নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
গতকাল (২১ অক্টোবর) বাংলাদেশ ক্রিকেটে দেখা দেয় শঙ্কা। যেখানে সিনিয়র ক্রিকেটার সহ সকল ক্রিকেটার ধর্মঘটের মাধ্যমে ১১দফা দাবি করেন। বর্তমান সময় বাংলাদেশ ক্রিকেট পরিচালনাবৃন্দ দের প্রতি অসন্তোষ প্রকাশ করেছে সাকিব তামিম মুশিরা। ক্রিকেটারদের সুখ দুঃখে পাশে থাকার জন্য ১৯৯৯ সালে গঠন করা হয় একটি সংগঠন। যার নাম হলো ক্রিকেটার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা কোয়াব। অথচ তারাই এখন ক্রিকেটারদের অসন্তোষের কারণ!
ক্রিকেটারদের ‘অসন্তোষের কারণ’ হওয়ারও যৌক্তিক কারণ রয়েছে। ২০০৮ সালে কোয়াবের কমিটি গঠিত হয়। সেই কমিটিতে সভাপতির দায়িত্ব পান প্রথম টেস্ট অধিনায়ক নাঈমুর রহমান দুর্জয় ও সাধারণ সম্পাদক হন ঘরোয়া ক্রিকেট খেলে সংগঠকের ভূমিকা নেওয়া দেবব্রত পাল।
তার পর থেকে একেক দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন। তার পর দেখা যায় দুর্জয় বোর্ড পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন, তাছাড়া তিনি সংসদ সদস্য ও হয়েছেন। দেবব্রত বিসিবিতে কাজ শুরু করেছেন এবং লজিস্টিক ম্যানেজারের গুরুত্বপূর্ণ পদও সামলেছেন। মাঝখানে পেরিয়ে গেছে ১১ বছর। তবু দুজন ঠাঁয় কোয়াবের নেতৃত্বে। ১১ বছর ধরে চলা একই কমিটি নাকি মাঝখানে আবারও নির্বাচিত হয়েছে- এমনই দাবি তুমুল সমালোচনার কালো মেঘে ঢাকা পড়ার পর!
গতকালের সাকিব – তামিমদের ১১ দফা দাবির একটি ছিলো কোয়াবের কমিটি বাতিল ও নতুন করে গঠন করা। কোয়াব কমিটি নিয়ে নাঈম ইসলাম জানান, ‘কোয়াব থেকে যথাযথ সম্মান পাচ্ছি না আমরা। পাবেনই বা কীভাবে! কোয়াবের মূল কাজ ক্রিকেটারদের স্বার্থ দেখা, বোর্ডকে ক্রিকেটারদের সুবিধা-অসুবিধা জানানো। কিন্তু স্বয়ং কোয়াবের নেতারাই তো বোর্ডে আছেন! উল্লেখ করার মত আরেকটি বিষয়- সংগঠনটির সহ-সভাপতি খালেদ মাহমুদ সুজন, যিনি বোর্ড, জাতীয় দল ও ঘরোয়া ক্রিকেটের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত থাকেন। এছাড়া কোয়াবের কমিটির অনেকেই এখন বোর্ডের শীর্ষ কর্তা।’
সাকিব তামিমের নতুন কোয়াব কমিটি গঠন করার আহ্বানের প্রেক্ষিতে দুর্জয় বলেন, ‘পদত্যাগ করব কেন? ওরা নতুন নেতৃত্ব চায়, জানে আমি নিজেও অনেক কাজে ব্যস্ত থাকি তাই আগের মত সময় দিতে পারি না। আমাদের কমিটির মেয়াদ ৬-৭ মাস আগে মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে। আমরা অবশ্যই সম্মেলন, এজিএম, ইলেকশন করব। তিনি আরো জানান, আগের মত এখানেও নেতৃত্ব ঠিক করে নিতে পারবে খেলোয়াড়রা।’