নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
একযুগ পর কোপা আমেরিকার শিরোপা ঘরে তুললো ব্রাজিল। ফাইনালে তারা ৩-১ গোলে হারিয়েছে পেরুকে। এই পরাজয়ের ফলে ৪৪ বছর ধরে শিরোপা না পাবার আক্ষেপটা আরোও দীর্ঘায়িত হলো পেরুর।
কোপা আমেরিকার আয়োজক ব্রাজিল মানে শিরোপা যেন তাদের সম্পত্তি । ৫বারের মতো প্রমাণিত। ২০১৪ ঘরের মাঠে যা করতে পারে নি ব্রাজিল সেটার আক্ষেপটা হয়তো কোপার শিরোপা উচিয়ে কিছুটা কমালো।
গ্রুপ পর্বেও দু’দলের দেখা হয়েছিলো। সেবার ৫ গোলে বিদ্ধস্ত হয়েছিলো পেরু। কিন্তু সেমিফাইনালে যে এই দলটি শেষ দুবারের চ্যাম্পিয়ন চিলিকে হারিয়ে এসেছে। তাই সহজে যে ব্রাজিল জিততে পারবে না তা বুঝা গেলো ম্যাচের শুরু থেকেই। সেলেসাওদের সঙ্গে সমান তালে লড়ে গিয়েছে তারা।
তবে প্রথম গোলের দেখাটা পায় ব্রাজিল ১৫ মিনিটে। স্কোরশিটে নাম তোলেন এভারটন। আর তার এই গোলের বলের যোগান দাতা ছিলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস।
ম্যাচের বয়স যখন ৪৪মিনিট, তখন পেনাল্টি পেয়ে যায় পেরু। থিয়াগো সিলভার বল হাতে লাগায় হ্যান্ডবলের সুবাদে পেনাল্টি আর স্পট কিক থেকে পেরুকে ম্যাচে ফেরায় পাওলো গ্যারেরো।
বিরতিতে যাবার ঠিক আগ মুহুর্তে আবারও এগিয়ে যায় ব্রাজিল। এবার দলটির হয়ে গোল করেন জেসুস নিজেই। যিনি শুরুতে তিতের একাদশেই ছিলো না। থাকবে কিভাবে; রাশিয়া বিশ্বকাপে তো নিজের ছায়া হয়ে ছিলেন জেসুস। তবে কোপা আমেরিকায় নিজের স্বরূপে ফিরেছে ম্যান সিটির এই ফরোয়ার্ড। তার গোলে লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ব্রাজিল।
বিরতি থেকে ফিরে ভিলেন হয়ে গেলেন গ্যাব্রিয়েল জেসুস। কার্লোস জামব্রানোকে ফাউল করায় দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে অশ্রুসজল নয়নে মাঠ ছাড়েন জেসুস। টানেলে গিয়েও সে কান্না থামেনি তার।
দশ জনের বেপক্ষে আক্রমণের মাত্রাটা আরোও বাড়িয়ে দেয় পেরু। কিন্তু ফরোয়ার্ডরা সুযোগ কাজে লাগেতে না পারায় ম্যাচে সমতা ফিরতে তো পারে নি উল্টো ব্রাজিলকে দিয়ে দেয় পেনাল্টি।
ম্যাচের শেষ দিকে ব্রাজিলের এভারটনকে ডি-বক্সের ভিতর ফাউল করলে পেনাল্টির বাঁশি বাজায় রেফারি। আর সেখান থেকে গোল করতে ভুল করেন নি রিচার্লিসন। আর এই গোলের ফলে পেরুর ম্যাচে ফেরার স্বপ্ন শেষ হয়ে যায়। আর নবম বারের মতো শিরোপা উঁচিয়ে ধরলো সেলেসাওরা।
টুর্নামেন্টের সেরা খেলোয়াড় হয়েছেন দানি আলভেস, গোল্ডেন বুট এভারটনের দখলে আর এভারটন গোল্ডেন গ্লাভস এলিসনের কাছে।ফেয়ার প্লে এওয়ার্ডটাও পেলো ব্রাজিল।
