ডেস্ক রিপোর্ট »
আত্মহত্যা করেছেন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী দলের স্ট্যান্ডবাই সদস্য তরুণ ক্রিকেটার সজিবুল ইসলাম সজিব। তার স্বজনদের দেয়া তথ্য অনুযায়ী তিনি শনিবার (গতকাল) গভীর রাতে নিজের গলায় রশি পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন।
আত্মহত্যার কারণ হিসেবে তাদের দাবি সজিব আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে সুযোগ না পেয়ে এই কাজ করেছেন। তার বড়ভাই বলেন, ” সে ছোট থেকে ক্রিকেট খেলার প্রতি আনেক আগ্রহ ছিল। খেলার জন্য অনেক বকাও খেতে হয়েছে পরিবারের কাছে।”
খেলা শেখার জন্য সে ভর্তি হয় রাজশাহী কাটাখালি ‘বাংলা ট্র্যাক’ নামের একটি ক্রিকেট একাডেমিতে। সেই ক্রিকেট একাডেমির সিইও এবং হেড কোচ হলেন খালেদ মাহমুদ সুজন। তিনি মনে করেন সজিব আসন্ন বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে দল না পাওয়ার কারণে আত্মহত্যা করেনি। কারণ সে ড্রাফট লিস্টেই ছিলোনা।
তার ব্যাপারে বলতে গিয়ে দেশের সংবাদ পত্রিকা কালের কন্ঠকে সুজন বলেন,’আমি বিশ্বাসই করতে পারছি না সজিবের মতো ভদ্র, প্রতিভাবান একটা ছেলে এমন কাজ করতে পারে! মনটা খুব খারাপ হয়ে গেছে খবরটা শুনে। সে ওপেনার এবং মিডিয়াম পেসার ছিল। শাইনপুকুরের হয়ে ফার্স্ট ডিভিশন খেলেছে। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপের প্লেয়ার ড্রাফটেই ওর নাম ছিল না। সুতরাং এজন্য ও আত্মহত্যা করতে পারে বলে মনে করি না।’
সজিব অনূর্ধ্ব-১৯ দলের হয়ে শ্রীলঙ্কা সফরও করেছিলেন। ছিলেন বিশ্বকাপের স্ট্যান্ডবাই খেলোয়াড় হিসেবে। ভারত দলের বিপক্ষে তার একটি ৯৫ রানের ইনিংসও আছে বলে জানা গেছে। পুলিশ তদন্ত করছে আত্মহত্যা কারণ। তবে বঙ্গবন্ধু টি-২০ কাপে ড্রাফটে তার নাম না থাকার কারণে কোনো দলের নেয়ার সুযোগ ছিলোনা।
নিউজক্রিকেট/আরআর