হোল্ডারের ‘ডাবল হ্যাটট্রিকে’ সিরিজ জিতল ওয়েস্ট ইন্ডিজ

নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »

 

কাইল মেয়ার্সের ঝড়ো শুরুর পর তাল হারিয়েছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ, পরে কাইরন পোলার্ড-রোবম্যান পাওয়ালের ঝড়ে তারা ঠিকই পেল শক্ত পুঁজি। সেই চ্যালেঞ্জ তাড়ায় জেমস ভিন্স-স্যাম বিলিংস ইংল্যান্ডকে খেলায় রাখলেও আকিল হোসেন-জেসন হোল্ডার হয়ে উঠলেন বিধ্বংসী। হোল্ডার শেষ দিকে চার বলে চার উইকেট নিয়ে শেষই করে দিলেন খেলা। ক্রিকেটের পরিভাষায় যাকে বলে ‘ডাবল হ্যাটট্রিক’।

বার্বাডোজে পঞ্চম টি-টোয়েন্টিতে ইংল্যান্ডকে ১৭ রানে হারিয়েছে ক্যারিবিয়ানরা। পাঁচ ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতে নিয়েছে ৩-২ ব্যবধানে।

বাংলাদেশ সময় সোমবার ভোররাতে (স্থানীয় সময় রোববার রাত) শেষ হওয়া ম্যাচে আগে ব্যাটিং নিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করেছিল ১৭৯ রান। জবাবে ১৬২ পর্যন্ত যেতে পারে সফরকারীরা। ইংল্যান্ডকে ধসিতে দিতে মাত্র ২.৫ ওভার বল করেই ২৭ রানে ৫ উইকেট নিয়ে হিরো হোল্ডার। আকিল ৩০ রানে পেয়েছেন ৪ উইকেট।

শেষ ওভারে ম্যাচ জিততে ইংল্যান্ডের দরকার ছিল ২০ রান। প্রথম বল হয় নো, সঙ্গে একটি সিঙ্গেল নেয় ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। বৈধ প্রথম ডেলিভারি ডট খেলে দ্বিতীয় বল থেকেই শুরু হয় উইকেট পতন। পর পর চার বলে হোল্ডার নেন ক্রিস জর্ডান, স্যাম বিলিংস, আদিল রশিদ ও সাকিব মাহমুদের উইকেট। ম্যাচ শেষ হওয়ার সঙ্গে ডাবল হ্যাটট্রিকের কীর্তিতে নাম উঠে হোল্ডারের।

১৮০ রান তাড়ায় নেমে প্রথম ওভারেই বাঁহাতি স্পিনার আকিলের শিকার হন জেসন রয়। টম ব্যান্টন-ভিন্স মিলে পাওয়ার প্লেতে ঝড় তুলেছিলেন, সবটা পুষিয়ে দেওয়ার পথে ছিলেন তারা। কিন্তু মারা শুরু করতেই বিদায় ব্যান্টনের। চতুর্থ ওভারে দলের ৪০ রানে তিনি ফেরেন ওডেন স্মিথের বলে।

এরপর ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মঈন আলিকে পাশে নিয়ে রান বাড়াচ্ছিলেন ভিন্স। ৪৬ রানের জুটিতে ভিন্সই ছিলেন অগ্রগামী। কিছুটা সময় নিচ্ছিলেন মঈন। তার মন্থর ইনিংস থামান হোল্ডার। ১৯ বলে ১৪ করে মঈন থামার পর পরই ফিরে যান লিয়াম লিভিংস্টোন। ফিফটি তুলে আশা হয়ে টিকে থাকা ভিন্সও পরে শিকার আকিলের। ৩৫ বলে ৫৫ করে তিনি ফিরলে পথ হারায় ইংল্যান্ড।

দ্রুত উইকেট পড়ছিল, রানের চাপও বাড়ছিল। এরমধ্যে ক্রিস পাশে রেখে ঝড় তুলে দলকে খেলায় রেখেছিলেন বিলিংস (২৮ বলে ৪১)। দারুণ ডাবল হ্যাটট্রিকে সে ঝড় থামিয়ে খেলাই শেষ করে দেন হোল্ডার।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে গিয়ে ঝড় তুলেন মেয়ার্স। বাঁহাতি এই ওপেনারের কারণে কাজে লাগে পাওয়ার প্লে। ১৯ বলে ৩১ করে রশিদের লেগ স্পিনে কাটা পড়েন তিনি। খানিক পরই রোমারিও শেফার্ডকে তুলে নেন লিভিংস্টোন। মন্থর খেলতে থাকা ব্র্যান্ডন কিংও শিকার লিভিংস্টোনের লেগ স্পিনে। কিপার ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানও থিতু হয়েছিলেন। কিন্তু দ্রুত রান আনার দাবি মেটাতে পারেননি।

সে দাবি পুরোপুরি মেটে পাওয়েল-পোলার্ডের ব্যাটে। শেষ ৩২ বলে বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ে দুজনে যোগ করেন ৭৫ রান। ২৫ বলে ১ চার, ২ ছক্কায় ৪১ করে অপরাজিত থাকেন পোলার্ড। মাত্র ১৭ বলে ১ চার, ৪ ছক্কায় ৩৫ আসে পাওয়ালের ব্যাটে। পরে হোল্ডার ম্যাজিকে বড় পুঁজি সামলে সিরিজ জয়ের আনন্দে মাতল ক্যারিবিয়ানরা।

নিউজটি বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন »

মন্তব্য করুন »