শোয়েব আক্তার »
নতুন বছরের শুরুতেই সব ধরনের ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন ভারতীয় দলের ফাস্ট মিডিয়াম বোলিং অলরাউন্ডার ইরফান পাঠান।
একটি বেসরকারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে তিনি অবসরের ঘোষণা দেন। এসময় সৌরভ গাঙ্গুলি, রাহুল দ্রাবিড় ও ভিভিএস লক্ষণের সাথে ড্রেসিং রুম ভাগাভাগি করার সুযোগ পাওয়ায় কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন। পাশাপাশি ভক্ত, সমর্থকদের ধন্যবাদ জানান।
প্রায় আট বছর জাতীয় দলের বাইরে থাকা ইরফান অবশেষে সব ধরনের ক্রিকেট কে বিদায় বলে দিলেন। সর্বশেষ ২০১২ সালে ২রা অক্টোবর আন্তর্জাতিক ম্যাচে মাঠে নেমে ছিলেন তিনি।
২০০৩ সালের ১২ ডিসেম্বর এডিলেডে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেট দিয়ে ভারতের জার্সি গাঁয়ে অভিষেক হয় ইরফান পাঠানের। পরের বছরের ৯ জানুয়ারী, মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে একদিনের ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তাঁর। ওডিআই অভিষেকের প্রায় ২ বছর পর ২০০৬ সালের ১লা জানুয়ারী, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে আন্তর্জাতিক টি-২০ তে অভিষেক হয় ইরফান পাঠানের।
ভারতের জার্সি গাঁয়ে ২৯ টি টেস্ট ম্যাচ খেলে ১০০ উইকেট ও ৩১.৫৭ গড়ে ১১০৫ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি। এছাড়া ১২০ টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচে বল করে ১৭৩ টি উইকেট ও ১৫৪৪ রান করেছেন তিনি। ওডিআইতে গড় ২৯.৭৩। একই সাথে ভারতের হয়ে ২৪ টি আন্তর্জাতিক টি-২০ খেলেছেন ইরফান। ২৮ টি উইকেট ও ১৭২ রান সংগ্রহ করেছেন তিনি।
টেস্ট ক্রিকেটে সর্বমোট ৭ ইনিংসে এবং ওডিআইতে ২ বার ৫ বা এর অধিক উইকেট নেওয়ার কৃর্তিত্ব রয়েছে তাঁর। টেস্ট ক্রিকেটে ৫৯ রানে ৭ উইকেট এবং ওডিআইতে ২৭ রানে ৫ উইকেট তাঁর সেরা বোলিং ফিগার।
২০০৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে বেঙ্গালুরুর এম চেন্নাস্বামী স্টেডিয়ামে ১০২ রানের অপরাজিত এক ইনিংস খেলে হারতে বসা টেস্ট ড্র করেন ভারত ইরফান পাঠান। এছাড়া পাকিস্তানের বিপক্ষে হ্যাট্রিক ও চিরস্মরনীয় হয়ে থাকবে।
ব্যাট হাতে খুব একটা সুযোগ না পেলেও ভারতের অনেক ম্যাচ জয়ে ব্যাট হাতেও তাঁর অবদান আছে।পাকিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি ছাড়াও টেস্ট ক্রিকেট ৬টি হাফ-সেঞ্চুরি ও আছে ইরফান পাঠানের।
১৯৮৪ সালের ২৭ অক্টোবর ভারতের গুজরাটে জন্ম নেওয়া এ বাঁহাতি ফাস্ট মিডিয়াম অলরাউন্ডার আন্তর্জাতিক ওডিআইতে দ্রুততম ১০০০ রান ও ১০০ উইকেটের মালিক। এছাড়া ভারতীয় বোলারদের মধ্যে ওডিআই তে দ্রুততম ১০০ উইকেটের রেকর্ড ও তাঁর নামে লেখা।
তাছাড়া ওডিআইতে ভারতের অষ্টম সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রাহক ও টি-২০ তে দেশের পক্ষে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী তিনি।