কামরুল হাসান রাকিশ »
একজন ইংলিশ ম্যান, একজন ডানহাতি পেসার, একজন ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম পেস হাতিয়ার।
বিশ্ব ক্রিকেটের ত্রাণকর্তা, বিশ্ব ক্রিকেটকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা দেশ ইংল্যান্ড। ইংলিশরা ক্রিকেটকে নিজেদের অন্যতম প্রধান সঙ্গপ্রিয় উপাদান হিসেবে ব্যবহার করা একটি দেশ। যে দেশে অসংখ্য ক্রিকেটের জন্ম। নামীদামী অসংখ্য পেসার, স্পিনার, অলরাউন্ডারের জন্ম। তাদের মধ্যে অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একজন মানুষ, ইংল্যান্ড ক্রিকেটকে নিজের পেস আক্রমণ শক্তি দিয়ে অনেক বাঘা বাঘা ব্যাটসম্যানকে হারিয়ে অনেক তুলে ছিনিয়ে নিয়ে আসার পিছনে যার অবদান অনস্বীকার্য। ভারতীয় ক্রিকেট লিজেন্ট যুবরাজের কাছে ছয় ছক্কা খেয়ে ভেঙে না পড়ে ক্রিকেটে ফিরেছেন বাঘের রূপে। ইংল্যান্ড টি-টোয়েন্টি দলের একজন স্বনামধন্য অধিনায়ক হিসেবে দ্বায়িত্ব পালন করেছেন। বামহাতি ব্যাটসম্যান এবং ডানহাতি সিম বোলারের ভূমিকায় অবতীর্ণ হন তিনি। তিনি হচ্ছেন স্টুয়ার্ড ব্রড।
১৯৮৬ সালের ২৪ই জুন ইংল্যান্ডের নটিংহ্যামশায়ারের নটিংহ্যামে জন্মগ্রহণকারী একজন ছেলে, যিনি টেস্ট ক্রিকেট এবং একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দলের পক্ষ হয়ে ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করছেন। এছাড়াও টি-টোয়েন্টি দলের একজন নিয়মিত মুখ।
ক্রিকেটে যার অভিষেক ঘরোয়া ক্রিকেটে ২০০৫-২০০৭ মৌসুমের কাউন্টি ক্রিকেটে লিচেস্টারশায়ারের হয়ে। সেই পথচলা শুরু, একের পর সাফল্য দিয়ে ক্রিকেটে নিজের স্থানকে আরও পাকাপোক্ত করেছেন তিনি। লিচেস্টারশায়ারের পক্ষাবলম্বন করে পেশাদারী ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। লিচেস্টারশায়ার দলটি তার অধ্যয়নকৃত বিদ্যালয় ওকহ্যাম স্কুলের সাথে সম্পৃক্ত। ২০০৮ সালে নটিংহ্যামশায়ার দলে স্থানান্তরিত হন। এ কাউন্টিতেই তার জন্ম হয়। এছাড়াও, তার বাবা বিসি ব্রড এ দলের পক্ষেই ক্রিকেট খেলেছেন।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অভিষেক একদিনের ক্রিকেটে ২০০৬ সালের ৩০ই আগষ্ট পাকিস্তান ক্রিকেট দলের বিপক্ষে ১৯৭তম ইংলিশ ম্যান হিসেবে। টেস্টে টেস্ট অভিষেক ক্যাপ ৬৩৮তম খেলোয়াড় হিসবে ৯ ডিসেম্বর ২০০৭ শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে।খেলোয়াড়ি জীবনে অসংখ্য সাফল্যগাঁথা ক্যারিয়ার তাঁর।
ব্যাটসম্যান হিসেবে ৯ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৬৯ রান করেন। ২৬ আগস্ট, ২০১০ তারিখে লর্ড’সে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠেয় ঐ টেস্টের ৮ম উইকেট জুটিতে জোনাথন ট্রটের (১৮৪) সাথে ৩৩২ রান করার মাধ্যমে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার প্রথম সেঞ্চুরিটি ছিল পাকিস্তানের বিপক্ষে আগস্ট, ২০১০ সালে। ২০১১ সালে তিনি নটিংহ্যামে ভারতীয় দলের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন। ২০১২ সালে গ্রীষ্মের শুরুতে আঘাতপ্রাপ্তি থেকে ফিরে এসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে বোলিং করেন ৭/৭২ এবং ঐ খেলায় তিনি ১১ উইকেট লাভ করেন।
আইসিসি প্লেয়ার র্যাঙ্কিংয়ে তার সেরা অর্জন ছিল ৩নং স্থান দখল করা।
২১-২৬ মে ২০০৯ অনুষ্ঠিত একদিনের আন্তর্জাতিক সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে হারিয়ে ইংল্যান্ড ২-০ তে সিরিজ জিতে নেয়, সেই সিরিজে “ম্যান অব দ্যা সিরিজ” নির্বাচিত হন স্টুয়ার্ড ব্রড।
এছাড়াও ২০১১ সালে ভারতের বিপক্ষে সিরিজে ইংল্যান্ড ৪-০ সিরিজ জিতেছে, সেই সিরিজেও ম্যান অব দ্যা সিরিজ হওয়ার খেতার অর্জন করেন ব্রড।
সম্মাননা হিসেবে আগস্ট, ২০০৬ সালে ভোটের মাধ্যমে স্টুয়ার্ট ব্রড ক্রিকেট রাইটার্স ক্লাব ইয়ং ক্রিকেটার অব দি ইয়ার মনোনীত হন।
ক্রিকেটীও ক্যারিয়ারে অসংখ্য সাফল্য পেয়েছেন তিনি। আজ তাঁর জন্মদিন।
শুভ জন্মদিন স্টুয়ার্ট ক্রিস্টোফার জন ব্রড।