পাকিস্তানে যেতে ভারতের অনীহা প্রকাশ, পরিবর্তিত হতে পারে ভেন্যু

সাজিদা জেসমিন »

চলতি বছরেই সেপ্টেম্বরে পাকিস্তানে এশিয়া কাপের ১৫তম আসর অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিলো। ২০০৮ সালে সর্বশেষ এশিয়া কাপ আয়োজনের মধ্য দিয়ে কোন বৈশ্বিক ইভেন্ট আয়োজনের সুযোগ পেয়েছিলো পাকিস্তান। সম্প্রতি মিলেছে আইসিসির অনুমোদন। তবে এরপরও রয়ে যায় সংশয়, আদৌ আয়োজন পাকিস্তানে হবে কিনা?

আইসিসির বর্তামনে শীর্ষস্থানীয় বোর্ড বিসিসিআইয়ের রয়েছে অনীহা। ভারত দল পাকিস্তান যেতে রাজি নয়। ফলে বদলে যেতে পারে ভেন্যু। গুঞ্জন ছিলো এবারের আয়োজন বাংলাদেশে হবে এমনটা বলেই হোম সিরিজ নিশ্চিত করেছিলো পাকিস্তান। তবে বিসিবির পক্ষ থেকে জানানো হয় এ-র সাথে এশিয়া কাপের যোগসূত্র নেই।

তিনি এ-ও বলেন আয়োজনে জটিলতা থাকার কারণে এসিসির সভায় বাংলাদেশ ভেন্যু বদলের প্রস্তাব দিবে পাকিস্তানকে। অপরদিকে, এশিয়া কাপ আয়োজন না হলে পাকিস্তানকে তিন মিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতিপূরণ হিসেবে গুণতে হবে৷ তাই পাকিস্তান চাইবো আয়োজন হোক। তাই কিছুটা আশাবাদী বিসিবি।

দীর্ঘদিন পাকিস্তানে অবস্থান করতে অনীহা থাকায় বাংলাদেশ সফর নিশ্চিত হয়েছে ৩দফায়। ৩ মাসে ৩ দফায় পাকিস্তান যাবে বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দুবাইতে অনুষ্ঠিত পিসিবি-বিসিবি বৈঠকে এ-ই সিরিজের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়। তবে এরপরই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বিসিবিকে। অনেকেই আবার বলছেন এ-র বিনিময়ে এশিয়া কাপ আয়োজনের ভার পাবে বাংলাদেশ।

কিন্তু বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজাম উদ্দিন চৌধুরী এ-ই ব্যাপার অস্বীকার করে বলেছেন পাকিস্তান সফরের সাথে এশিয়া কাপের কোন সম্পর্ক নেই। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘এখানে এশিয়া কাপ ও পাকিস্তান সিরিজের মধ্যে কোন সম্পর্ক নেই। মিটিংয়ে শুধুমাত্র পাকিস্তানের ভেন্যু পরিবর্তনের ব্যাপারে একটু আলোচনা হয়েছিল। পাকিস্তান এশিয়া কাপের আয়োজক কিন্তু তারা হয়তো এটি আয়োজন করতে পারছেনা কেননা ভারতের পাকিস্তানে যেতে অনীহা রয়েছে।’

ভারতের কথা ভেবে পিসিবি কিছু ম্যাচ নিরপেক্ষ ভেন্যুতে আয়োজন করার কথা ভাবতে পারে। যেটি আসলেই ব্যয়বহুল ও অবাস্তব। ফলে এই সুযোগটা বিসিবি কাজে লাগাতে চাইবে। বিসিবি থেকে পুরো আয়োজন নিজেদের মাটিতে নিয়ে আসার প্রস্তাব দেওয়া হবে পিসিবিকে। নিজামউদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘পাকিস্তান হয়তো এধরণের প্রস্তাব দিতে পারে, কিছু ম্যাচ পাকিস্তানে আয়োজিত হবে, আর বাকিগুলো ভারতের সুবিধার্থে দুবাই কিংবা মালেশিয়াতে হবে। তবে এটি কিছুটা অবাস্তবই বলা যায় কারণ এতে টুর্নামেন্টের দৈর্ঘ্য ও খরচ বেড়ে যাবে।’

এবার আয়োজনে ব্যর্থ হলে বড় অঙ্কের ক্ষতিপূরণ গুনতে হবে পিসিবিকে। তাই বিসিবিও সেই সুযোগ নিতে প্রস্তাব দিবে আয়োজন বাংলাদেশে করার। নিজামুদ্দিন বলেন, ‘অবশ্যই আমরা আগ্রহী। পাকিস্তান কখনো চাইবেনা এশিয়া কাপ আয়োজন না হোক। কেননা আয়োজন না হলে তাদের বড় আর্থিক ক্ষতির (তিন মিলিয়ন ডলার) মুখে পড়তে হবে। ফেব্রুয়ারিতে এসিসি সভায় ভেন্যু নিয়ে একটা আলোচনা হবে। যদি আমরা আয়োজনের আগ্রহ প্রকাশ করি তাতে পিসিবি রাজি হবে কি হবে না সেটা তাদের একান্ত সিদ্ধান্ত।’

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »