নাফিসুল হক »
জিম্বাবুয়েকে ৩-০ তে ধবলধোলাই এর মাধ্যমে শেষ হলো মাশরাফি অধ্যায়। ৫০তম জয় দিয়ে তার অধিনায়কত্বের ক্যারিয়ার শেষ হলো। বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল ক্যাপ্টেন ছিলেন অনেক আবেগতাড়িত। কণ্ঠে ছিলো মিশ্র প্রতিক্রিয়া। সাধারণত ক্যাপ্টেন ফ্যান্টাস্টিক কখনো আবেগকে ছুতে দেননি নিজেকে। আবেগ সামলেছেন ভালমতো। কিন্তু গতকাল ম্যাচ শেষ জানতে চাওয়া হয়েছিল তার অনুভূতি। জবাবে তিনি বলেছিলেন, ” অসম্ভব ভালো। কারণ, জিতছি। শেষ হলো আমার চ্যাপ্টার জয় দিয়ে ।’‘ এছাড়াও তাকে জিজ্ঞাসা করা হয়েছিল ভারাক্রান্ত কিনা তিনি। জবাবে তিনি বলেছিলেন, ”একটা কাজ তো অনেক কমে গেল, অনেক বড় দায়িত্ব ছিল। সাধারণত এই টাইমে কারো ভালো লাগে কারো খারাপ লাগে। অবশ্য আমারও.. মিশ্র দুইটা জিনিসই হচ্ছে। তবে টু বি অনেস্ট, নিজের কাছে ভালো লাগছে যে, ক্যাপ্টেন হিসেবে একটা ভালো জায়গায় শেষ করতে পেরেছি, আর জিতেও শেষ হয়েছে- এটাও ভালো লাগছে।’’
এছাড়াও কাল তার কণ্ঠে ছিল লিটন এবং তামিমের জয়গান। রেকর্ড ব্রেকিং পার্টনারশিপে জিম্বাবুয়েকে একদম দুমড়ে মুচড়ে দিয়েছিল এই দুই বিধ্বংসী ওপেনার। লিটন সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, ”আমার দুইজন ব্যাটসম্যানের ব্যাটিং দেখতে সবসময় ভালো লাগে, এক হলো বিরাট কোহলি, দুই লিটন। সবসময় বলি, অনেকে ভালো খেলে, ভালো রান করে… তবে তারা (কোহলি, লিটন) যতক্ষণ উইকেটে থাকে দেখতে ভালো লাগে। আমি লিটনকে অনেকবার বলে আসছি।”
তিনি এছাড়াও বলেছেন একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে অনফিল্ড এবং অফ ফিল্ড দুই জায়গাতেই অনেক কিছু করার থাকে। বিশেষ করে অফফিল্ডে প্লেয়াদের সাথে অনেক বেশি কাজ করার থাকে একজন ক্যাপ্টেন হিসেবে। মাশরাফি বিন মর্তুজা অনফিল্ডেও যেমন প্লেয়ারদের উৎসাহ দিতেন তেমনি অফফিল্ডেও ছিলেন ড্রেসিং রুমের প্রাণভ্রমরা।
তার চাওয়া ভবিষ্যতে তার জায়গায় যেই আসুক সে এই বিষয় গুলো নিয়ে কাজ করবে এবং বাংলাদেশ দলকে আরো সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবে।ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেটকে কোথায় দেখতে চান এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ”এটা বলা আসলে খুব কঠিন, তবে আমার বিশ্বাস পরবর্তী বিশ্বকাপে (২০২৩ সাল) বাংলাদেশ অনেক ভালো করবে। এটা এখন থেকেই আমার মন বলছে এবং আমি আগেও একবার বলেছিলাম, বাংলাদেশ সেমিফাইনালে খেলবে।”