নিউজ ডেস্ক »
টি টোয়েন্টি ক্রিকেটে কোন একক টুর্নামেন্টে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি হওয়ার হাতছানি মোস্তাফিজের সামনে। এই কৃর্তি গড়তে মোস্তাফিজের প্রয়োজন ৩ উইকেট। ফর্মে থাকা মোস্তাফিজ এর কাছে এটি খুব একটা কঠিন কিছু নয়।
বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে অসাধারণ সময় পার করছেন কাটার মাস্টার খ্যাত মোস্তাফিজুর রহমান। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের হয়ে খেলা বা-হাতি এই পেসার বল হাতে রয়েছেন দারুণ ছন্দে। বল হাতে পার করছেন নিজের সেরা সময়। এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচে ২১ উইকেট নিয়ে সবার উপরে রয়েছেন মোস্তাফিজ। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ১৮ উইকেট নিয়ে দুইয়ে। আগামীকাল বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপের ফাইনালে জেমকন খুলনার বিপক্ষে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবেন মোস্তাফিজের# চট্টগ্রাম। ট্রফি জয়ের মঞ্চে মুস্তাফিজ আসনে রয়েছে আরও এক অর্জনের সুযোগ।
কোনো টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের এক আসরের বাংলাদেশি বোলারদের মধ্যে সর্বোচ্চ উইকেট শিকারির রেকর্ডটি সাকিব আল হাসানের দখলে। বিপিএলের ষষ্ঠ আসরে (২০১৮-১৯) ঢাকা ডায়নামাইটসের হয়ে ১৫ ম্যাচে ২৩ উইকেট নিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি স্পিনার। ষষ্ঠ আসরেই ১২ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছিলেন সিলেট সিক্সার্স এর পেসার তাসকিন আহমেদ এবং ১৪ ম্যাচে ২২ উইকেট নিয়েছিলেন রংপুর রাইডার্স এর পেসার মাশরাফি বিন মর্তুজা। আগামিকাল ফাইনালে ৩ উইকেট পেলেই রেকর্ডটি এককভাবে নিজের করে নিবেন মুস্তাফিজ। বল হাতে যেমন দুর্দান্ত ফর্মে আছেন মুস্তাফিজ, তাতে ৩ উইকেট পেলে অবাক হওয়ার কিছু থাকবে না। ফাইনালে ৩ পেলে মাত্র ১০ ম্যাচ খেলেই এই কৃর্তী গড়ে ফেলবেন মোস্তাফিজ।
বঙ্গবন্ধু টি টোয়েন্টি কাপে যে উইকেটে খেলা হচ্ছে তা মোস্তাফিজ এর জন্য আদর্শ উইকেট। স্লো, লো বাউন্সের উইকেটেই মুস্তাফিজের বোলিংটা বেশি কার্যকর। স্লোয়ার কাটারগুলোও ক্ষুরধার হয়ে উঠেছে মিরপুরের উইকেটে। মোস্তাফিজও স্বীকার করেছিলেন বল ঘুরছে প্রত্যাশিত মতোই। ইনিংসের শুরুতে (পাওয়র প্লেতে) বেশি বল করার সুযোগ হয়নি মোস্তাফিজের। তবে বিশেষ করে ডেথ ওভারের সময় দেখা গেছে সেই পুরোনো মুস্তাফিজকে, যাকে সামলাতে খাবি খেত ব্যাটসম্যানরা। ডেথ ওভারে মোস্তাফিজ এর দূর্দান্ত সব স্পেলে প্রতিপক্ষের রানের চাকা টেনে ধরার কাজে সফল হয়েছে চট্টগ্রাম।
মুস্তাফিজ অবশ্য এমন পারফরম্যান্সের রহস্য খোলাসা করেননি। গত মঙ্গলবার পুরোনো ছন্দে ফেরার রহস্য জানতে চাইলে বাঁ-হাতি এই পেসার বলেছেন, ‘চেষ্টা করেছি প্র্যাকটিসটা ভালো করার। জিম বলে, ফিটনেস-রানিং চেষ্টা করেছি, কী করলে আমি আবারও আগের মতো বোলিং করতে পারি। ওভারঅল এর আগে প্রেসিডেন্টস কাপ হয়েছিল ওখানেই সকলে কমবেশি ভালো বল করেছিল। বিশেষ করে পেস বোলাররা। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপেও বোলাররা ভালো করেছে।
নিউজক্রিকেট / রাসেল