নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
বাংলাদেশ ক্রিকেটে সবচেয়ে কালো দিনের একটি আজ।দেশের ক্রিকেটের উন্নয়নে যার অবদান অতুলনীয়, সেই সাকিব আল হাসানকে দুই বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আইসিসি। তবে আইসিসির বেঁধে দেওয়া নিয়ম মান্য করলে ক্রিকেটে সাকিব ফিরবে ২০২০ সালের ৩০ অক্টোবর।
সাকিবের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে পর পর তিন বার বাজিকরের কু-প্রস্তাব পেয়েও আইসিসিকে অবগত করেননি সাকিব। যেটা আইসিসির বিধানে মস্ত বড় অপরাধ। সাকিবের সাথে যে জুয়ারি বার বার যোগাযোগ করার চেষ্টা চালিয়ে গেছেন তার নাম দীপক আগারওয়াল। ভারতীয় নাগরিক, তবে সবচেয়ে বড় পরিচয় বাজিকর। ক্রিকেট ভদ্রলোকের খেলা;অথচ এই অসৎ পথকে অর্থ উপার্জনে বেছে নিয়েছে ঐ বাজিকর।তবে সাকিবের বিচক্ষণতায় ব্যর্থ হন।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, সাকিবের ঘনিষ্ঠ ব্যক্তির কাছ থেকে সাকিবের নম্বর সংগ্রহ করেছে, যে নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করেন। বাজিকর আগরওয়াল ২০১৭ সালে সাকিবের বিপিএল চলাকালীন সময়ে সাকিবের ঘনিষ্ঠ এক জনের কাছে আবারও আরো ক্রিকেটারদের নম্বর চান।
সাকিবের সাথে আগারওয়াল স্বভাবত শুভাকাঙ্ক্ষীর বেশে কথা চালিয়ে যান এবং এক সময় সাকিবের সাথে দেখা করার ইচ্ছাপোষণ ও করেন।২০১৮ সালের বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা-জিম্বাবুয়ে সিরিজ চলাকালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে এক ম্যাচে ১৬৩ রানের বিশাল বড় জয় পায় বাংলাদেশ। উক্ত ম্যাচে ম্যান অব দ্যা ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। ঐ সময় সাকিবকে হোয়াটসঅ্যাপে অভিনন্দন জানান আগারওয়াল। এরপর বাজিকর সাকিবকে প্রথমবারে মতো কুপ্রস্তাবের ইঙ্গিত দেন। আগারওয়াল সাকিবের উদ্দেশ্যে বলে, আমরা কি এই সিরিজ থেকে কাজ করব, নাকি আইপিএল পর্যন্ত অপেক্ষা। প্রথমবারের মতো বাজিকরের প্রস্তাবে খুব স্বাভাবিকভাবে নিয়েছেন সাকিব; বিষয়টি জানাননি আইসিসিকে। ২৩ই জানুয়ারি সাকিবকে আবারও ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেন আগারওয়াল। বার বার বাজিকরের হোয়াটসঅ্যাপের বার্তায় সাড়া দেননি সাকিব। তবে ঘটনা এখানেই শেষ নয়। ২০১৮ সালের আইপিএলে আবারও সাকিবকে ফিক্সিংয়ের প্রস্তাব দেয়। ২৬ই এপ্রিল কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব ও সানরাইজার্স হায়দারবাদ ম্যাচে সাকিবের কাছে ওই বাজিকর জানতে চায় নির্দিষ্ট একজন একাদশে আছে কি না।
আগারওয়ালের বার বার ফিক্সিংয়ে সাকিব সাড়া না দিলেও অবগত করেননি আইসিসির আইন নিয়ন্ত্রণ সংস্থা আকসুকে। যেটা আইসিসি
ধারা ২.২.৪ থেকে ২.২.৬- এ অংশে অভিযুক্ত হয়েছেন সাকিব। যার শাস্তি সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছর নিষিদ্ধ হওয়া। কিন্তু আইসিসি তথ্য প্রদানে সহযোগী করায় দু’বছরের শাস্তিতে কমিয়ে আনা হয়েছে। তবে আইসিসির বেঁধে দেওয়া নিয়ম মান্য করলে ২০২০ সালের ৩০ই অক্টোবর থেকে ক্রিকেটে ফিরতে পারবেন সাকিব।