জাকির মামুন »
১৩ জুলাই ১৯৯৭ সালে চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় জন্মগ্রহণ করেন সালাউদ্দিন। ছোটবেলা থেকেই স্বপ্ন দেখতেন তিনি একজন ফুটবলার হবেন। সেজন্য খুব ছোট বয়স থেকেই বড় ভাইদের সাথে খেলতে যেতেন। তার প্রতিভা আর খেলার ধরন দেখে সবাই বলে দিলেন সে একজন ভাল ফুটবলার হবে। দেশের হয়ে ২০১৩, ২০১৫ সালে অনূর্ধ্ব- ১৯ দলে খেলেছেন এই প্রতিভাবান ফুটবলার। বর্তমানে আরামবাগ ক্রীড়াচক্রের রাইট উইং ব্যাক হিসেবে খেলছেন।
নিজের ব্যক্তিগত জীবন ও খেলোয়াড়ী জীবন নিয়ে কথা বলেছেন আমাদের প্রতিবেদক জাকির মামুনের সাথে।
নিউজ ক্রিকেট ২৪: করনার কারণে খেলা স্থগিত, কিভাবে সময় পার করছেন?
সালাউদ্দিন: যেহেতু এখন রমজান মাস সেহেতু বেশিরভাগ সময় ইবাদত করে কাটাচ্ছি।
আর প্রতিদিন কিছু সময় ধরে অনুশীলন করছি।
নিউজ ক্রিকেট২৪: কার অনুপ্রেরণায় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন বুনেন?
সালাউদ্দিন : আমার বড় ভাই ফুটবল খেলতেন। তখনকার সময়ে ফুটবলের জনপ্রিয়তা ছিল অনেক বেশি। ফুটবলারদেরকেও মানুষ অনেক বেশি ভালোবাসতো। এসব দেখে আর বড় ভাইয়ের অনুপ্রেরণায় ফুটবলার হওয়ার স্বপ্ন জাগে।
নিউজক্রিকেট : ফুটবলার হতে কাদের সহায়তা বেশি ছিলো?
সালাউদ্দিন : হাতে খড়ি টা বড় ভাই থেকে হলেও আমি সবকিছু মোটামুটি শিখি চট্টগ্রামের কোচ আলমগীর স্যার এবং হায়দার কবির প্রিন্স স্যারের কাছ থেকে। তিনারা আমাকে যথেষ্ট সহযোগিতা করেছেন।
নিউজক্রিকেট২৪: কবে থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেন?
সালাউদ্দিন : ২০০৭ সালে। এর আগের বছর জেলাভিত্তিক ফুটবলে চট্টগ্রাম জেলা টিম চ্যাম্পিয়ন হয়।
২০০৭ সালে নোবেলজয়ী ডঃ মুহাম্মদ ইউনুস এর সহযোগিতায় জিদানের আমন্ত্রণে বাংলাদেশ থেকে অনূর্ধ্ব -১২ একটি দল ফ্রান্সে খেলতে যায়। আর সে দলের সদস্য একজন ছিলাম আমি। ৪০টি টিমের মধ্যে বাংলাদেশ ২৩তম হয়। এই ৪০টি টিমের বেশিরভাগ দলই ইউরোপ, লাতিন আমেরিকার দল ছিলো।
নিউজক্রিকেট২৪: পেশাদার ফুটবলার হিসেবে কবে অভিষেক হয়?
সালাউদ্দিন : ২০০৯ সালে ঢাকা পাইনিওয়ার লীগে চিটাগাং মাদারবাড়ি উদয়ন সংঘের হয়ে ফুটবলার হিসেবে আমার আত্নপ্রকাশ হয়। ২০১২ সালে ফাস্ট ডিভিশন ক্লাব বাড্ডা জাগরণী ক্লাবের হয়ে খেলি এবং আমরা চ্যাম্পিয়ন হই।
২০১৩-২০১৪, ২০১৪-২০১৫ সিজনে ঢাকা ব্রাদার্স ইউনিয়ন এর হয়ে খেলি। ২০১৫ সালে চট্টগ্রাম আবাহনীতে চুক্তিবদ্ধ হই। কিন্তু হাঁটুর ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি। এরপর আবার সুস্থ হয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নে ফিরে আসি।সেখানে ২০১৫-২০১৬ (২য় রাউন্ড) ও ২০১৬-২০১৭ হয়ে খেলি। ২০১৮-২০২০সিজনে বসুন্ধরা কিংসে ডাক পাই। কিন্তু ইনজুরির কারণে খেলা হয়নি। এবার আরামবাগ ক্রীড়া চক্রের হয়ে খেলার কথা থাকলেও করোনার কারণে স্থগিত।
নিউজক্রিকেট২৪: জাতীয় দলে(বয়সভিত্তিক) খেলার অভিজ্ঞতা কেমন ছিল?
সালাউদ্দিন : দেশের হয়ে খেলাটা গর্বের ব্যাপার। ২০১৩ সালে ইরাকে এবং ২০১৫ সালে নেপালে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দলে আমি খেলি। বাইরের দেশে প্লেয়ারদের সাথে খেললে অনেক কিছু শেখা যায় এবং বোঝা যায়। যা পরবর্তীতে আমাদের জন্য ভাল কাজ করে।
নিউজক্রিকেট২৪: কোচ হিসেবে কাকে আপনার বেশি পছন্দ?
সালাউদ্দিন : দেশে কোচ হিসেবে চট্টগ্রাম আবাহনীর কোচ মারুফুল হক কে আমার ভালো লাগে, যদিও তার অধীনে খেলা আমার হয়নি। আর বিদেশিদের মধ্যে গার্দিওলা কে ভালো লাগে।
নিউজক্রিকেট২৪: দেশি প্লেয়ারদের মধ্যে কাদের খেলা ভালো লাগে?
সালাউদ্দিন : নুরুল নাঈম ফয়সাল, তৌহিদুল ইসলাম সবুজ, মামুনুল ইসলাম সহ আরও অনেকের খেলা ভালো লাগে।
নিউজক্রিকেট২৪: কাকে অনুকরণ করেন এবং আদর্শ মানেন?
সালাউদ্দিন: দানি আলভেস কে। সে আমার পজিশনে খেলে, তাই আমি তাকে বেশি ফলো করি।
নিউজক্রিকেট২৪ : বাংলাদেশ দল ব্যতীত কোন দলকে আপনি সাপোর্ট করেন?
সালাউদ্দিন : আর্জেন্টিনা। মেসির খেলা আমার খুব ভালো লাগে।
নিউজক্রিকেট২৪ : অবসরে কি করতে ভালোবাসেন?
সালাউদ্দিন : পরিবারের সাথে সময় কাটাতে এবং বন্ধুদের সাথে ঘুরতে আর আড্ডা দিতে।
নিউজক্রিকেট২৪ : আপনার ব্যক্তিগত লক্ষ্য কি?
সালাউদ্দিন : বাংলাদেশ জাতীয় দলের খেলা। দেশের প্রতিনিধিত্ব করা।
নিউজক্রিকেট২৪: আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ ও আপনার জন্য রইল শুভকামনা।
সালাউদ্দিন : আপনাকে এবং নিউজ ক্রিকেট২৪ এর সকল পাঠক কে ধন্যবাদ জানাই।