দুর্জয় দাশ গুপ্ত »
খুলনার দেওয়া ১২২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে একটুও বেগ পেতে হয়নি চট্টগ্রামের ব্যাটসম্যানদের। সিমন্স ও জুনায়েদ সিদ্দিকী চট্টগ্রামকে একটি ভালো শুরু এনে দেন। প্রথম ১০ ওভারে কোনো উইকেটই হারায় নি চট্টগ্রাম। দলীয় ৬৯ রানে আলিসের বলে আউট হোন সিমন্স (৩৬)। নিজের জন্মদিনটা ভালো একটা ইনিংস খেলে উদযাপন করার সুযোগ ছিল জুনায়েদের সামনে। কিন্তু বেশ তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে মিরাজের বলে ফিরতি ক্যাচ দেন তিনি। আউট হওয়ার আগে করেছেন ৩৮ রান।
৬৯ -১ থেকে ১১০ রানে চার উইকেট হারায় চট্টগ্রাম। তবুও কোন বেগ পেতে হয় নি। অধিনায়ক ইমরুল কায়েস দেখেশুনে খেলে ম্যাচের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করেন। চট্টগ্রাম পায় ৬ উইকেটের সহজ জয়।
এর আগে বঙ্গবন্ধু বিপিএলের ৩৩ তম ম্যাচ ও সিলেট পর্বের শেষ দিনের প্রথম ম্যাচে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হয় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স ও খুলনা টাইগার্স। টসে জিতে বল করার সিদ্ধান্ত নেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের অধিনায়ক ইমরুল কায়েস। টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে চট্টগ্রামের দুই পেসার মেহেদী হাসান রানা ও রুবেল হোসেনের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে চাপে পড়ে খুলনা। দুই ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ ও হাশিম আমলা দ্রুতই ফিরে যান। স্কোরবোর্ডে ১৪ রান যোগ করতেই চট্টগ্রাম হারায় তৃতীয় উইকেট। এর পরে দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুশফিক ও রুশো। দলীয় ৬৩ রানে ব্যক্তিগত ২৯ রান করে জিয়াউর রহমানের বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান মুশফিক। মুশি ফিরে গেলে ইনিংস মেরামতের দায়িত্ব পড়ে রুশোর কাঁধে। দলীয় ১০৪ রানে ৪০ বলে ৪৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলে আউট হলে আর ঘুরে দাঁড়াতে পারে নি খুলনা।
খুলনা শেষ ৫ উইকেট হারায় ১৭ রানের মধ্যে। ১০৪ রানে ৫ উইকেট থেকে ১২১ রানে অলআউট হয় খুলনা টাইগার্স। খুলনার পক্ষে রুবেল ও মেহেদী হাসান রানা ৩টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
খুলনা টাইগার্স: ১২১/১০ ১৯.৫ (মুশফিক ২৯, রুশো ৪৮ ; রুবেল ৩/১৭, রানা ৩/২৯)
চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স: ১২২/৪ ১৮.১ (সিমন্স ৩৬, জুনায়েদ ৩৮, ইমরুল ৩০ ; ফ্রাইলিঙ্ক ২/২০)