আর নয় ফিল্ড আম্পায়ার! নো বলের দায়িত্বে এবার থার্ড আম্পায়ার!

শোয়েব আক্তার »

আন্তর্জা‌তিক ম্যা‌চে অনেক সময় দেখা যায় বোলা‌রের প‌পিং ক্রিজ অতিক্রম ক‌রে বো‌লিং করার ঘটনা মা‌ঠের আম্পায়া‌রের চোখ এড়ি‌য়ে যায়। অনেক সময় এর নে‌তিবাচক প্রভাব খেলার ম‌ধ্যে প‌ড়ে। অব‌শে‌ষে নো-বল ধরার এ দ্বা‌য়িত্ব থে‌কে ফিল্ড আম্পায়ার‌দের মু‌ক্তি দি‌চ্ছে ক্রি‌কে‌টের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসি‌সি। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর আসন্ন নারী টি-২০ বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থে‌কেই নো-বল ধরার ক্ষমতা পে‌তে যা‌চ্ছেন তৃতীয় আম্পায়ার।

২০১৬ সাল থেকে বোলা‌রের প‌পিং ক্রিজ অতিক্র‌ম ক‌রে বল কর‌লে নো-বল ধরার ক্ষমতা তৃতীয় আম্পায়া‌রের কা‌ছে দি‌তে পরীক্ষা-নিরীক্ষা কর‌ছিল আইসি‌সি। পরীক্ষা সফল ভা‌বে সম্পন্ন হওয়ায় আন্তর্জা‌তিক ক্রি‌কে‌টে প‌রিপূর্ণ ভা‌বে নিয়ম‌টি বাস্তবায়ন কর‌তে যা‌চ্ছে আইসি‌সি। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আইসিসি জানিয়েছে সর্ব‌মোট ১২টি ম্যাচে ৪৭১৭ টি বলের সময় বোলারদের পায়ের দিকে নজর রেখেছিলেন টিভি আম্পায়াররা।

ম্যাচগুলোতে তৃতীয় আম্পায়ার ১৩টি ব‌লে বোলার পপিং ক্রিজ অতিক্রম করার কার‌নে ‘নো-বল’ ডেকেছেন, যা মোট বলের ০.২৮ শতাংশ। আইসিসির ভাষ্যম‌তে প্রত্যেকটি বল সঠিকভাবে বিচার করতে পেরেছেন টিভি আম্পায়ার’রা।

বিবৃ‌তি‌তে আইসিসির জেনারেল ম্যানেজার অ্যালারডাইসের বলেন, ‘এই সিদ্ধান্তের ফ‌লে মাঠের বিষয়গুলোর দিকে আরও ভালোভাবে খেয়াল রাখ‌তে পার‌বেন মাঠের আম্পায়াররা। এক সে‌কে‌ন্ডের ও কম সময়ে বোলারের পা থেকে শুরু করে ব্যাটসম্যানদের ব্যাটে বলের স্পর্শ অথবা এলবিডব্লিউ, বলের গতিবিধি খেয়াল রাখা ছিল বেশ কঠিন কাজ।’

আইসি‌সি’র ওই বিজ্ঞ‌প্তি‌তে ‘নো-বলের’ সিদ্ধান্ত কিভা‌বে নেওয়া হ‌বে তার ও ধারণা দেওয়া হ‌য়ে‌ছে। অ্যালারডাই‌সের বলেন, ‘প্রত্যেকটি বলের ডে‌লিভা‌রি হওয়ার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই ফুটেজ টিভি আম্পায়ারের কাছে চলে যাবে। তখনই টি‌ভি আম্পায়ার মা‌ঠের আম্পায়ারদের নো-ব‌লের সিদ্ধা‌ন্তের কথা জানা‌বেন। টি‌ভি আম্পায়ার কোন সিদ্ধান্ত না জানা‌লে বল‌টি বৈধ ডেলিভা‌রি ব‌লে বি‌বে‌চিত হ‌বে।

স্লো-মোশন বা ধীর গ‌তি‌তে ব‌ল ডেলিভারির ফুটেজ দেখতে পারবেন টিভি আম্পায়ার, এছাড়া পাওয়া যা‌বে স্থির চিত্রও। তবে ‘নো বল’ ডাকার ফুটেজের স্বত্ব কোন সম্প্রচারকারী প্র‌তিষ্ঠা‌নের হাতে থাক‌বে না।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »