সানিউজ্জামান সরল »
হাজার কোটি হতাশার জালে বন্দি হয়ে আজ (১১ ফেব্রুয়ারি) দেশের ফিরলেন বাংলাদেশ জাতীয় দল। বাংলাদেশ সময় বিকেল ৪ টা ৫৫ মিনিটে ঢাকায় এসে পৌঁছেছে তারা। রুবেল, আবু জায়েদ আর এবাদত ব্যাতিত সবাই ফিরেছেন আজকের এই ফ্লাইটে। বেশ বিষন্নতা ভরা মলিন মুখেই দেখা গেছে টাইগারদের। রাওয়ালপিন্ডিতে লজ্জার ইনিংস ব্যবধানে হার’ই এর প্রধান কারণ।
এদিন বিমানবন্দরে এক মুহুর্তও দেরি করে নি বাংলাদেশ জাতীয় দল। এমনকি গণমাধ্যম কর্মীদের সঙ্গেও কথা বলে নি মুমিনুলের দলটা। টাইগারদের মত ভক্ত-সমর্থকরাও যেন হতাশ। কেননা আজ হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নেই কোন ভিড়, নেই কোন হৈ-হুল্লোড়। যা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ভিন্ন এক চিত্রই বলা যায়। তার কারণ টাইগাররা কোন দেশ থেকে সফর করে আসার পর হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এর আগে দর্শকদের উপচে পড়া ভিড়। আর আজ যেন দর্শক শূন্যই ছিল বিমানবন্দর।
পাকিস্তান থেকে টাইগাররা ফিরেছে শূন্য হাতে। সেই হাহাকারের অনলে দগ্ধ হচ্ছে এ দেশের ক্রিকেটপ্রেমীরাও। তাইতো বিমানবন্দরে এমন অপ্রত্যাশিত চিত্র দেখা গেল আজ। ক্রিকেটাররাও যেন এসেছে একেবারে চুপিসারেই। তাদের মধ্যেও ছিল নিশ্চুপ এক হাহাকার। যা তাদের মুখের প্রতিচ্ছবি দেখেই স্পষ্ট। রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে ইনিংস এবং ৪৪ রানে হার পোড়াচ্ছে যে তাদেরও! এমন লজ্জায় তারাও যে ভীষণ লজ্জিত। যার ফলেই একরকম মুখ লুকিয়েই বিমানবন্দর ত্যাগ করেছে টাইগাররা।
বাংলাদেশ ক্রিকেট পাড়া যখন বর্নিল সাঁজে সাঁজছে। মিরপুর ও পুরো বাংলাদেশ যখন জুনিয়র টাইগারদের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হওয়ার আনন্দে ভাসছে তখন সিনিয়রদের এমন ব্যর্থতা সত্ত্যিই হতাশার। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামকে অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের বরণ করতে নানা সাঁজে সেঁজেছে। উদ্দ্যেশ্য ছোটদের বরণ করে নেওয়া। আর এমন আনন্দঘন মুহুর্তে মুমিনুল-তামিমদের শূন্য হাতে দেশে ফেরা।
সাদা পোশাকি ক্রিকেটে এই লজ্জার আগে রঙিন পোশাকের সংক্ষিপ্ত ফরমেটেও হারতে হয়েছে টাইগারদের। তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজে মাহমুদউল্লাহর দল হেরেছে ২-০ তে। হতাশার জালে বন্দি হয়ে ৩ এপ্রিল সফরের একমাত্র ওয়ানডে এবং ৫ এপ্রিল সফরের ২য় ও শেষ টেস্ট খেলতে পাকিস্তানে যাবে বাংলাদেশ দল।এখন দেখার বিষয় এটাই, হতাশার এই চরম ধারাবাহিকতাই বজায় থাকবে নাকি হতাশা শেষে আলোর মুখ দেখবে লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা!