শোয়েব আক্তার »
আকবর আলি ও পারভেজ হোসাইন ইমনের ব্যাটিং দৃঢ়তায় দীর্ঘ অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে শিরোপা খরা ঘুচিয়েছে বাংলাদেশ। গতকাল রাতে অনুর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত কে বৃষ্টি আইনে তিন উইকেটে হারিয়ে বিশ্বজয়ের স্বাদ এনে দেয় জুনিয়র টাইগার’রা।
তবে, ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে ম্যাচ শেষে অভদ্রতার সীমা ছাড়িয়ে গেছে ভারতীয় ক্রিকেটার’রা। বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত হওয়ার পর সৌজন্যতামূলক হাত মেলাতে পর্যন্ত আসে নি ভারতীয় জুনিয়র টাইগার’রা। বাংলাদেশের ক্রিকেটার’রা তাৎক্ষণিক উদযাপন শেষে হাত মেলাতে গেলে উল্টো বাংলাদেশের ক্রিকেটারের হাত থেকে বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা ছিনিয়ে নেওয়ার দৃষ্টিতা দেখায় এক ভারতীয় ক্রিকেটার! পরবর্তিতে অন্য আরেক ক্রিকেটার বাংলাদেশের পতাকা ফিরিয়ে দেন ও দুঃখ প্রকাশ করেন।
ভারতীয় খেলোয়াড়দের সাথে বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের হাতাহাতি শুরু হলে দ্রুত মাঠের ক্যামেরা অন্য দিকে ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। খেলা চলাকালীন সময়ে মাঠে ভারতীয় ক্রিকেটার’রা ক্রমাগত স্লেজিং করতে থাকলেও ম্যাচ হারার পর অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে তারা। একসময় বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা ও মেজাজ হারিয়ে পাল্টা জবাব দেয়। কিছুক্ষণ পর অবশ্য পরিস্থিতি শান্ত হয় ও খেলোয়াড়’রা পরস্পর করকমর্দন করে। মাঠের মধ্যে অনাকাঙ্খিত ঘটনায় বাংলাদেশ অধিনায়ক দুঃখ প্রকাশ করলেও এ ব্যাপারে কোন কথা বলেন নি ভারতীয় অধিনায়ক প্রিয়ম গর্গ।
বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের নির্বাচক হাসিবুল হোসেন গণমাধ্যমের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে বলেন, ‘ ওরা পুরো ম্যাচেই প্রচুর স্লেজিং করেছে। আমরা জেতার পর তা মাত্রা ছাড়িয়ে যায়। আমাদের খেলোয়াড়’রা যখন উদযাপন শুরু করলো, ওরা তখন মা-বাবা তুলে গালি-গালাজ শুরু করলো। কত সহ্য করবে আমাদের খেলোয়াড়’রা। ছেলেরা প্রতিবাদ করতে গেলে ধাক্কা ধাক্কি শুরু হয়।
মাঠে খেলোয়াড়দের মধ্যে বাক্য বিনিময় কিংবা হাতাহাতি হলেও পতাকা ছিনিয়ে নেওয়ার মতো লজ্জাজনক ঘটনা আগে ঘটে নি। এমন অপ্রিতিকর ঘটনার জন্য ইতোমধ্যে তদন্ত শুরু করেছে ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। আজ বিকালের মধ্যে প্রতিবেদন পাওয়ার কথা রয়েছে।