কে এম আবু হুরায়রা »
গতকাল গ্রানাডার জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ এবং আইসিসির নবীন সদস্য আয়ারল্যান্ড৷ সিরিজের প্রথম টি২০ তে উইন্ডিজকে হারিয়ে সিরিজে ১-০ তে এগিয়ে যায় সফরকারীরা৷
শক্তিমত্তার বিচারে হোক বা র্যাংকিং এর বিচারে হোক আয়ারল্যান্ড এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের দূরত্ব বেশ অনেকটা। সংখ্যার হিসেবে চার ধাপ নিচে আয়ারল্যান্ড। তাই ম্যাচের ফলাফল সকলেই অনুমান করেই রেখেছিলেন। তবে সকল সম্ভাবনাকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে জয়ের দেখা পায় আয়ারল্যান্ড।
দিনের শুরুতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং করার সিদ্ধান্ত নেন আয়ারল্যান্ডের অধিনায়ক অ্যান্ডি বালবার্নে। শুরুতে ব্যাটিং করতে নেমে ওপেনাররা যেন তাদের ২০১৯ এর ব্যাটিং ফর্মকেই আরও শানিত করে নিয়ে এসেছে এই দশকে। শুরু থেকেই মারমুখি ক্রিকেট খেলে উইন্ডিজ বোলারদের নাভিঃশ্বাস উঠিয়ে দিয়েছে পল স্টার্লিং এবং কেভিন ও’ ব্রায়ান। প্রথম পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ৯৩!
১০ ওভারে রান দাড়ায় ১৩০ এ৷ অথচ উইন্ডিজ বোলারদের কোন সফলতাই নেই। উইকেটে সাচ্ছন্দ্যে খেলছিলেন দুই ওপেনার। তবে ১৩ তম ওভারে দলীয় ১৫৪ রানের মাথায় ক্যারিবিয়ানদের প্রথম ব্রেক থ্রু এনে দেন সদ্য অবসর ভেঙে ক্রিকেটে ফেরা ডিজে ব্রাভো। ব্যাক্তিগত ৪৮ রানে ব্রাভোর বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন ব্রায়ান।
১৫৬ রানের হিডেন ওয়ালশের বলে লুইসের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন দুর্দান্ত খেলতে থাকা স্টার্লিং। ব্যাক্তিগত ৯৫ রানে আউট হন স্টার্লিং৷
নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে আয়ারল্যান্ডের সংগ্রহ ২০৮, ৭ উইকেট হারিয়ে৷
২০৯ রানের জবাবে ব্যাটিং করতে নেমে শুরু থেকেই যথারীতি নিজেদের পরিচিত রূপে ক্যারিবিয়ানরা৷ তৃতীয় ওভারে প্রথম উইকেট হারালেও রানের চাকা ছিলো সচল।
শুরুটা এভিন লইসের হাফ সেঞ্চুরি দিয়ে হলেও শেষটা ছিলো বিষাদের। শেষ ৩ ওভারে প্রয়োজন ছিলো ৪৩ রান। ১৮তম ওভারে গ্যারি ম্যককার্থির বলে ২৭ রান নেন রাদারফোর্ড এবং নিকোলাস পুরান। শেষ ২ ওভারে সহজ টার্গেট ১৬ রান দরকার ছিলো ক্যারিবিয়ানদের। তবে সেটাকেই কঠিন করে তুলেছে আয়ারল্যান্ডের বোলাররা।
শেষ ২ ওভারে রান এসেছে মাত্র ১১। ৪ রানের জয় পায় দারুণ জয় পায় আয়ারল্যান্ড। ম্যাচ সেরা নির্বাচিত হন ৯৫ রান করা পল স্টার্লিং।