https://scontent.fdac4-1.fna.fbcdn.net/v/t1.0-9/36386236_2027432020601594_1928619179817041920_n.jpg?_nc_cat=104&_nc_eui2=AeFY40879vpUlXD3TvLuwunYiYPt9keMWugjnmsYPL9A2_cQ-azY1GmWWQy36LFNFzNLAU2kdDYB9vV9Qwdjt7cfxuFbw0DGkcoiJ24B4pOm6Q&_nc_ht=scontent.fdac4-1.fna&oh=926e9b4229d9f6e3ffd66fe5510e3767&oe=5D672D33 »
সাঙ্গাকারা-জয়াবর্ধনে অধ্যায় শেষের সাথে সাথে লংকান ক্রিকেট তাদের জৌলুশ হারাতে বসে। নিচের সারির দলগুলোর কাছেও নাকানিচুবানি খেতে দেখা যায় তাদের। ঘরের মাঠে স্বাগতিক হবার ফায়দা লুটতে পারলেও বিদেশের মাটিতে তাদের অসহায় আত্নসমর্পণ করতে দেখেছে সবাই। বিশেষ করে লংগার ভার্সনে তাদের উন্নতির গ্রাফটা একেবারেই তলানিতে এসে জমা হয়। এমন দুঃসময়ে ত্রাতার ভূমিকায় অবতীর্ণ হোন বর্তমান লংকান অধিনায়ক ডিমুথ করুনারত্নে। তাকে দলপতির ভার সপে দেয়াতে বোর্ডের যে কোন ভুল ছিলো না তার প্রমাণ তিনি প্রতিনিয়ত চোখে আঙুল দিয়ে সকলকে দেখিয়ে দিচ্ছেন। নিজের ব্যাটিংয়েও আগের চেয়ে ধার বাড়িয়েছেন অনেকাংশে, যার ফলশ্রুতিতে দলকে সামনে থেকেই নেতৃত্ব দেয়াটা তার জন্য সহজ হয়েছে। তার অধীনেই এশিয়ার প্রথম দল হিসেবে আফ্রিকান মৃত্তিকায় টেষ্ট সিরিজ জয়ের স্বাদ পায় লংকানরা। এই ওপেনারের হাত ধরেই তিন ম্যাচের তিনটিতেই জয় লাভ করে প্রোটিয়াদের হোয়াইট-ওয়াশ উপহার রাবণের দেশের ক্রিকেটাররা। হঠাৎ করে এমন আমূল-পরিবর্তনের কারন জানতে গিয়ে উইকেট-রক্ষক ব্যাটসম্যান ডিকওয়েলা জানান, ‘ ডিমুথ একজন পজিটিভ মনের মানুষ। সে ক্রিকেটাদের সাথে নিজের ভাইয়ের মতো মিশে যায়। পারফর্ম করার উদ্দীপনা যোগাতে তার জুড়ি মেলা ভার। সে সব ধরনের সমালোচনাকে ইতিবাচকরূপে নেয় যেটা তার অধিনায়কত্বের একটি প্রধান এবং বিশেষ গুণ।’
ইংল্যান্ড বিশ্বকাপেও তার অধিনায়কত্ব সকলের মনে ধরেছে। আর সবশেষ ঘরের মাঠে বাংলাদেশকে একদিনের সিরিজে হোয়াইট-ওয়াশ করাটা রঙিন পোশাকে তার অধিনায়কত্বের সুনামটা আরো কয়েকগুণ বাড়িয়ে দিয়েছে। সুতরাং আশা করাই যায় লংকান ক্রিকেট আকাশের অন্ধকার অতিশীঘ্রই আলোর ঝলকানিতে পরিনত হতে চলেছে।
-বিপ্রতিব দাস