সাজিদা জেসমিন »
সময় যতই যাচ্ছে বাড়ছে ব্যস্ততা। ম্যাচের সংখ্যা বাড়ছে, সাথে ব্যস্ত সিডিউল। এ-ই ব্যস্ত সূচীর মধ্যে ফাঁকা সময় খোঁজাই যেন হয়ে উঠেছে দুঃসাধ্য। দিন দিন টি-২০ ম্যাচের সংখ্যা বাড়াতে আইসিসির সিডিউল ব্যস্ততম হয়ে পড়েছে। বিশেষত, আইপিএল যুক্ত হওয়ায় সূচী হয়েছে আরো জটিল।
এদিকে টেস্টে কমছে দিনের সংখ্যা। ২০১৮ থেকে শুরু করে প্রায় টেস্ট ৪দিনে শেষ হয়েছে। সম্প্রতি বক্সিং ডে টেস্টের ২টিতেই ঘটেছে এমন। আর তাই আইসিসির ভাবনায় রয়েছে টেস্টকে ৪দিনের গন্ডিতে বেঁধে দেওয়ার। আর এটাকে লাভজনক ও ভাবছেন আইসিসি সহ অনেকেই।
৪দিনে টেস্ট হলে কমে যাবে প্রায় ৫৮ওভারের মতো। পাশাপাশি সাশ্রয় হবে সময়ের। একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৫ সাল থেকে ২০২৩, এই চক্রে ৪দিনের টেস্ট ম্যাচ হলে সাশ্রয় হতো প্রায় ৩৩৫দিন। যাতে সময় সাশ্রয়ের পাশাপাশি অনেকটা লাভজনক হবে।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান নির্বাহী কেভিন রবার্টস একটা সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘বিষয়টিকে গুরুত্বের সহিত বিবেচনা করা উচিত। সময় এবং ওভারের ক্ষেত্রে বিগত পাঁচ-দশ বছরে টেস্ট ম্যাচের গড় দৈর্ঘ্য কতোদিন ছিল, সেটি ভেবে দেখা দরকার।’
ইতিমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এ বছরেই ২টি চারদিনের টেস্ট অনুষ্ঠিত হয়েছে। দক্ষিণ আফ্রিকা-জিম্বাবুয়ে ও ইংল্যান্ড-আয়ারল্যান্ড বছরের শুরুতে ৪ দিনের টেস্ট ম্যাচ খেলেছে। নতুন বছরে অস্ট্রেলিয়া-আফগানিস্তানের মধ্যেও ৪ দিনের টেস্ট হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সে হিসেবে আইসিসি এ-ই ব্যাপারে ভাবতেই পারে।