নিউজ ডেস্ক »
বর্তমানে ক্রীড়া জগতে চলছে এক নিস্তব্ধ নীরবতা। করোনার জন্য থমকে রয়েছে পুরো বিশ্ব ও পুরো ক্রীড়া জগতে রয়েছে থমকে। তবে এখানেই শেষ নয় বরং করোনা পরবর্তী যে ধাক্কা লাগবে সেটাই মোকাবেলা করা হবে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। কেননা করোনার পর বোর্ডগুলো যে আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে এবং আইসিসি তাদের এফটিপির সিরিজগুলো কিভাবে বিন্যস্ত করবে এটা নিয়েও জটিলতা সৃষ্টি হতে পারে। তবে পুরো বিশ্ব ক্রিকেটের স্বার্থে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সাংগঠনিক দক্ষতা কাজে লাগাতে পারে।
বিশ্ব ক্রিকেটের কঠিন সময়ে বিসিসিআই এর সাংগঠনিক দক্ষতা কাজে লাগানো জরুরি। গত সপ্তাহে ভিডিও কনফারেন্সে অংশ নেয়া প্রধান নির্বাহীদের বরাত দিয়ে এই খবর প্রকাশ করেছে কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম। প্রয়োজনে আর্থিক লোকসান পুষিয়ে নিতে দর্শক বিহীন টেস্ট ম্যাচ আয়োজনের চেয়ে আইপিএল আয়োজন বেশি জরুরি বলে মনে করেন তারা। তবে আইসিসিকে এফটিপি পুনর্বিন্যাসে আরো বিচক্ষণতার পরিচয় দিতে হবে বলে মনে করেন সাবেক ভারতীয় ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন।
গত সপ্তাহে আইসিসি ভিডিও কনফারেন্সে ১২টি বোর্ডের প্রধান নির্বাহীদের সাথে আলোচনায় বসে তার মূল এজেন্ডা ছিলো বর্তমান সময়ের এই পরিস্থিতির পর অর্থনৈতিক লোকসান কাটিয়ে কিভাবে ঘুরে দাঁড়ানো যাবে। এখানে সকলেই আইসিসির দ্বিপাক্ষিক সিরিজ, আইসিসির ইভেন্ট, আইপিএল, দ্যা হান্ড্রেড এর মতো টুর্নামেন্টকে ক্ষতি পুষিয়ে নেবার পর হিসেবে দেখছে। কিন্তু বাধ বেঁধেছে কোনো পক্ষ ছাড় দিতে নারাজ। যেভাবেই হোক অষ্ট্রেলিয়া টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করতেই চায়, আবার ভারতের একটাই লক্ষ্য বিশ্বকাপের সময় আইপিএল আয়োজন করা, আবার অন্যদিকে পাকিস্তান এশিয়া কাপ আয়োজন করতে অনড়।
তবে এমন অবস্থায় সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক মোহাম্মদ আজহার উদ্দিন আইসিসিকে লোকসান পুষিয়ে নিতে পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ” ২০২৩ পর্যন্ত পূর্বনির্ধারিত এফটিপি পুনর্বিন্যাসে আইসিসিকে যথেষ্ট দূরদর্শিতার পরিচয় দিতে হবে। কেননা বর্তমানে যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে তাতে করে একটা বিষয় স্পষ্ট তার হচ্ছে পরবর্তী বিশ্বকাপ ও আইপিএল এর মতো জমজমাটপূর্ণ আসর গুলো অনিশ্চয়তায় রয়েছে। কেননা এই আসরগুলো হলে অর্থনৈতিকভখবে সমৃদ্ধি হওয়া যায়। আইসিসির উচিত হবে সব বোর্ডকে সঙ্গে নিয়ে সময়োপযোগী ও একটি দায়িত্বশীল সিদ্ধান্ত নেয়া যেটি ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য ভালো হবে।”
বাংলাদেশ সময়: ৩.২৫ পিএম
নিউজ ক্রিকেট/ জিএনএইচ
