ডেস্ক রিপোর্ট »
সর্বশেষ জাতীয় দলে শাহরিয়ার নাফিস খেলেছিলেন ৭ বছর আগে ২০১৩ সালে। এরপর আর লাল সবুজের জার্সিতে মাঠে নামা হয়নি এই ওপেনারের। তবে ঘরোয়া ক্রিকেট নিয়মিতই চালিয়ে যাচ্ছেন একসময়ের তারকা এই খেলোয়াড়। এবার বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের ড্রাফট থেকে তাঁকে বেছে নেয়নি কোন দল।
চলতি এই টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে নতুন পরিচয়ে দেখা যাবে এই বাঁহাতি ওপেনারকে। পূর্ণ রূপে ধারাভাষ্যকার হিসেবে তিনি যাত্রা শুরু করতে চলেছেন।
সর্বশেষ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ও বিপিএলের কয়েকটি ম্যাচে ধারাভাষ্যকারের ভূমিকা পালন করতে দেখা গিয়েছিল নাফিসকে। এমনকি প্রেসিডেন্টস কাপেও বাংলাতে ধারাবিবরণী দিয়েছিলেন তিনি।
এবারই প্রথম কোন টুর্নামেন্টে পুরোটা জুড়ে ধারাভাষ্যকার হিসেবে প্রেসবক্সে দেখা যাবে ৩৫ বছর বয়সী নাফিসকে। এই যাত্রা শুরুর আগে তিনি শুভকামনা পেয়েছেন বাংলাদেশ দলের সাবেক অধিনায়ক আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছে।
এ প্রসঙ্গে নিজের ফেসবুক পেজে নাফিস বলেছেন, ”গতকাল ধারাভাষ্যকার হিসেবে আমি নতুন একটি জার্নি শুরু করেছি। আমি এটা আগেও করেছিলাম কিন্তু সেটা পুরো সিরিজ জুড়ে না। যারা আমাকে পচ্ছন্দ করে বা করেনা এমন সকলের কাছেই আমি অভূতপূর্ব সারা পেয়েছি। কিছু ইতিবাচক কিছু গঠনমূলক। তবে সবচেয়ে বড় প্রশংসা আমি পেয়েছি আজকে সকাল ৬টা ১৫ মিনিটে। অষ্ট্রেলিয়া থেকে কিংবদন্তী আমিনুল ইসলাম বুলবুল ভাই আমাকে ফোন করেছিলেন।”
ধারাভাষ্যে এসে খুব বেশি সুনাম না কুড়ালেও নিজের নতুন ভূমিকায় সফল হওয়ার ব্যাপারে আশাবাদী নাফিস। তিনি এজন্য সবার কাছে দোয়াও চেয়েছেন।
তিনি লিখেছেন,”আপনাদের অভূতপূর্ব সমর্থনের জন্য আমি সকলকে ধন্যবাদ জানাতে চাই। আমার কাছ থেকে সকলে যা প্রত্যাশা করে ইনশাআল্লাহ আমি আমার সর্বোচ্চ দিয়ে তা পূরণ করার চেস্টা করব। আমার জন্য সকলে দোয়া করবেন।”
এর আগে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে অভিষেক হয় নাফিসের। ক্যারিয়ারে দেশের হয়ে তিনি ২৪ টি টেস্ট, ৭৫ টি ওয়ানডে এবং ১ টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন। দেশের হয়ে এই বাঁহাতি ২০১৩ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছিলেন।