দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে বিসিবি, পিসিবিসহ অধিকাংশ ক্রিকেট বোর্ড

নিউজ ডেস্ক »

করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অন্যান্য খেলার মতো সব ধরনের ক্রিকেট খেলাও অনির্দিষ্টকালের স্থগিত করা হয়েছে। প্রায় দুই মাসেরও বেশি সময় ধরে ক্রিকেট বন্ধ থাকায় ইতিমধ্যে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়েছে ক্রিকেট বোর্ডগুলো।  এভাবে চলতে থাকলে দেউলিয়া হয়ে যেতে পারে কম স্বচ্ছল বোর্ড গুলো। যাদের মধ্যে রয়েছ বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ‘টাইমস অব ইন্ডিয়া’য এমনটাই জানোনো হয়েছে। ‍শুধু বিসিবি নয় এই তালিকায় রয়েছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) কিংবা শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট (এসএলসি) এর মতো বোর্ডগুলো।

ক্রীড়া বিষয়ক টেলিভিশন চ্যানেল ‘টেন স্পোর্টস’’ এর সঙ্গে এসএলসি, পিসিবি এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের (ডব্লিউআইসিবি) সম্প্রচার স্বত্বের চুক্তি ছিল ছয় বছরের। ২০১৪ সালের করা সেই চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে ২০২০ সালে।

প্রায় ২০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৭০ কোটি টাকার বিনিময়ে ২০১৪ সালে বিশ্ব সম্পচার স্বত্ব বিক্রি করেছিল বিসিবি। চলতি মাসে নতুন চুক্তি স্বাক্ষর হওয়ার কথা থাকলেও  এখন সেটা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

দ্বিপাক্ষিক সিরিজ খেলতে দক্ষিণ আফ্রিকায় যাওয়ার কথা ছিলো ভারতের। এই সিরিজ থেকে ভালোভাবেই লাভবান হতে পারত ক্রিকেট সাউথ আফ্রিকা (সিএসএ)। এই সিরিজটও এখন অনিশ্চিত। আগামী ৬ মাস বা তার বেশি সময় যদি ক্রিকেট বন্ধ থাকে তবে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়বে এই বোর্ডগুলো।

ক্রিকেট ইন্ডাস্ট্রির সঙ্গে জড়িত একজন শীর্ষ কর্মকর্তা বলেন, ‘যদি সহজ ভাষায় বলি  ভারত এবং ইংল্যান্ড ছাড়া বাকি বোর্ড গুলোর ক্রিকেট বিশ্বের এমন পরিস্থিতি হবে যে দিন এনে দিন খাওয়ার মতো।’

শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট বোর্ডের অবস্থাও ভালো নয়। গত কয়েক মাসে ছয় বার খেলা আয়োজন নিয়ে দরপত্র আহবান করলেও দরপত্র নিয়ে কেউ আগ্রহও দেখায়নি বলে জানা গেছে।

গত জানুয়ারি মাসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রিকেট বোর্ডের সঙ্গে টেন স্পোর্টসের চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়েছে। কিন্তু নতুন চুক্তি করা তাদের পক্ষে সম্ভব হয়নি। পাকিস্তান সুপার লিগ (পিএসএল) মাঝপথে থেমে যাওয়ায় বড় ধরনের আর্ধিক মুখে পড়েছে পিসিবি।

বিসিবি এখনও তুলমূলক সুবিধাজনক অবস্থানে আছে। বড় ক্ষতির মুখে এখন পর্যন্ত পড়েনি। তবে চলতি এপ্রিল মাসে নতুন স্পন্সর ও সম্প্রচারক খুঁজে না পেলে বিসিবিকেও এমন খারাপ অবস্থার মধ্যে পড়তে পারে।।

বোর্ডগুলোর বড় আয়ের বড় একটি ‍উৎস আইসিসি’র টুর্নামেন্ট গুলো। যেমন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণকারী প্রতিটি দল গড়ে প্রায় ৫ মিলিয়ন মার্কিন ডলার আয় করে। আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ যদি বাতিল করা হয় তবে তাহলে বড় ধরনের আর্থিক ক্ষতি হবে বোর্ডগুলোর।

ক্রিকেট বোর্ডগুলোর জন্য এখন সবচেয়ে চ্যালেঞ্জ হবে তাদের চুক্তিবদ্ধ খেলোয়াড় এবং অন্যান্য স্টাফদের বেতন পরিশোধ করা। অন্যদিকে সম্প্রচারক ও স্পন্সররা যেভাবে সরে দাঁড়াচ্ছে এবং দ্বিপাক্ষিয় সিরিজ এবং আইসিসি’র আসরগুলো যেভাবে বাতিল হচ্ছে তাতে ভাবষ্যতে বোর্ড গুলোর অস্তিত্ব খুঁজে পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে বড় ধরনের প্রশ্ন থেকে যায়।

নিউজক্রিকেট/এসএমএস

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »