দুর্জয় দাশ গুপ্ত »
বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লীগের সিলেট পর্ব শুরু হয়েছে আজ। দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে স্বাগতিক সিলেট থান্ডারকে সুপার ওভারে হারিয়েছে কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স।
১৪১ রানের সহজ লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই জনসন চার্লসের উইকেট হারায় সিলেট। পরের ওভার আরেক ওপেনার রনি তালুকদার ফিরে গেলে চাপে পড়ে সিলেট। ব্যাটসম্যানদের আসা-যাওয়ার এই মিছিলে এমন মামুলি লক্ষ্যমাত্রাও পাহাড় সমান মনে হচ্ছিলো। স্কোরবোর্ডে ৩৩ রান যোগ করতেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।
তবে খাঁদের কিনারা থেকে দলকে টেনে তুলেন সোহাগ গাজী। নাজমুল হোসেনকে নিয়ে ষষ্ঠ উইকেটে ৭০ রানের পার্টনারশিপ গড়েন গাজী। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলে তিনি তুলে নেন ফিফটি।
একটা সময় মনে হচ্ছিলো ম্যাচটা হয়তো সিলেট নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসবে। তখনই ১৭তম ওভারে বল করতে এসে আসল কাজটা করেন মুজিব। মাত্র ১ রান দিয়ে তুলে নেন ৩ টি উইকেট।
১০৪ রানে ৮ উইকেট থেকে দলের রান ১৩৫ এ নিয়ে যান নাভীন-উল-হক। তার ৭ বলে ১৫ রানের এক ঝড়ো ইনিংস সিলেটকে আবারো ম্যাচে ফেরায়। শেষ বলে সিলেটের প্রয়োজন হয় ২ রানের। আল-আমিনের করা শেষ বলে ২ রান নিতে গিয়ে রান আউট হলে দুই দলের স্কোর সমান হয়।
নিয়ম অনুযায়ী খেলা গড়ায় সুপার ওভারে।
সুপার ওভারে কুমিল্লার হয়ে বল করতে আসেন মুজিব-উর-রহমান। তার ওভার থেকে সিলেটের দুই ব্যাটসম্যান ফ্লেচার ও রাদারফোর্ড মাত্র ৭ রান নিতে সক্ষম হোন। সুপার ওভারে ৮ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম ২ বল থেকে ৩ রান নেয় কুমিল্লা। এরপর তৃতীয় বলে তুলে মারতে গিয়ে আউট হোন সৌম্য। শেষ ৩ বলে জয়ের জন্য কুমিল্লার প্রয়োজন হয় ৫ রানের। চতুর্থ বলে ডেভিড ভিসে নাভীনকে চার মারলে দু দলের স্কোর আবার সমান হয়। পঞ্চম বলে ১ রান নিয়ে কুমিল্লার জয় নিশ্চিত করেন ভিসে।
এর আগে টস জিতে স্বাগতিক সিলেট থান্ডার প্রথমে বল করার সিদ্বান্ত নেন সিলেট থান্ডারের অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন কুমিল্লার দুই ওপেনার ভেন জিল ও উপল থারাঙ্গা। কিন্তু এর পরে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকলে বিপর্যয়ে পড়ে তারা। দ্রুত ফিরে যান অধিনায়ক সৌম্য সরকার এবং ইয়াসির আলী। এর একটু পরেই ফিরে যান মারমুখী ভঙ্গিতে থাকা থারাঙ্গা। তার ব্যাট থেকে আসে ৩১ বলে ৪৫ রান। সিলেট থান্ডার অধিনায়ক আন্দ্রে ফ্লেচার দারুণ এক ক্যাচ নিলেও ইনজুরিতে পড়ে মাঠের বাইরে যেতে হয়েছে তাকে।
এবাদত, রাদারফোর্ডের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে ব্যর্থ হয়েছে কুমিল্লার মিডল অর্ডার। তবে উইকেটে সেট হয়েও ব্যর্থ হয়েছেন
সাব্বির রহমান। টূর্ণামেন্টের শুরু থেকেই ধীরগতির ব্যাটিং করছেন সাব্বির। আজও তার ব্যতিক্রম ছিল না। ২৫ বল খেলে মাত্র ১৭ রান করে রাদারফোর্ডের বলে বোল্ড হয়ে প্যাভিলিয়নে ফিরেন সাব্বির।
১৬ ওভারে স্কোরবোর্ডে ১১৩ রান যোগ করতেই কুমিল্লা হারিয়ে ফেলে ৬ উইকেট। শেষ চার ওভারে কুমিল্লা ৩ উইকেট হারিয়ে যোগ করে ২৭ রান।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স: ১৪০/৯ ২০ ওভার (থারাঙ্গা ৪৫, অঙ্কন ১৯, সাব্বির ১৭, এবাদত ৩/৩৩, গাজী ২৩/২)
সিলেট থান্ডার: ১৪০/১০ ২০ ওভার (সোহাগ গাজী ৫২, নাভীন ১৫, মিলন ১৩, মুজিব ৪/১২, আল-আমিন ২/৩০)