নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
নিজের ফর্মহীনতায় বহু সমালোচনার সম্মুখীন হতে হয়েছিলো তামিম ইকবালকে। ভক্ত সমর্থকদের এমন আচরণে নিজের ভেতরের চাপা কষ্ট নিয়ে বিশ্রামে চলে যান ১ মাসের জন্য। এই ১ মাসে নিজেকে নতুন করে তৈরি করেছেন। ব্যক্তিগত ট্রেনার নিয়োগ দিয়ে ৪৯ টি সেশন করে ওজন কমিয়েছেন ৫ কেজি। ছুটি কাটিয়ে নিজেকে প্রস্তুত করার কাজটাও যথাযথভাবে পালন করেছেন মিরপুরের একাডেমি মাঠে। আসন্ন ভারত সফরে মূল প্রস্তুতি হিসেবে বেছে নিয়েছেন চলমান জাতীয় লিগকে। ঢাকা মেট্রোর বিপক্ষে চট্টগ্রামের হয়ে প্রথম ম্যাচের প্রথম ইনিংসে একশোর বেশি বল খেলে করেছেন ৩০ রান। প্রত্যাবর্তনে আহামরি কিছু না হলেও, একেবারে খারাপও বলা যাবে না।
গতকাল (১০ অক্টোবর) ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা করেছিলেন টেস্ট মেজাজেই। মিরপুর যেনো দেখা পেয়েছিলো পরিপূর্ণ এক টেস্ট ম্যাচে পরিপূর্ণ একজন টেস্ট ব্যাটসম্যানের। আউট হওয়ার আগে ২ ঘন্টা ১০ মিনিটের মতো ক্রিজে কাটান, খেলেন ১০৫ টি বল। রান হয়তো বেশি করতে পারেননি। তবে তার খেলার ধরণ দেখে এটা আঁচ করা যাচ্ছিলো, তিনি পুরোপুরি আত্মবিশ্বাসী।
সাংবাদিকদের প্রশ্ন, তামিম ইকবালের প্রত্যাবর্তনী ম্যাচে প্রতিপক্ষ দলের খেলোয়াড় হিসেবে তামিমকে কিভাবে মূল্যায়ন করবেন? এমন প্রশ্নে সানির সহজ জবাব, ‘দেখেন টেস্ট ম্যাচে যেভাবে খেলতে হয়, তামিম ঠিক সেরকমই খেলেছে। কালকের উইকেটে শট খেলাও খুব একটা সহজ কাজ ছিলো না। বলে টার্ন পাচ্ছিলো বোলাররা। এমন উইকেটে তামিম যেভাবে খেলেছে, ভালোই খেলেছে। বল টু বল দেখে খেলেছে।’
দেশসেরা এ ব্যাটসম্যানকে নিয়ে আলাদা করে কোনো, পরিকল্পনা ছিলো কিনা; গণমাধ্যম কর্মীদের এমন প্রশ্নের জবাবে বাঁহাতি এই স্পিনারের জানান, ‘ও নিঃসন্দেহে আমাদের সেরা ব্যাটসম্যান। আমি শুধু চেষ্টা করছিলাম, কিভাবে ওকে আটকে রাখা যায়। আর তাছাড়া টেস্টে ব্যাটসম্যানদের রান করতে এমনিতেই ঘাম ঝড়াতে হয়। আর এ ফরমেটে বাজে বল না পেলে, সাধারণত ব্যাটসম্যানরা শট খেলা থেকে নিজেকে সামলে রাখে। আমি শুধু এটাই চেয়েছিলাম যে, ও যাতে আমার বলে সহজে রান করতে না পারে।’