৭ উইকেটের জয়ে সিরিজে সমতা আনলো আফ্রিকা

নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »

 

প্রথম ম্যাচ জেতার পর এদিন সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে মাঠে নামলেও স্বাগতিকদের কাছে একদমই পাত্তা পায়নি তামিম ইকবালের দল। রাবাদা-লুংগিদের পেসের কাছে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে টাইগার ব্যাটসম্যানরা। বাংলাদেশের দেওয়া ১৯৫ রানের টার্গেট ১২.৪ ওভার থাকলেই মাত্র ৩ উইকেট হারিয়ে পার করে ফেলেছে বাভুমার দল।

বাংলাদেশের দেওয়া অল্প রানের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই ঝড়ো মুডে ব্যাট চালাতে থাকেন এই ম্যাচেই একাদশে ফেরা উইকেট কিপার ব্যাটসম্যান কুইন্টন ডি কক। আরেক ওপেনার জানেমন মালানকে নিয়ে মাত্র ১২ ওভারেই ৮৬ রানের উদ্বোধনি জুটি গড়েন ডি কক। ৮৬ রানে ব্যক্তিগত ২৫ রানে মালান বিদায় নিলে ভাংগে তাদের উদ্বোধনী জুটি।

সংগীকে হারালেও ব্যাট হাতে ঝড় অব্যাহত রাখেন ডি কক। মাত্র ২৬ বলে অর্ধশতকে পৌছানো ডি কক শেষ পর্যন্ত ২ ছয় ও ৯ চারের সাহায্যে ৪১ বলে ৬২ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে আউট হন সাকিবের বলে আফিফের দারুণ ক্যাচ হয়ে।

ডি কক আউট হওয়ার পরে যেটুকু বাকি ছিল ওটা খুব সহজেই পার হয়ে যান আফ্রিকান ব্যাটসম্যানরা। ৮২ রানের জুটি গড়ার পর আউট হন বাভুমা। এরপর বাকি পথটুকু ৩৮.২ ওভারেই নির্বিঘ্নে পার করেন ভেরেইন ও ডুসেন। বাংলাদেশের হয়ে সাকিব, মিরাজ ও আফিফ নেন একটি করে উইকেট।

এর আগে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ভয়াবহ ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে টাইগাররা। ইনিংসের ৩য় ওভারেই লুংগির বলে ক্যাচ হয়ে ফিরে যান অধিনায়ক তামিম। এর পরের ওভারেই আগের ম্যাচের ম্যাচ সেরা সাকিবে শূন্য হাতে ফিরিয়ে দেন রাবাদা। এরপর একের পর এক ব্যাটসম্যান আসা যাওয়ার মধ্যে থাকলে এক পর্যায়ে ৩৪ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে বসে টাইগাররা।

এরপর ৬০ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ ও আফিফ। দলীয় ৯৪ রানে রিয়াদকেও শামসি ফিরিয়ে দিলে আবার বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। এরপর দুই তরুণ তুর্কি আফিফ মিরাজ মিলে গড়েন ৮৬ রানের বড় জুটি। দুজনে মিলে দলকে একটা সম্মানজনক স্কোর করার দিকে এগিয়ে নেন। এরপর মাত্র ১ রানের ব্যবধানেই দুজন ফিরে গেলে লড়াইও থেমে বাংলাদেশের। আফিফ করেন ৭২ ও মিরাজ করেন ৩৮ রান। দক্ষিন আফ্রিকার হয়ে রাবাদা ৫ টি, লুংগি, শামসি, পারনেল ও ডুসেন নেন একটি করে উইকেট।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »