নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাবে রাজি না হয়েও জুয়াড়ির সাথে আলাপচারিতা ও আলাপচারিতার বিষয়টি গোপন রাখার কারনে ক্রিকেট থেকে এক বছরের জন্য নিষিদ্ধ হয়েছেন বাংলাদেশের পোস্টার বয় সাকিব আল হাসান। সাকিবের মত এমন প্রস্তাব পেয়েছিলেন বাংলাদেশের আরেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ও দেশ সেরা ওপেনার তামিম ইকবাল খান। তবে সাকিবের মত ভুল করেননি তামিম ইকবাল আর তাতেই কি না বেঁচে যান তামিম।
২০১৭ সালে সাকিবের পাশাপাশি ম্যাচ ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব পাঠিয়েছিলেন তামিম ইকবালকে। ম্যাচ ফিক্সিংয়ের জন্য তামিমের হোয়াইটসঅ্যাপে মেসেজ করেন ভারতীয় ঐ জুয়াড়ি আগারওয়াল। তবে পরোক্ষনেই বিসিবির দুর্নীতি দমন কমর্তকর্তা অবসর প্রাপ্ত মেজর এম মোর্শেদকে জানান তামিম ।
সাকিবকে যখন তদন্ত করা হচ্ছিলো তখন সাকিবের পাশাপাশি তামিমকেও ঢাকার একটি হোটেলে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সাকিবের মত তামিম এমন প্রস্তাব পেয়েছিলো কি না তা জানতে চাইলে তামিম তৎক্ষনাৎ উত্তর দেন। হ্যাঁ, আগারওয়াল আমাকে হোয়াইটসঅ্যাপে আমাকে বার্তা পাঠিয়েছিলো আর আমি তখনই বিসিবির দুর্নীতি দমন কর্মকর্তাকে জানিয়েছি।
তামিমের এমন ভাষ্যের পর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় বিসিবির অবসর প্রাপ্ত মেজর এম মোর্শেদকে। পরে তিনি আইসিসিকে বলেন যে হ্যাঁ তামিম বিষয়টি আমাদের জানিয়েছিলো আর তখন আমরাও আইসিসিকে বিষয়টির কথা জানিয়েছিলাম। পরে সকল তথ্য প্রমাণ দিলে তামিমকে ক্লিয়ারড ঘোষণা করে ছেড়ে দেয়।
সাকিব,তামিম ছাড়াও বাংলাদেশের আরও বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের নাম্বার সংগ্রহ করে আগারওয়াল। আইসিসির রিপোর্টে বলা হয়েছে সাকিবের যে ঘনিষ্ঠ ব্যক্তি সাকিবের নাম্বার দেন তার কাছে অন্যান্যদেরও নাম্বার চেয়েছিলেন আগারওয়াল।