নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
একটি দলকে যদি উন্নত করতে হয় তবে তার পাইপলাইনকে মজবুত করতে হবে। পাইপলাইন যদি মজবুত না হয় তবে একটি দলকে ভবিষ্যতে বড় বিপত্তিতে পড়তে হয়। আর পাইপলাইনের একটা বড় অংশ বাংলাদেশ দলে আসে অনুর্ধ্ব-১৯ দল থেকে। আজকের সাকিব তামিমরা একসময় অনুর্ধ্ব-১৯ কাঁপিয়েছে। আর এখনকার ইয়াং স্টার মেহেদী হাসান মিরাজ উঠে এসেছেন এই অনুর্ধ্ব-১৯ দল থেকে।
বর্তমানের বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দল বেশ ভালো বলাই যায়। এখন অবধি যা খেলেছে তাতে বলাই যায় এই দলটা সামনে আরো ভালো কিছু করবে এবং এই দল থেকে কেউ কেউ ভবিষ্যতে বাংলাদেশ দলের কান্ডারি হবে।
বেশিদিন নয় কিছুদিন আগেই ইংল্যান্ডে বাংলাদেশ, ভারত ও ইংল্যান্ড অনুর্ধ্ব-১৯ দলকে নিয়ে হয়েছিলো একটি ত্রিদেশীয় সিরিজ। যাতে দারুন পারফরম্যান্স করেছিলো বাংলাদেশ যুবারা। সিরিজে ইংলিশদের সাথে তার দেখায় একটিতেও হারেনি বাংলাদেশ। আর ভারতের সাথে দুর্দান্ত খেললেও ফাইনালে এসে হেরে যায়। তবে পুরো আসরে বেশ দাপুটে ছিলো বাংলাদেশ।
এবার বাংলাদেশ অনুর্ধ্ব-১৯ দলের সামনে নতুন মিশন অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপ। এইরকম দল নিয়ে এবারের এশিয়া কাপে বাংলাদেশ ভালো কিছু প্রত্যাশা করতেই পারে। গত এশিয়া কাপে ঘরের মাঠে সেমি ফাইনালে ভারতের কাছে ২ রানে হেরে যায় বাংলার যুবারা। এবারের আসর বসবে শ্রীলঙ্কায়। এটি অনুর্ধ্ব-১৯ এশিয়া কাপের অষ্টম আসর। বাংলাদেশ কখনোই এই এশিয়া কাপের চ্যাম্পিয়ন তো দূরে থাকা ফাইনালে উঠে রানার্সআপ হবার সৌভাগ্য অর্জন করতে পারেনি। বাংলাদেশ ব্যতীত সকল টেস্ট দল একবার হলেও ফাইনাল খেলেছে। এমনকি টেস্টের নবাগত এশিয়ান দল আফগানিস্তান তো একবার চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
৮ দলের এই লড়াইয়ে “এ” গ্রুপে আছে ভারত, পাকিস্তান, আফগানিস্তান ও কুয়েত। আর “বি” গ্রুপে আছে বাংলাদেশ, শ্রীলঙ্কা, নেপাল, সংযুক্ত আরব আমিরাত। বাংলাদেশ তুলনামূলক সহজ গ্রুপে পড়েছে। বাংলাদেশের প্রথম খেলা ৬ তারিখ সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে। আর ৮ ও ১০ তারিখ যথাক্রমে নেপাল ও স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। এই টুর্নামেন্টের ফাইনাল অনুষ্ঠিত হবে ১৪ সেপ্টেম্বর।
এইবারে ইংল্যান্ডের মাটিতে বাংলাদেশ যেভাবে দাপুটে পারফরম্যান্স করেছে সেই পারফরম্যান্স যদি এখানে অব্যাহত রাখে তবে প্রথমবারের মতো ফাইনাল বা চ্যাম্পিয়ন হবার আশা করা যেতেই পারে। ইংল্যান্ডে ছিলো ভিন্ন কন্ডিশন। আর এখানে হবে এশিয়াতে নিজেদের পরিচিত কন্ডিশন। তাই ভালো কিছুর আশা করাই যায়।