প্রেসিডেন্ট কাপের চ্যাম্পিয়ন মাহমুদুল্লাহ একাদশ

নিউজ ডেস্ক »

দীর্ঘ সাত মাস পরে মাঠে ফিরেছিল বাংলাদেশের ক্রিকেট, তিন দল নিয়ে আয়োজন করা প্রেসিডেন্ট কাপের পর্দা নামলো আজ। প্রথম ম্যাচ হেরে শুরু করলেও হাসিমুখেই চ্যাম্পিয়ন ট্রফির মুখ দেখলো মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ এর দল।
প্রেসিডেন্টস কাপের গ্রুপ পর্বে হাসেনি লিটন দাসের ব্যাট। ৪ ম্যাচে করেছিলেন মাত্র ৪৩ রান। তবে রবিবারের ফাইনালে ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের হাফ সেঞ্চুরিতেই শিরোপা জিতলো মাহমুদউল্লাহ একাদশ। তাঁর ৬৯ বলে ৬৮ রানের ইনিংসের ওপর ভর করে ১২২ বল বাকি থাকতে ৭ উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে মাহমুদউল্লাহবাহিনী।
শুরুতে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে নাজমুল একাদশ। দলীয় ৪ রানেই সাইফ হাসানকে সাজঘরে ফেরান রুবেল হোসেন। এরপর সুমন খানের বোলিং তোপে একে একে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন মুশফিকুর রহিম, সৌম্য সরকার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি আফিফ হোসেন ধ্রুবও।
তবে তৌহিদ হৃদয়কে নিয়ে প্রতিরোধের চেষ্টা করেন ফর্মে থাকা ইরফান শুক্কুর। হৃদয় সাজঘরে ফিরলে দলের বাকি ব্যাটসম্যানরাও ব্যস্ত ছিলেন যাওয়া-আসায়। তবে শেষপর্যন্ত লড়াই করে গেছেন শুক্কুর। শেষপর্যন্ত তার ইনিংসে ভর করে ১৭৩ রানের পুঁজি জড়ো করে নাজমুল একাদশ। ৭৭ বলের মোকাবেলায় দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৫ রান করেন শুক্কুর।এছাড়া শান্ত ৩২ ও হৃদয় ২৬ রান করেন। মাহমুদউল্লাহ একাদশের পক্ষে সুমন খান পাঁচটি, রুবেল হোসেন দুটি এবং মেহেদী হাসান মিরাজ, এবাদত হোসেন ও মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ একটি করে উইকেট শিকার করেন।
ব্যাটিং এর মতো বোলিংয়েও নিষ্প্রভ ছিলো নাজমুল একাদশ, মাহমুদুল্লাহ একাদশের দুর্দান্ত ব্যাটিং এর সামনে কিছুই করতে পারেনি তাসকিন রিশাদরা। ১৭৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে শুরুতে মুমিনুল হককে হারালেও লিটন দাস এবং মাহমুদুল হাসান জয়ের ব্যাটে এগোতে থাকে মাহমুউল্লাহর দল। দুজনের ৪৮ রানের জুটিতে দলীয় অর্ধশত পার করে দলটি। ১৮ রানে নাসুম আহমেদের বলে লেগ বিফরের ফাঁদে পরেন তিনি।
দুই উইকেট পরলেও লিটনের ব্যাটে জয়ের লক্ষ্যে এগোতে থাকে মাহমুদউল্লাহরা। তাকে দারুণ সঙ্গ দেন ইমরুল কায়েস। এই জুটিতে দুজন যোগ করেন ৬৩ রান। লিটন তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি।তবে ৬৮ রানে নাসুমের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফেরেন তিনিও। এরপর ক্রিজে নেমে ঝড়ো ব্যাটিং তুলেন মাহমুদউল্লাহ। ইমরুলও প্রতিপক্ষের বোলারদের ওপর তান্ডব চালান। ৬ ছক্কার সাহায্যে তুলে নেন হাফ সেঞ্চুরি। ৫৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি। রিয়াদ অপরাজিত ছিলেন ২৩ রানে।
নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »