নিউজ ডেস্ক »
ইনজুরি আর মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন যেনো এক সুতোয় গাথা। চোট যেনো কোন কিছুতেই তার পিছু ছাড়ছে না। সদ্য শেষ হওয়া বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে গোড়ালির চোটে পড়েছিলেন এই অলরাউন্ডার। তবে তিনি জানিয়েছেন ইনজুরি তার এখন অভ্যাসে পরিণত হয়ে গিয়েছে।
২০১০ সালে প্রথমবারের মতো বোর্ডের অধীনে সফর করেন সাইফউদ্দিন। আর সেই সময় থেকেই পিঠের চোটে ভুগছিলেন তিনি। সেই চোট এখনও ভোগাচ্ছে তাকে। তারপর সিটি ক্লাব মাঠে অনুশীলন ম্যাচে ড্রাইভ দিতে গিয়ে কব্জির ইনজুরিতে পড়েছিলেন তিনি। এরপর আরও বেশ কয়েকবার চোটে পড়তে হয়েছে তাকে।
সদ্য সমাপ্ত বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ শুরুর আগেই গোড়ালির চোটে পড়েছিলেন সাইফউদ্দিন। যে কারণে টুর্নামেন্টের শুরুর দিকে বেশ কিছু ম্যাচে তাকে ডাগআউটে কাটাতে হয়েছে। তবে শেষ দিকে রাজশাহীর হয়ে তিনটি ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন তিনি। সর্বশেষ এবার লিগামেন্টের সমস্যায় ভুগছেন ২৪ বছর বয়সি এই ক্রিকেটার।
ইনজুরি প্রসঙ্গে সাইফউদ্দিন বলেন,”(একটু হেসে) এটা আসলে অভ্যাস হয়ে গেছে ২০১০ সাল থেকে। যখন আমি অনূর্ধ্ব-১৫ প্রথম বোর্ডের অধীনে কোনো সফর করি। তখনই আমার পিঠে সমস্যা ছিল আর সিটি ক্লাব মাঠে একটা অনুশীলন ম্যাচ হয় ওইখানে ড্রাইভ দিতে গিয়ে কব্জিতে চিড় আমি বুঝতে পারি নাই। তো আমরা যাত্রাতেই আসলে এভাবে কিছু করার নাই। প্রত্যেকটা খেলোয়াড় সমান না যেমন আপনি যদি দেখেন আমাদের রুবেল ভাই মাশাআল্লাহ ১০ বছর ক্রিকেট ক্যারিয়ার উনি খুব বেশি কিন্তু উনি ইনজুরিতে পড়ছে টুকটাক কিন্তু বেশি সময়ের জন্য উনি বাইরে ছিলেন না।’’
তিনি আরও বলেন,’‘আবার যদি দেখেন মাশরাফি ভাই উনি আবার অনেক ইনজুরিতে পড়ে আবার কামব্যাক করছে আবার ইনজুরিতে পড়ছে। তো আসলে একেকটা প্লেয়ারের রোল বা ভাগ্য একেকরকম। আসলে লাকের উপরে তো কারও হাত নাই। আমি যথাযথ চেষ্টা করি নিজেকে ফিট রাখার কিন্তু সম্প্রতি আমি যেটা ইনজুরড হইছি এটা খুবই সিলি খুবই হাস্যকর। ইনজুরি আসলে কারও হাতে থাকে না কন্ট্রোলে থাকে না। তারপরও এসব মানিয়েই আসলে লাইফ। আর একটা জিনিস লাইফে স্ট্রেস না থাকলে লাইফটা মজা নেই। আমি আসলে এটা উপভোগ করি।’’
লিগামেন্টের সমস্যার কারণে তিন সপ্তাহের পর্যবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। ঘরের মাঠে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খেলতে আশাবাদী এই ক্রিকেটার। এ প্রসঙ্গে তাঁর ভাষ্য,’‘হ্যাঁ, আমি আশাবাদী। এরপর আমার কিছু টেস্ট নেবে বোলিং টেস্ট বা রানিং, ফিটনেস ওভারঅল । তো সবকিছু যদি টিকে যাই তাহলে হয়তো বা ছাড়পত্র পাব।”