শোয়েব আক্তার »
এক সময় চোর্কাস বলা হত নিউজিল্যান্ডকে। সবসময় দূর্দান্ত খেলতে থাকা দলটা বড় মঞ্চের নক আউট পর্বে এসেই কেন জানি খেঁই হারিয়ে ফেলতে। এবার সেই দলের গাঁয়ে তকমা লেগে যাচ্ছে “ট্রাজেটিক” দল হিসেবে। কেননা, ৭ টি-২০ ও এক ওয়ানডে সুপার ওভারের মধ্যে ৭ বার ই পরাজয়ের মুখ দেখতে হয়েছে নিউজিল্যান্ড কে। তার উপর লর্ডসে ২০১৯ বিশ্বকাপে শিরোপা হাত ছাড়া করা সেই ম্যাচের স্মৃতি তো এখনও সবার মনে গেথে আছে!
ভারতের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের টি-২০ সিরিজের তৃতীয় ম্যাচের পর এবার চতুর্থ ও ম্যাচ ও নিষ্পত্তি করার জন্য শেষ পর্যন্ত গড়ায় সুপার ওভারে! এর আগে টানা দুই ম্যাচ কিংবা একই সিরিজে পরপর দুই ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ানোর ঘটনা কখনও ঘটে নি!
শেষ ওভারে জয়ের জন্য নিউজিল্যান্ডের দরকার ছিল মাত্র সাত রান। হাতে ছিল সাত উইকেট। কিন্তু শারদুল ঠাকুরের করা ওই ওভারের বল গুলো কিইউই ব্যাটসম্যানদের জন্য হয়ে উঠে দুর্ভেদ্য। প্রথম বলে রস টেইলর, তৃতীয় বলে সেইফ্রিট রান আউট, পঞ্চম ও ষষ্ঠ বলে মিচেল এবং সেটনার আউট হয়ে গেলে ম্যাচ টাই হয়ে যায়।
জাসপ্রিত বুমরাহ’র করা সুপার ওভারে ১ উইকেট হারিয়ে ১৩ রান সংগ্রহ করতে পারে নিউজিল্যান্ড। কিইউইদের পক্ষে সেইফ্রিট-৮ ও কলিন মানরো-৫ রান সংগ্রহ করেন। ১৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে লোকেশ রাহুলের ১০ ও বিরাট কোহলির ৬ রানের সুবাদে এক বল হাতে রেখেই জয় পায় ভারত। সুপার ওভারে টিম সাউদি শুধু লোকেশ রাহুলের উইকেট টি নিতে পারেন।
এর আগে ওয়েলিংটনে টসে জিতে ফিল্ডিং এর সিদ্ধান্ত নেন নিউজিল্যান্ডের নিয়মিত অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের পরিবর্তে অধিনায়কত্ব করতে নামা টিম সাউদি। রোহিত শর্মা বিহীন ভারত ব্যাট হাতে তেমন সুবিধা করতে পারে নি। মাত্র ১৪ রানের মাথায় প্রথম উইকেট হারায় তারা। এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে ভারত। ছয় নম্বরে ব্যাট করতে নামা মনিশ পান্ডের ৩৬ বলে ৫০ ও লোকেশ রাহুলের ২৬ বলে ৩৯ রানের সুবাদে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৬৫ রানের পুজি পায় বিরাট কোহলির দল।
১৬৬ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে মার্টিন গাপটিল দ্রুত আউট হয়ে গেলেও দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে কলিন মানরো ও শেইফ্রিটের ৭৪ রানের জুটির উপর ভর করে জয়ের পথেই এগুতে থাকে নিউজিল্যান্ড। মানরো ও ব্রুস আউট হয়ে গেলেও রস টেইলরের সাথে আবারও ৬২ রানের জুটি গড়ে জয়ের পথে যেতে থাকেন সেইফার্ট। তবে শেষ ওভারে শারদুল ঠাকুরের বোলিং জাদুতে ম্যাচ হারতে হয় নিউজিল্যান্ড কে।
ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হন শারদুল ঠাকুর