানা যায় আফিফকে ইমেইল করা ব্যক্তিটি আইসিসির চিহ্নিত জুয়াড়িদের একজন।
প্রস্তাব পাওয়ার সাথে সাথে আইসিসিকে জানিয়ে বুদ্ধিমানের কাজ করে বিপদমুক্ত হয়েছিলেন আফিফ।
জানা গেছে সাকিবকে প্রস্তাব দেওয়া জুয়াড়ি আগারওয়াল একইভাবে প্রস্তাব দিয়েছিল তামিম ইকবালকেও।তামিমও সাকিবের মতো ভুল না করে সাথে সাথে প্রস্তাব পাওয়ার বিষয়টি জানিয়েছিলেন বিসিবিকে।
জুয়াড়িরা শুধু আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে তাদের নিশানা করেন না, তারা আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের পাশাপাশি ফ্র্যাঞ্চাইজি ভিত্তিক টুর্নামেন্ট গুলোতে তরুন ও প্রতিভাবান ক্রিকেটারদের টার্গেট করেন, এবং প্রস্তাব দেন ম্যাচ ফিক্সিং কিংবা নিয়মবহির্ভূত কিছু করার জন্য।তরুন ক্রিকেটাররা এসব ব্যাপারে ভাল ভাবে অবগত না থাকায় অনেক সময় জুয়াড়িদের ওই ফাঁদে পা দিয়ে বসেন।যদিও বুদ্ধিমান আফিফকে সেই ফাঁদে ফেলতে সক্ষম হয়নি ওই জুয়াড়ি।
উল্লেখ্য আইসিসির নিয়মঅনুযায়ী জুয়াড়ি থেকে কোন প্রস্তাব কিংবা কোন বার্তা পেলে সেটা আইসিসির দুর্নীতি দমন ইউনিটকে ততক্ষনিক জানাতে হয়।কোন ক্রিকেটার জুয়াড়ির পক্ষ থেকে কোন প্রস্তাব পেলে সেই প্রস্তাবের বিষয় আইসিসি থেকে গোপন করলে তাকেও আইসিসির আইনে অপরাধী বলে গন্য করা হয় এবং শাস্তির সম্মুখীন হতে হয়।একই অপরাধে ইতিমধ্যে সাজা ভোগ করছেন বাংলাদেশী পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান।ভারতীয় এক জুয়াড়ির ফিক্সিং প্রস্তাব পাওয়ার পরও সেটা আইসিসিকে না জানিয়ে গোপন করার অভিযোগে গত ২৯ই অক্টোবর সাকিবকে ১ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি।এছাড়া আরো ১ বছরের শাস্তি স্থগিত অবস্থায় রয়েছে।