নিউজ ক্রিকেট ২৪ ডেস্ক »
৪৫ ওভারে জয়ের জন্য লক্ষ্যমাত্রা ৩২০। ওভার প্রতি ৭ রানের বেশি প্রয়োজন। এমন সমীকরণে আবারো ব্যর্থ বাংলাদেশের ওপেনিং পেয়ার। মাত্র ৭ রান করে ফিরে গেলেন তামিম। উইকেটে ঝড় তোলার আভাস দিয়ে ২১ বলে ২১ রান করে আউট হন লিটনও। ব্যাকফুটে চলে যায় টিম টাইগার্স। তৃতীয় উইকেট জুটিতে সাকিবের সাথে ৬১ রানের এক পার্টনারশিপ নাজমুল হোসেন শান্তর। দলীয় ১০১ রানে সাকিবের বিদায়ে অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন ম্যাচ থেকে ছিটকে গিয়েছে বাংলাদেশ। কিন্তু তখনও অনেক কিছুই ছিলো বাকি।
তাওহিদ হৃদয়কে নিয়ে ম্যাচের মোমেন্টাম ঘুরিয়ে দিলেন শান্ত। চতুর্থ উইকেট জুটিতে রীতিমত আইরিশ বোলারদের উপরে তাণ্ডব চালিয়েছেন এই দুই ব্যাটার। ওভারপ্রতি ৯ রান যেখানে প্রয়োজন ছিলো শান্ত আর হৃদয় রান তুলেছেন ১০ বা কখনো এরচেয়েও বেশি রেটে। একপ্রান্ত আগলে রেখে খেলতে থাকা শান্ত তুলে নিয়েছেন এক দিনের ক্রিকেটে নিজের অভিষেক সেঞ্চুরি। শান্তর সেঞ্চুরির পরপরই তাওহিদের উইকেট হারায় বাংলাদেশ। ৫৮ বলে ৬৮ রান করে ডকরেলের বলে আউট হন তাওহিদ। কিন্তু তখন ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ প্রায় পুরোপুরি নিয়ে নেয় বাংলাদেশ।
ইংলিশ সন্ধ্যায় তখনো খেলার টুইস্ট ছিলো বাকি। সেঞ্চুরির পর শান্তর বিদায়ে খানিকটা চাপে পড়ে বাংলাদেশ। তবে চাপ কাটানোর চেষ্টায় থাকা মিরাজ আর মুশফিক ভালোই খেলছিলেন। দ্রুত রান তোলা মিরাজ ১২ বলে ১৯ রান করে এলবিডাব্লিউ এর ফাঁদে পড়লে আবারো ম্যাচ ফেরার হুংকার দেয় আয়ারল্যান্ড। তবে উইকেটে তখনো আছেন মুশফিক। তাইজুলকে নিয়ে একটু একটু করে জয়ের বন্দরের দিকে এগোচ্ছিলেন তিনি। কিন্তু যখন প্রয়োজন ১২ বলে ১২ রানের তখনই আউট হন তাইজুল। আবারো জমে উঠে ম্যাচ।
শেষ ওভারে জয়ের জন্য বাংলাদেশের প্রয়োজন ছিলো ৬ বলে ৫ রানের। কিন্তু প্রথম দুটো বল ডট করে বাংলাদেশকে চাপে ফেলার চেষ্টা আইরিশ বোলার অ্যাডায়েরের। ওভারের তৃতীয় বলে ছক্কা হাঁকাতে গিয়ে বাউন্ডারি লাইনে ধরা পড়েন মুশফিক কিন্তু নো বলের কল্যাণে বেঁচে যান তিনি। তখন সমীকরণ গিয়ে দাঁড়ায় ৪ বলে ৪ রানের। ফ্রি হিট ডেলিভারিতে দারুণ এক স্কুপ শটে চার মেরে বাংলাদেশের জয় নিশ্চিত করেন মুশফিকুর রহীম। ২৮ বলে ৩৬ রানের দারুণ এক ক্যামিং খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি।
এই জয়ে সিরিজে ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে গেল বাংলাদেশ। সিরিজের প্রথম ম্যাচ বৃষ্টির কারণে পরিত্যক্ত হয়েছিলো।