https://scontent.fdac4-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/36386236_2027432020601594_1928619179817041920_n.jpg?_nc_cat=104&_nc_eui2=AeFY40879vpUlXD3TvLuwunYiYPt9keMWugjnmsYPL9A2_cQ-azY1GmWWQy36LFNFzNLAU2kdDYB9vV9Qwdjt7cfxuFbw0DGkcoiJ24B4pOm6Q&_nc_ht=scontent.fdac4-1.fna&oh=926e9b4229d9f6e3ffd66fe5510e3767&oe=5D672D33 »
আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপের দ্বাদশ আসরে আফগানরা খেলতে এসেছে নিজেদের দ্বিতীয় বিশ্বকাপ। ২০১৫ বিশ্বকাপে একতি ম্যাচে জয় পেলেও এবারের আসরে নিজেদের কোটার ৯ ম্যাচের মধ্যে সব কয়টিতেই হারের মুখ দেখতে হয়েছে আসগানিস্তানের। নিজেদের শেষ ম্যাচে ক্যারিবিয়ানদের কাছে তারা বরণ করে নিয়েছে ২৩ রানের হার।
উইন্ডিজের দেয়া ৩১২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দলীয় ৫ রানেই ওপেনার গুলবদিন নাইবকে। রহমত শাহ ও ইকরাম আলি খিল মিলে গড়েন ১৩৩ রানের বিশাল জুটি। ব্যক্তিগত ৭৮ রানে রহমত শাহ ফিরে গেলে আবারও উইকেটে থিতু হন নজিবউল্লাহ জাদরান। সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১৪ রান দূরে থেকে খিল আউট হয়ে ফিরে গেলে দলীয় ৫ রানের ব্যবধানে ফিরে যান জাদরানও। জাদরানের ব্যাট থেকে আসে ৩১ রান। উইন্ডিজকে সমুচিত জবাব দিয়ে দলকে জয়ের দিকেই নিয়ে যেতে চাচ্ছিলেন আজগর আফগান। লোয়ার অর্ডারে বাকি ব্যাটসম্যানরা ব্যর্থ হলে আজগরও ফিরেন ব্যক্তিগত ৪০ রানে। শেষের দিকে শিরজাদের ব্যাট থেকে আসে ২৫ রান। তাকে দুর্দান্ত ক্যাচে পরিণত করে প্যাভিলিয়নে ফেরান ফেবিয়ান অ্যালান।
শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৫০ ওভারের শেষ বলে অলআউট হয়ে আফগানিস্তানের সংগ্রহ থামে ২৮৮ রানে।
এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে দলীয় ২১ রানেই ক্রিস গেইলকে হারায় উইন্ডিজ। মন্থর গতির ব্যাটিংয়ে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন শাই হোপ এবং এভিন লুইস। দুজন মিলে ৭৮ রানের জুটি গড়েন। ইনিংসের ২৫তম ওভারে রশিদ খানের বলে ক্যাচ আউট হয়ে ব্যক্তিগত ৫৮ রানে ফিরে যান লুইস। শাই হোপ অবশ্য স্থায়ী ছিলেন আরও বেশ কিছুক্ষণ। মত্র ৮ রানের জন্য সেঞ্চুরি মিস করে হোপ সাজঘরে যান নবীর বলে। মিডল অর্ডারে দুর্দান্ত ছিলেন হেটমেয়ার, পুরান ও হোল্ডাররা। ৩১ বলে ৩৯ রান করে হেটমেয়ার আউট হলে বাকি সময় ক্রিজে ঝড় তোলেন পুরান এবং হোল্ডার। ইনিংসের শেষ ওভারে পুরান রান আউটে কাটা পড়ার আগে খেলেন ৪৩ বলে ৫৮ রানের ইনিংস। একই ওভারে ৩৪ বলে ৪৫ রান করা হোল্ডার ক্যাচ আউট হয়ে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন। নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ক্যারিবিয়ানদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৩১১ রান।