নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
গতকাল (১৯ নভেম্বর) শেষ হয়েছে এ মৌসুমের জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল)। দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে এ আসরের টায়ার-১ থেকে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে খুলনা। এতে ঘরোয়া ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় এই আসরে ৭ম বারের মতো শিরোপার স্বাদ নিলো খুলনা বিভাগ। যা জাতীয় লিগ ক্রিকেটে সর্বোচ্চ, এক অনন্য ইতিহাস।
খুলনা যেমন টায়ার-১ এর হয়ে শিরোপার অনন্য এক স্বাদ গ্রহণ করেছে ঠিক তেমনি টায়ার-২ এর হয়ে সিলেটও গ্রহণ করেছে শিরোপা জয়ের আনন্দ। জাতীয় লিগ ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়ে শিরোপা জয়ের আনন্দে মেতেছিলো সিলেট। দুর্দান্ত এই পারফরম্যান্সে এনসিএলের দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
সিলেট যেমনটা ভালো পারফরম্যান্সের ফলে দ্বিতীয় স্তর থেকে উন্নতি হয়ে প্রথম স্তরে উঠে এসেছে ঠিক তেমনি বাজে পারফরম্যান্সের কারণে অবনতি হয়ে প্রথম স্তর থেকে দ্বিতীয় স্তরে নেমে গেছে গত আসরের চ্যাম্পিয়ন দল রাজশাহী।
আসুন এবার জেনে নেই টুনামেন্ট শেষে এই আসরের কিছু টুকিটাকিঃ
চ্যাম্পিয়নঃ খুলনা বিভাগ।
সেরা রান সংগ্রাহকঃ তাইবুর রহমান-৫২৩ রান (ঢাকা বিভাগ)
সেরা উইকেটে শিকারীঃ আব্দুর রাজ্জাক- ৩১ উইকেট (খুলনা বিভাগ)
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস সাইফ হাসানের অপরাজিত ২২০, ঢাকা বিভাগের হয়ে রংপুরের বিপক্ষে। ডাবল সেঞ্চুরি করেছেন আর কেবল ইমরুল কায়েস।
দুটি করে সেঞ্চুরি করেছেন মার্শাল আইয়ুব, শামসুর রহমান, এনামুল হক ও তাইবুর রহমান।
কমপক্ষে ৫ ইনিংস খেলা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সর্বোচ্চ গড় মার্শাল আইয়ুবের, ৮৩.৫০।
সর্বোচ্চ ৪৯ চার মেরেছেন নাসির হোসেন ও পিনাক ঘোষ। সোহরাওয়ার্দী শুভ মেরেছেন ৪৩টি। সবচেয়ে বেশি ২১ ছক্কা মেরেছেন এনামুল হক, ১৫টি নুরুল হাসান সোহান।
ইনিংসে সেরা বোলিং করেছেন সিলেটের পেসার রুহেল মিয়া, চট্টগ্রামের বিপক্ষে নিয়েছে ২৬ রানে ৮ উইকেট। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে পেস বোলিংয়ে বাংলাদেশের সেরা এটিই।
ওই ম্যাচে দুই ইনিংস মিলিয়ে রুহেল ৬৫ রানে নেন ১৩ উইকেট। এবারের লিগে এক ম্যাচে সেরা বোলিং। ম্যাচে ১০ উইকেটের স্বাদ পেয়েছেন আর কেবল রাজ্জাক, ১৪০ রানে ১২ উইকেট।
কমপক্ষে ৮০ ওভার বোলিং করেছেন যারা, তাদের সধ্যে সেরা গড় ফরহাদ রেজার ১৫.২১। একই মানদণ্ডে সেরা স্ট্রাইক রেট তাসকিন আহমেদের, প্রতি ৩৫.৫ বলে নিয়েছেন ১টি করে উইকেট।
ইনিংসে ৫ উইকেট একাধিকবার নিয়েছেন রুহেল, রাজ্জাক, আরাফাত সানি ও ইফরান হোসেন।
ইনিংসে ৫টি করে ডিসমিসাল করেছেন কেবল দুই কিপার, জাবিদ ও সোহান।
ডাবল সেঞ্চুরি জুটি হয়নি একটিও। সর্বোচ্চ ১৯০ রানের জুটি তাইবুর রহমান ও শুভাগত হোমের, ঢাকা বিভাগের হয়ে রাজশাহীর বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে।