নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
ম্যাচ শুরুর আগে কাগজে কলমে পাকিস্তানই এগিয়ে ছিলো। মাঠেও সেটার প্রতিফলন দেখা গেলো। ত্রিদেশীয় সিরিজের নিজেদের প্রথম। ম্যাচে পাকিস্তানের কাছে ২১ রানের ব্যবধানে হেরে যাত্রা শুরু করেছে বাংলাদেশ
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে প্রথমে ব্যাট করে মোহাম্মাদ রিজওয়ানের দৃঢ়তায় ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে ১৬৭ রান সংগ্রহ করে পাকিস্তান। জবাবে ৮ উইকেট হারিয়ে ২০ ওভারে ১৪৬ রানই করতে পারে বাংলাদেশ। হার মেনে নেয় রানের ব্যবধানে।
লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে সাবধানী শুরু করেছিলেন দুই ওপেনার মেহেদী মিরাজ ও সাব্বির রহমান। তবে এই জুটি বেশিক্ষণ টিকলো না। মিরাজ ১০ ও সাব্বির বিদায় নেন ১৪ রানে। এরপর হাল ধরেন লিটন দাস ও আফিফ হোসেন।
দুজন মিলে সাবলীল খেলে এগিয়ে নিতে থাকেন দলকে। পার করেন অর্ধশত রানের ঘর। তবে ২৬ বলে ৪ চার ও ১ ছক্কায় ৩৫ রান করে লিটনের বিদায়ের পরই তাসের ঘরের মতো ভেঙ্গে পড়ে বাংলাদেশের ইনিংস।
এক আফিফ (২৩ বলে ২৫) ছাড়া দাঁড়াতে পারেননি আর কেউ। শেষদিকে ইয়াসির আলি রাব্বির ১৯ বলে ২১ বলে ৫ চার ও ২ ছক্কায় ৪২ রানের ইনিংসটা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।
এর আগে টসে হেরে ব্যাট করতে নেমে দারুণ শুরু করেন পাকিস্তানের দুই ওপেনার বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ান। দু’জন মিলে ৬.৩ ওভারেই দলকে ৫০ রানের পুঁজি এনে দেন। এরপর মেহেদি হাসান মিরাজের বলে ২৫ বলে ২২ করে বাবর আউট হলে ভাঙে এই জুটি।
বাবরের বিদায়ে রিজওয়ানের সঙ্গে জুটি বাঁধেন শান মাসুদ। দু’জন মিলে সচল রাখেন রানের চাকা। ১৩তম ওভারে হাসান মাহমুদের তালুবন্দি হন শান। ২২ বলে ৩১ রান করা শানকে ফেরান নাসুম আহমেদ।
এরপর পাকিস্তানকে চেপে ধরেন বাংলাদেশী বোলাররা। দ্রুতই বিদায় নেয় হায়দার আলী (৬ বলে ৬), ইফতেখার আহমেদ (৮ বলে ১৩) ও আসিফ আলী (৪ বলে ৪)।
সতীর্থদের আসা-যাওয়ার মাঝেও রানের চাকা সচল রাখেন রিজওয়ান। তার অপরাজিত ৫০ বলে ৭৮ রানের ইনিংসের সুবাদে ১৬৭ রানের পুঁজি পায় পাকিস্তান। রিজওয়ান অপরাজিত থাকেন ৫০ বলে ৭৮ রানে।