করোনার সময় অবসরের ঘোষণা দিলেন দুই আম্পায়ার

নিউজ ডেস্ক »

করোনার প্রভাবে স্থবির হয়ে রয়েছে পুরো বিশ্ব। করোনা ভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে সকল প্রকার খেলাধুলা। ক্রিকেট খেলাও তার ব্যতিক্রম নয়। ক্রিকেট খেলাও পুরো দমে বন্ধ রয়েছে। তবে এই দুরাবস্থার মধ্যেও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এবার আম্পায়ারিং থেকে বিদায় নিলেন দুই অষ্ট্রেলিয়ান আম্পায়ার। তারা হলেন: জন ওয়ার্ড ও সাইমন ফ্রাই।

আপনরা হয়তো বিভিন্ন ক্রিকেটার ও বিভিন্ন আম্পায়ারদের সাথে পরিচয় থাকলেও হয়তো সকল আম্পায়ারদের সাথে পরিচয় নেই। যারা জানেন না যে কে এই জন ওয়ার্ড ও সাইমন ফ্রাই তাদেরকে জানানোর জন্য জানাচ্ছি তাদের বিস্তারিত বিবরণ।

ক্রিকেট মাঠে খেলোয়াড়দের যেমন সুরক্ষার প্রয়োজন হয় তেমনি সুরক্ষার প্রয়োজন হয়ে থাকে মাঠে খেলা পরিচালনা করা আম্পায়ারদের ও। ২০১৬ সালে ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো মাথায় সুরক্ষা সরঞ্জাম পড়ে মাঠে খেলা পরিচালনা করতে নেমেছিলেন যে আম্পায়ার তিনি আর কেউ নন বরং তিনিই জন ওয়ার্ড। তিনি হেলমেট পড়ে মাঠে আম্পায়ারিং করতে নেমেছিলেন তার পূর্ব কিছু বাজে অভিজ্ঞতার জন্য। একটি মজার বিষয় রয়েছে এই আম্পায়ারের হেলমেট নিয়ে। জন ওয়ার্ড কিন্তু ” হেলমেট আম্পায়ার ” নামে খ্যাত। এটির কারণ হচ্ছে ২০১৫ সালে ভারত ও অষ্ট্রেলিয়া দুই ক্রিকেট বোর্ডের মধ্যকার আম্পায়ার বিনিময় চুক্তি হয়। সেসময় ভারত গিয়েছিলেন জন ওয়ার্ড। সেই সময় ডিসেম্বরে রঞ্জি ট্রফিতে এক ম্যাচ পরিচালনা করার সময় বল দিয়ে মাথায় আঘাত পান জন ওয়ার্ড। তবে সে যাত্রায় অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান জন ওয়ার্ড। এরপর থেকেই তাকে মাঠে হেলমেট পড়ে আম্পায়ারিং করতে দেখা যায়। যার জন্য তার নাম হয়ে যায় ” হেলমেট আম্পায়ার “।

তবে এবার নিজের আম্পায়ার ক্যারিয়ারকে বিদায় বলে দিয়েছেন জন ওয়ার্ড। তবে অবসর নেবার আগে পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে মোট ১৯টি মৌসুম আম্পায়ারিং এর দায়িত্ব পালন করেছেন। ৫৭ বছর বয়সী জন ওয়ার্ড ৩২টি টেস্ট ম্যাচ, ১১৭টি টি-টোয়েন্টি, ৮৪টি ওয়ানডে ও ৮৭টি লিষ্ট এ ম্যাচে আম্পায়ারিং এর দায়িত্ব পালন করেছেন।

জন ওয়ার্ডের সাথে তার আরেক স্বদেশী আম্পায়ার অষ্ট্রেলিয়ান সাইমন ফ্রাই ও আম্পায়ারিং থেকে বিদায়ের ঘোষণা দিয়েছেন। সাইমন ফ্রাই অবসর নেবার আগ পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেট ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মিলিয়ে মোট ২০টি মৌসুমে আম্পায়ারিং এর দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ৭টি টেস্ট, পুরুষ ও নারী ক্রিকেট মিলিয়ে মোট ৭৬টি ওয়ানডে ও ৯৩টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ পরিচালনা করেছেন। এছাড়া ঘরোয়া ক্রিকেটে ১০০টি প্রথম শ্রেণীর ম্যাচ ও ১৩০টি লিষ্ট এ ম্যাচে দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া তার সবচেয়ে বড় অর্জন হচ্ছে তিনি চারবার ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া ( সিএ ) এর সেরা আম্পায়ারের পুরষ্কার জিতেছেন।

বাংলাদেশ সময়: ৪.৫০ পিএম

নিউজ ক্রিকেট/ জিএনএইচ

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »