শোয়েব আক্তার »
চেন্নাইয়ে গতকাল সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে শিমরন হেটমায়ার ও শাই হোপের জোড়া শতকে ভারতকে ৮ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ।তবে ম্যাচ শেষে প্রশ্ন উঠেছে রবীন্দ্র জাদেজার রানআউট নিয়ে।ভারতের অধিনায়ক বিরাট কোহলির মনে করেন, অন্যায়ভাবে আউট করা হয়েছে রবীন্দ্র জাদেজাকে এবং আউট টি না হলে ভারতের স্কোর আরও বেশি হতো।
ইনিংসে তখন ৪৮ তম ওভারের খেলা চলছিলো। উইকেটে ছিলেন রবীন্দ্র জাদেজা, আর শিভাম দুবে।২০ বলে ২১ রান নিয়ে ব্যাট করছেন জাদেজা।আগের বলেই আউট হয়ে ফিরে গেছেন ৩৫ বলে ৪০ রান করা কেদার যাদব, ফলে রান তোলার মূল দায়িত্ব তখন জাদেজার কাঁধেই। কিন্তু পরের বলেই বাধল বিপত্তি। কিমো পলের করা ওভারের চতুর্থ বলটি মিড উইকেটে ঠেলে দিয়ে এক রান নিয়ে নেন জাদেজা। সে বলে আবার সরাসরি থ্রো করে জাদেজার দিককার স্টাম্প ভাঙেন রোস্টন চেজ।
খালি চোখে দেখে মনে হচ্ছিল জাদেজা নিরাপদেই ক্রিজে পৌঁছে গেছেন। ফলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের ফিল্ডারদের আবেদনেও তেমন জোর ছিল না। আম্পায়ার শন জর্জ ও প্রথমে নট আউটই দেন জাদেজাকে। কিন্তু কয়েক সেকেন্ড পর মাঠের জায়ান্ট স্ক্রিন ও টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, আসলে আউট ছিলেন জাদেজা। সেটা দেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক কাইরন পোলার্ডসহ বাকি ক্যারিবীয়রা আবারও আবেদন করেন,তখন মাঠের আম্পায়ার শরণাপন্ন হন তৃতীয় আম্পায়ারের। আউট দেওয়া ছাড়া তখন তৃতীয় আম্পায়ারের দ্বায়িত্বে থাকা রড টাকারের আর কিছু করার ছিল না।
জাদেজা আউট হলেও তাকে আউটের সিদ্ধান্ত দিতে সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় নি বলে মনে করেন বিরাট কোহলি।এজন্য ম্যাচের সময়েও উত্তেজিত হয়ে গিয়েছিলে তিনি।ম্যাচ শেষে পুরস্কার বিতরণীতেও নিজের ক্ষোভের কথা জানিয়ে দিয়েছেন কোহলি।তিনি বলেন, ‘আমি জীবনেও এমন ঘটনা ঘটতে দেখিনি। মাঠের বাইরে বসে কেউ কেন খেলা নিয়ন্ত্রণ করবেন? মাঠের মধ্যে ঘটনা ঘটেছে, মাঠে খেলোয়াড়েরা আবেদন করেছেন, মাঠের আম্পায়ার আউট দেননি। ব্যস, ঘটনা শেষ। বাইরে বসে টিভি দেখে কেউ কেন খেলোয়াড়দের প্রভাবিত করবেন আবেদন করার জন্য? আমি ক্রিকেটে কখনো এমনটা হতে দেখিনি।’
ম্যাচ শেষে আরও ১৫-২০ রানের আক্ষেপ ঝরলো কোহলির কন্ঠে।জাদেজা আউট না হলে স্কোরকার্ডে আরও কিছু রান যোগ হতো বলে মনে করেন তিনি।কোহলি বলছিলেন, ‘জাদেজাকে আউট না দেওয়া হলে আরও ১৫-২০ রান করতে পারতাম হয়তো। মাঠের বাইরে কেউ খেলা নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন না। বাইরের আম্পায়াররা থাকবেন মাঠের আম্পায়ারকে সহযোগিতা করার জন্য, নতুন সিদ্ধান্ত দেওয়ার জন্য নয়। এটা কোনোভাবেই সমর্থন দেওয়া যায় না।’